|
এ এম এম শওকত আলী
|
|
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বেহাল অবস্থা
24 Nov, 2013
রাজনীতিসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বেহাল অবস্থা দারুণভাবে দৃশ্যমান। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করে। এ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হয়। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য শুরু হয় রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। অনেকটা খেলার মাঠের অনুরূপ। খেলার মাঠে দুই দল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। খেলার যেমন নিয়মকানুন রয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও নিয়মকানুন রয়েছে। বিশ্বের সব দেশেই এ ব্যবস্থা বিদ্যমান। খেলার মাঠে প্রতিযোগী দল একে অপরকে হারিয়ে যোগ্যতা অর্জন করে অন্যান্য জয়ী দলের সঙ্গেও খেলে। একাধিক দল খেলার মাঠে নিয়ম ভঙ্গ করলে রেফারি তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন। ক্ষেত্রভেদে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেন। রাজনীতির খেলায়ও রেফারি রয়েছে। নাম নির্বাচন কমিশন। আর রয়েছেন উচ্চ আদালত। তবে কমিশন নির্বাচনের সময়ই প্রত্যক্ষভাবে রেফারির ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। এর জন্য রয়েছে নির্বাচনী আইন, দল ও প্রার্থীর জন্য আচরণবিধি। এসব আইন-বিধির যথাযথ প্রয়োগের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতই দিয়ে থাকেন, যদি এ বিষয়ে কোনো প্রার্থী বা দল আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করে। অন্যদিকে জনস্বার্থবিষয়ক মামলা অন্য কেউ করলে সে ক্ষেত্রেও আদালত বিষয়টি আমলে নেন। রাজনীতির আসল খেলা শুরু হয় নির্বাচনের পর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। এ খেলা সংসদের অভ্যন্তরে হওয়ার কথা। সংসদ পরিচালনার ক্ষেত্রেও অনেক নিয়মকানুন রয়েছে। সেখানে স্পিকার রেফারির ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। তবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কোনো সংক্ষুব্ধ দলের ওয়াকআউট করার রীতিও রয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতির খেলা সংসদে যত না হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে রাজপথে। সমাবেশ, বিক্ষোভ ও হরতালের মাধ্যমে। এসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য সহিংসতা। ফলে শিশু ও নারীসহ অনেক ব্যক্তির প্রাণহানি হয়। প্রতিবছর এ ধরনের ঘটনায় কত লোক কী কারণে মারা গেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারো জানা নেই। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিদিনের কিছু পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য একাধিক বাহিনী মাঠে নামানো হয়। এ দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব পালনের দুটি বৈশিষ্ট্যই প্রধান। এক, আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আন্দোলন বা হরতাল শুরু হওয়ার আগেই গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী সময়ে মামলা। মামলার সঙ্গে হামলাও হয়। এ জন্য যাঁরা আক্রান্ত তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনিয়মতান্ত্রিক অথবা অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগ করেন। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালের রাজপথের রাজনীতির খেলায় দেখা গেছে আন্দোলনরত প্রধান বিরোধী দলের মূল কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবরোধ। এ বিষয়ও এখনকার রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় দৃশ্যমান। আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ কৌশল কতটা আইনসিদ্ধ, সে বিষয় নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনিয়মতান্ত্রিক বা জনগণের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার বিষয়ে সাম্প্রতিককালে পুলিশপ্রধান একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মতে, এ দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও গণতান্ত্রিক আচরণ করবে। এ উক্তির অর্থ হলো, সবাই গণতান্ত্রিক আচরণ করছে না। গূঢ় অর্থ হলো, পুলিশের এ আচরণ ভিন্ন শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অন্য অর্থ হলো, সহিংস আচরণ বন্ধ করার মূল শক্তি রাজনৈতিক দলগুলোর। এ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারো মতে, মুখ্য দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দলের। ভিন্ন মত হলো, আন্দোলনরত দলগুলোর। সাম্প্রতিককালের সহিংস আন্দোলনের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ককটেল বিস্ফোরণ। মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে, ককটেলের প্যাকেজও ২০-২৫ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়। সার্বিকভাবে বলা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সংলাপ-সমঝোতার রাজনীতি হয়নি। অতীতে এর ফলেই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব হয়েছে। তার আগে কী হবে? এ বিষয়ে সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'ঐক্যে বিলম্ব জনতার রাস্তায় নামার আশঙ্কা বাড়াবে। কতটা যে সত্যি তার প্রমাণ ১৯৯০-৯১ সালের গণ-অভ্যুত্থান। ওই সময় তৃতীয় শক্তির সহায়তাপুষ্ট রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ মূল রাজনৈতিক দলগুলো এ লক্ষ্যে এক মত পোষণ করেছিল। ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত যে বিষয়টি প্রমাণ করে তা হলো, রাজনীতি আবারও বেহাল অবস্থায়। এখানে কোনো রেফারিই কাজ করতে সক্ষম নন। তবে কিছু বিদেশি রাষ্ট্র এ কাজটা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা দৃশ্যমান। এদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ লাভ করুক। এ দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে অন্য ধরনের তৃতীয় শক্তির উদ্ভব এ দেশে হয়েছে। ১৯৭৪ সালে থেকেই স্থিতিশীলতার অভাব দেখা যায়। এ থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করার পর তা নির্বাসিত হয় ১৯৭৫ সাল পরবর্তী সময়ে। এর মাধ্যমে অন্য ধরনের তৃতীয় শক্তি জন্মলাভ করে। ধীরে ধীরে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির দর্শন সাংবিধানিক বৈধতা লাভ করে। ফলে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ধর্মভিত্তিক দর্শনের আরো প্রতিফলন হয় ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া। এর ফলে ইসলাম ধর্মভিত্তিক আরো কয়েকটি দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে প্রবেশ করে। প্রায় সব দলই সংবিধানের মূল দর্শন থেকে দূরে সরে আসে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক অশুভ প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। এর প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায় ধর্মকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা। রাজনীতির এ বিবর্তনের ভয়াবহ পরিণতি অন্যান্য সংগঠনেও দেখা যায়। শুরু হয় শিক্ষা, সংস্কৃতি, শ্রমজীবী সংগঠনগুলোর রাজনীতিকায়ন। এর সঙ্গে বলা যায়, আইনজীবীদের জেলা পর্যায় থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত সংগঠনগুলোর অনুরূপ দৃশ্য। ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর রাজনীতিকায়ন অনেক আগেই হয়েছিল। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয় সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের রাজনৈতিক দলভিত্তিক বিভক্তি বা আনুগত্য। সার্বিকভাবে বলা যায়, রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানই দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে দারুণভাবে বিভক্ত। এর ফলে রাজনীতি বা অন্য সব রাষ্ট্রীয় বা রাষ্ট্রের বাইরের প্রতিষ্ঠানের মুষ্টিমেয় ব্যক্তি লাভবান হলেও রাষ্ট্রের ক্ষতি বৈ কোনো লাভ হয়নি। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য জাতি বা দেশগঠন। এ লক্ষ্য এখনো অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি অবশ্যই হয়েছে। হিংসাত্মক রাজনীতির ফলে এ ক্ষেত্রের উন্নতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অসম আয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার প্রসার হওয়ার ফলে সামাজিক সচেতনতা বাড়লেও শিক্ষার মান সম্পর্কে অনেকেরই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নারীসমাজের ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়নি।
জাতিগঠনের বিষয়ে আরো বলা যায়, এ দেশের নাগরিক হিসেবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সরকারই ব্যর্থ হয়েছে। সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধার্মিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাদের উপাসনালয়ও অনেক স্থানে ধ্বংস করা হয়েছে। রামুর বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করার ঘটনাই এর সাক্ষ্য বহন করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরসহ প্রতিমা ভাঙার ঘটনা কয়েক বছর ধরেই হয়েছে। ঘটনার পর থানায় মামলাও হয়। কিন্তু এর পরিণতি কী, তা সহজে জানা যায়নি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণের জন্য উগ্র মৌলবাদী চেতনাকে দায়ী করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। সব কিছুতেই রাজনীতিকে টেনে আনা হয়। সব ঘটনাসহ অন্যান্য সহিংস ঘটনা, যা প্রতিনিয়তই ঘটছে, তা প্রতিরোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা পালন করতে বহুলাংশে ব্যর্থ। কারণ আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া হয় না। সংসদেও এসব ঘটনা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সব বিতর্কে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এ বিতর্কই দৃশ্যমান হয়। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে সমার্থক বলে গণ্য করা হয়। একসময় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট বা দল বলছে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। অন্যদিকে বিরোধী জোট বা দল বলছে, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারকেই হতে হবে। মিডিয়াসহ নাগরিকসমাজের মতে, দেশ এখন গভীর সংকটে। কারণ প্রধান বিরোধী দল বা জোটের মতে, ক্ষমতাসীন সরকারকে নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে তারা মানবে না। তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নির্বাচন প্রতিহত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে সংসদের অধিবেশন গত বুধবার শেষ হয়েছে। নতুন নতুন আইন পাস করা হয়েছে।
এখন ক্ষমতাসীন সরকার নয়, বরং সর্বদলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। এ বিষয়টিও মিডিয়াসহ সুধীসমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর বিপক্ষে তারা অনেক কথাই বলেছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যা হয়েছে তা অরণ্যে রোদন মাত্র। এ মহল থেকে আরো অসম ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিপক্ষে বলা হয়েছে। কারণ সরকারি মহল থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদ সদস্যরা স্বীয় পদে বহাল থেকেই নির্বাচনের প্রার্থী হবেন। মন্ত্রীদের জন্যও একই সিদ্ধান্ত। এর ফলে সরকারি দলবহির্ভূত অন্য দলের প্রার্থীরা যে অসম ক্ষেত্রে নির্বাচন করতে বাধ্য হবে, তা নিয়ে কারো কোনো চিন্তা নেই। এ বিষয়টি মিডিয়ার প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের গোচরীভূত করলে কমিশনের প্রতিক্রিয়া ছিল, নির্বাচনী আচরণবিধির মাধ্যমে সমতা নিশ্চিত করা হবে। এর সঙ্গে উত্থাপিত হয় মন্ত্রীদের পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনের উত্তর ছিল, তারা পুলিশ প্রহরা পাবে। তবে তা মন্ত্রী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য। এ ধরনের গোঁজামিল ব্যবস্থা নিয়ে অনেকই সন্তুষ্ট নন।
গত ১৮ নভেম্বর সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় কিছু নতুন মুখ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এর ফলে জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের অন্তত দুজন প্রবীণ নেতাও মন্ত্রী হয়েছেন। এ দলের পুরনো আরো কিছু মন্ত্রী রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিরোধী দলের এক নেতার মন্তব্য হলো, এটা মহাজোটের বর্ধিত সরকার। তবে জাতীয় পার্টির নেতা মহাজোট থেকে বেরিয়ে এলেও তাঁর দলের কিছু সদস্য সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ মহাজোট ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েও মহাজোটের সরকারে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সংখ্যায় মন্ত্রী রয়ে গেলেন। রাজনীতিতে এ ধরনের ভেল্কিবাজি হয়েই থাকে। এটা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী সংসদের শেষ অধিবেশনে ঘোষণা দিয়েছেন যে সর্বদলীয় সরকার কোনো নীতি ও আইন প্রণয়ন করতে পারবে না। অথচ এ-সংক্রান্ত বিধি অর্থাৎ রুলস অব বিজনেস এখনো সংশোধন করা হয়নি।
লেখক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
(কালের কন্ঠ, ২৪/১১/২০১৩)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন