|
এ এম এম শওকত আলী
|
|
জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন
23 Feb, 2014
প্রথমে উপজেলা প্রথা প্রবর্তিত হয় ১৯৮৪-৮৫ সালে। তখন সামরিক শাসন। ওই সময় ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদের মধ্যবর্তী স্তরে নির্বাচিত কোনো স্থানীয় পরিষদ ছিল না। যা ছিল, তা হলো অনির্বাচিত থানা পরিষদ। এ প্রথার জন্ম আইয়ুব আমলে মৌলিক গণতন্ত্র প্রথার অংশ হিসেবে। ওই সময় মহকুমা প্রশাসক থানা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সার্কেল অফিসার উন্নয়ন ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান। নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা থানা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত এ প্রথার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে ১৯৭৫ সালের পর প্রথম সামরিক শাসনামলের সময় থানা পরিষদের নাম পরিবর্তন করে থানা উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদ করা হয়। নামের পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো মৌলিক বা কাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়নি। আশির দশকে উপজেলা প্রথা প্রবর্তনের মাধ্যমে ওই সময়ে সব রাজনৈতিক দলের তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে যে স্থানীয় জনগণের বিপুল উৎসাহ ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্থানীয় জনসমর্থন ছাড়া ওই সময়ে সব রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত এ নির্বাচন সম্ভব ছিল না। উপজেলার বিষয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতার মূল কারণ ছিল আদর্শগত। রাজনৈতিক দলগুলোর যুক্তি ছিল, এ ধরনের মৌলিক পরিবর্তন একমাত্র নির্বাচিত সরকারই করতে ক্ষমতাবান। অন্য একটি যুক্তিও ছিল। তা ছিল রাজনৈতিক আশঙ্কাপ্রসূত। সব দলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হয় যে এ ধরনের নির্বাচিত স্থানীয় পরিষদ স্থাপনের মাধ্যমে প্রধান সামরিক শাসক তাঁর ক্ষমতা চিরস্থায়ী করবেন। যেমনটি ১৯৫৯ সালে মৌলিক গণতন্ত্র প্রথা প্রবর্তনের সময়েও আশঙ্কা করা হয়। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনের কারণে মৌলিক গণতন্ত্র প্রথার বিলুপ্তি ঘটে। আশির দশকে রাজনৈতিক দলগুলোর উপজেলা প্রথার বিরোধিতার যেসব কারণ বলা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা পাওয়া যায় না। কারণ সংবিধানের সংশ্লিষ্ট বিধানের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ সংগতিপূর্ণ। এ বিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রে ও সব প্রশাসনিক ইউনিটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ওই সময় মহকুমা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট।
নব্বইয়ের দশকে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার প্রথা প্রবর্তনের পরও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল উপজেলা প্রথা প্রবর্তনে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। ১৯৯১-৯৬ সালের বিএনপি সরকার এ প্রথার বিলুপ্তি ঘটায়। সে সময় একটি স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রতিবেদনেও এ প্রথার বিরোধিতা করা হয়। পরে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও উপজেলা প্রথা পুনঃপ্রবর্তিত হয়নি। অন্তত এই এক বিষয়ে চির বিবদমান দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুই প্রধান দলই এ প্রথা এমনভাবে মেনে নেয় যে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ স্বাধীনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের হাতে। মূলত দুই দলই স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে এ কথাও সত্যি যে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের আধিপত্যই এর একমাত্র কারণ নয়। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টিও মাঝেমধ্যে মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুশাসন। সব মিলিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নিজেদের ক্ষমতাহীন মনে করেন।
জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন
স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন আবহমানকাল ধরেই অরাজনৈতিক ছিল। অর্থাৎ প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁদের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ সমর্থন বা মনোনয়নের প্রয়োজন ছিল না। এ সত্ত্বেও ১৯৮৬ সালের উপজেলা নির্বাচনে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এর নিকটতম দল ছিল আওয়ামী লীগ এবং পরবর্তী দল বিএনপি। জামায়াতসহ অন্যান্য দলের জয়ী প্রার্থীদের সংখ্যা নগণ্য ছিল। এসব তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে স্থানীয় রাজনীতি জাতীয় পর্যায় থেকে পৃথক রাখা সম্ভব নয়। এর মূল কারণ স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে কমবেশি সব রাজনৈতিক দলেরই সংগঠন বা অঙ্গ সংগঠন রয়েছে। সব দলেরই নেতা-কর্মী স্ব স্ব দলের পক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করে থাকেন। এদের অনেকেই জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। অথচ তাঁদের নিজ নিজ আশা-আকাঙ্ক্ষাও রয়েছে। লক্ষণীয়, ১৯৭১ পরবর্তী সময়ে একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ ও পরবর্তী সময়ে পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে। সিটি করপোরেশনের বিষয়ে একই কথা বলা সম্ভব নয়। নানা কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশনে সময়মতো নির্বাচন হয়নি। বর্তমানে এ করপোরেশনটি দ্বিখণ্ডিত। কোনো নির্বাচন এখনো হয়নি। সব মিলিয়ে বলা যায়, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নির্বাচন হবে কি হবে না, তা প্রায় সম্পূর্ণভাবে সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল; যদিও এ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। স্থানীয় সরকার আইনে প্রথমে বিধান ছিল নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও পরবর্তী নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজে যোগদান না করা পর্যন্ত পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান বা মেয়র স্বপদে বহাল থাকবেন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এতে হিতে বিপরীত হয়েছে। এ অভিজ্ঞতার আলোকে সংশ্লিষ্ট বিধান পরিবর্তন করে মেয়াদ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনে তা-ই হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় উত্তীর্ণ হলেও কোনো নির্বাচন হয়নি। ঢাকা সিটির নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের মতে, সরকার হয়তো এ কারণে নির্বাচন সময়মতো করতে চায় না। অন্যদিকে গত কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। জনপ্রিয়তা যে অক্ষুণ্ন রয়েছে তা প্রমাণ করার একমাত্র উপায় ছিল গত জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করার ফলে ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা এখন দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ। পত্রিকান্তরে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচন অনেকাংশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ের ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। অথচ নির্বাচন মানেই উৎসব। ভোটের সময় ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ হন। সব দলের প্রার্থীরাই তাঁদের কাছে গিয়ে বিনীতভাবে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। প্রথাগতভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনেই সব সময় সর্বাধিক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। কারণ তাঁরা কাছের প্রার্থীকেই দেখতে পান। এ দৃশ্য জাতীয় নির্বাচনে সচরাচর দেখা যায় না। কারণ জাতীয় নির্বাচনে এলাকাবহির্ভূত প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের প্রার্থীর চেয়ে দলীয় প্রতীকই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে স্থানীয় নির্বাচনে এলাকাভিত্তিক প্রার্থীই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে এলাকাবহির্ভূত প্রার্থীর কোনো স্থান নেই বা তাঁর জয়লাভের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে বা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
৯৭ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ের ভোটযুদ্ধ ১৯ ফেব্রুয়ারি হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রধান দুই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর আধিক্যের বিষয়ে মিডিয়ায় অনেক তথ্যই পাওয়া গেছে। জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে এ বিষয়টি সামান্যভাবে দৃশ্যমান হলেও তা আমলে নেওয়ার মতো নয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি কালের কণ্ঠের একটি খবরের শিরোনাম ছিল 'বিদ্রোহী দমনে দুই দলই মরিয়া।' কচুয়া ও ফকিরহাট উপজেলা নিয়েই এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অন্য খবর ছিল চাঁদপুরের কচুয়ায় বিদ্রোহীদের সড়ক অবরোধ। কচুয়ায় ক্ষমতাসীন দলের কিছু স্থানীয় প্রার্থী দলীয় সমর্থন না পাওয়ার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আরো বলা হয়েছে, গত রবিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অন্য এক দলীয় প্রার্থীকে দল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার ফলেই এটা হয়েছে। নির্বাচনী আইনে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে কোনো দল সমর্থিত প্রার্থীর কোনো ঘোষণা দেওয়ার বিধান নেই। প্রার্থীদের দলীয় প্রতীকও বরাদ্দ দেওয়া হয় না। বিদ্রোহী প্রার্থীদের জন্য বিভ্রান্তি ও সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। কালিয়া উপজেলায় দুই দলের পাঁচ নেতা প্রার্থী রয়েছেন। দুই দল থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভীত নন। বরং এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু সংঘাতের খবরও পাওয়া যায়। যেমন- কালিয়ায় একজন কর্র্মীকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে। অন্যদিকে ভিন্নধর্মী খবরও রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, দল সমর্থিত একক প্রার্থীরা সুবিধায়। নাটোরের পাঁচটি উপজেলার দুটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে বিএনপি একক প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে। এদের বিষয়েই এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সুবিধার মুখ্য কারণ হলো ভোটের সংখ্যা কারো কম হবে না। সাধারণত একই দলের একাধিক প্রার্থী হলে ভোটের সংখ্যার বিভক্তি ঘটে। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী বিরাজ করলে সংঘাত ও সহিংসতার আশঙ্কা রয়েই যায়। একক প্রার্থী থাকলে বিভ্রান্তির আশঙ্কা থাকে না। সর্বমোট কয়টি উপজেলায় একক প্রার্থী এবং কয়টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী তার সমন্বিত তথ্য এখনো প্রকাশা করা হয়নি। এ বিষয়ে প্রথম দফার ৯৭ উপজেলার তথ্য- অন্তত ৪০ উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম উপজেলায় প্রায় অর্ধেক স্থানেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের উৎকণ্ঠার সংবাদও মিডিয়ায় ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনের বিরতির সময় কিছু দলীয় নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বিএনপির ক্ষেত্রে অনেকাংশে কম। দলীয় সূত্র মতে, ৯৭ উপজেলার ১৫-১৬টি উপজেলায় দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। অতীতে যে তিনটি উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, তখন প্রধান দুই দলের এত উৎকণ্ঠা বা শঙ্কা ছিল না। দুই দলই বর্তমানের উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ভাবছে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে এ নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। তবে এক সূত্র মতে ক্ষমতাসীন দল মনে করছে সার্বিকভাবে অন্তত অর্ধেক উপজেলায় জয়ী হতে পারলে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে বিএনপির কোনো তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনের জন্য প্রধান দুই দলের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু নেতাও উপজেলা পর্যায়ে প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছেন, এমন খবরও মিডিয়ায় পাওয়া গেছে। এ থেকে বলা সম্ভব যে প্রধান দুই দলই মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে। আসন্ন নির্বাচনে কিছু ব্যতিক্রমী খবরও রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, 'ক্ষমতাহীন' চেয়ারম্যানরা এবার নির্বাচনবিমুখ। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবারের নির্বাচনে আগ্রহী নন। একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, কোনো ক্ষমতা নেই। স্বাধীনভাবে কোনো কাজ করা যায় না। বলা বাহুল্য, এ ধরনের মনোভাব সার্বিকভাবে দৃশ্যমান নয়।
কিছু কিছু জেলা বা বিভাগে ক্ষমতাসীন দলের হস্তক্ষেপের অভিযোগও শোনা গেছে। খুলনায় স্থানীয় বিএনপির অভিযোগ হলো, প্রশাসন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত। যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ অভিযোগ করেছেন। তিনি খুলনা বিভাগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব বা আচরণের অভিযোগও করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ভিন্নতর সংবাদও রয়েছে। যেমন মিডিয়ার এক খবর অনুযায়ী বগুড়ায় ১১ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৪৭টি মামলা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীসহ বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, গত জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সাবেক প্রধান বিরোধী দল যে আন্দোলন শুরু করেছিল, ওই সময় থেকেই সংগত কারণে কিছু মামলা হয়। এদের অনেকেই সাবেক বিরোধী দলের বা জোটের।
বৃহস্পতিবার সব দৈনিকেই প্রথম পর্যায়ের ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সাবেক প্রধান বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীরাই সংখ্যায় বেশি। জামায়াতের সংখ্যা ১২। জাপা মাত্র একটি চেয়ারম্যান আসন লাভ করেছে। তবে সব দফার উপজেলা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলভিত্তিক জয়ী প্রার্থীদের সংখ্যা সঠিকভাবে জানা যাবে না।
লেখক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন