সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি হাসান হাফিজের জন্ম সোনারগাঁ উপজেলার এলাহিনগর গ্রামে। ১৫ অক্টোবর ১৯৫৫।
শিক্ষা : হোসেনপুর হাইস্কুল, ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাভাষা ও সাহিত্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে এমএ (ডাবল)।
পেশা : সাংবাদিকতা। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন দৈনিক বাংলায় পেশা-জীবনের সূচনা। দেশবরেণ্য কবি শামসুর রাহমান তখন ছিলেন দৈনিক বাংলার সম্পাদক। কাজ করেছেন কীর্তিমান সাহিত্যব্যক্তিত্ব সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত কলকাতার বিখ্যাত সাপ্তাহিক দেশের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে। আরও যুক্ত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠ, বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমার দেশ, পাক্ষিক অনন্যা, সঙ্গীত মাসিক সরগম এবং এইচ টিভির সঙ্গে। বর্তমানে তিনি দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রদায়ক সম্পাদক।
প্রকাশিত গ্রন্থ : মৌলিক ও সম্পাদিত মিলিয়ে ১৭৮। একক মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫১, একটি বের করেছে কলকাতার সাংস্কৃতিক খবর। দুটি কাব্যগ্রন্থ দ্বিভাষিক, ইংরেজি অনুবাদসমেত। তার কবিতা অনূদিত হয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, হিন্দি, আরবি, ফার্সি, উর্দু এবং চাকমা ভাষায়। প্রথম কবিতার বই ‘এখন যৌবন যার’ বের হয় ১৯৮২ সালে, ছাত্রাবস্থায়।
২০০৭ সালে মনীষী লেখক আবদুল মান্নান সৈয়দ লিখেছিলেন, ‘... হাসান হাফিজ সর্বাবস্থায় লিরিক কবি, গীতলতা তার কবিতার কেন্দ্রচারিত্র।... স্বাভাবিকভাবেই তিন দশকের অধিককাল ধরে কবিতা লিখছেন যে-কবি, তিনি বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে পরিভ্রমণ করেছেন- তার উপান্ত কবিতা মরমিয়তাকে স্পর্শ করে চলে যাচ্ছে আরও দূরে।’
হাসান হাফিজ প্রণীত শিশু-কিশোর গ্রন্থও বিপুল, শতাধিক। তিনি ছড়াশিল্পী, রম্য লেখক, অনুবাদক। ঈশপের অনেকগুলো নীতিগল্প ছড়ায় রূপান্তর করেছেন। এ সংক্রান্ত তিনটি ছড়াগ্রন্থ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত, আরও দুটি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক রূপকথা বাংলায় ভাবানুবাদ করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তারা টিভি চ্যানেল কর্তৃক হাসান হাফিজের কবিতা ‘শুধু বাংলাদেশ’ নিয়ে মিউজিক ভিডিও নির্মিত হয়। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ তারা টিভির তিনটি চ্যানেলে বহুবার সম্প্রচারিত হয় তা। সুর : বুদ্ধদেব, কণ্ঠ: লোপামুদ্রা মিত্র। অভিনয় করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সময়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা।
সম্প্রতি প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ২০১৮ সালে এ কবির জš§দিনের প্রাক্কালে এক শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন, ‘হাসান হাফিজ পেশায় সাংবাদিক এবং আমার জানামতে একজন নীতিনিষ্ঠ কর্তব্যপরায়ণ সাংবাদিক। তবে তার চেয়েও তার বড় পরিচয় সে বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি। গদ্য রচনায়ও তার পারদর্শিতা সামান্য নয়। সে অত্যন্ত সহƒদয় মানুষ, মৃদুভাষী, সদাহাস্যময়। তার পরোপকারবৃত্তির আমি একজন সাক্ষী।...’
প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা : শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, ডাকসু সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, এম নূরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কলকাতার সৌহার্দ্য কবিতা উৎসব সম্মাননা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় প্রেস ক্লাব লেখক সম্মাননা, কবি জীবনানন্দ দাশ সম্মাননা, কবিতালাপ পুরস্কার, টোনাটুনি পদক, হবিগঞ্জ শাখা জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা ইত্যাদি।
দুই মেয়াদে জাতীয় কবিতা পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। আশির দশকে সাড়া জাগানিয়া কবি সংগঠন পদাবলীর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য কবিদের মাসিক প্রকাশনা কবিতাপত্রের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।
বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ স্বীকৃত সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি) সাধারণ সম্পাদক। বিশ্বব্যাংকের ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রোগ্রামের ফিল্ড ট্রিপে সরজমিন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং ভারতের মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরালা, কর্নাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা।
সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ দলের হয়ে যোগ দিয়েছেন ইরাকের একাদশ আন্তর্জাতিক ব্যাবিলন সাংস্কৃতিক উৎসব, ফিজি, শ্রীলংকা ও ফিলিপিন্সে পরিবেশ সাংবাদিক কংগ্রেস, দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে আইইউসিএনের ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে। সাহিত্য, সাংবাদিকতা সূত্রে ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের ১৬টি দেশ।
হাসান হাফিজের স্ত্রী শাহীন আখতার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক। এ দম্পতির একমাত্র সন্তান ডা. শিহান তাওসিফ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
যুগান্তর: করোনায় ঘরবন্দি সময়ে কী লিখছেন কী পড়ছেন?
হাসান হাফিজ: এমন মৃত্যুহিম সংকট পরিস্থিতি ভূমণ্ডলে আর কখনা আসেনি। করোনাভাইরাস সব ধরনের স্বাভাবিকতা কেড়ে নিয়েছে। পড়া এবং লেখায়ও অনিবার্যভাবেই পড়েছে তার প্রত্যক্ষ ও ভয়াল ছাপ। বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার প্রথম ক’টি মাস তো জীবন-মৃত্যুর দোলাচলই প্রধান ও প্রবল ছিল। লিখছি কম। করোনা নিয়ে কবিতা-ছড়া, কথাশিল্পী নূর কামরুন নাহারের অনুরোধক্রমে লিখলাম ‘মেঘনা’ নদী নিয়ে কবিতা। বই হবে, ইংরেজি অনুবাদসমেত। এই তো বিগত শ্রাবণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্তিম দিনগুলি নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখলাম ভোরের কাগজ সাময়িকীতে। প্রকাশিতব্য বইয়ের পাণ্ডুলিপি গোছগাছ, সম্পাদনার কাজও চলছে একটু আধটু।
পড়ছি কোরআন শরিফের সহজ সরল বাংলা অনুবাদ (হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদকৃত), সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী, নীরদচন্দ্র চৌধুরীর ‘বাঙালী জীবনে রমণী’, ভূমেন্দ্র গুহের ‘আলেখ্য : জীবনানন্দ’, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘সেরা ১০১’ ইত্যাদি।
যুগান্তর: আপনার লেখালেখির শুরু থেকে সাহিত্যে বিশেষ পরিবর্তনের সময়টি বলেন, কী ধরনের পরিবর্তন চোখে পড়েছে?
হাসান হাফিজ: অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ। আমরা যারা গত শতাব্দীর সত্তর দশকের কবি-লেখক, তারা রক্তপ্লাবিত একটি নতুন দেশের অভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির সব শাখায় মহান মুক্তিযুদ্ধ খুবই বড় ও পবিত্র একটি অধ্যায়। শিল্পসাহিত্যে বাঁকবদলের চিরঞ্জীব উৎস ও উপাদান। বিশ্বের সব দেশের শিল্প-সাহিত্য কিন্তু এমন গৌরবময় আনন্দ-বেদনার অভিজ্ঞতার অধিকারী ও শরিক নয়।
যুগান্তর: করোনা পরিস্থিতিতে অথবা করোনা পরবর্তী কবিতার বিষয়বস্তুতে কোন ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে?
হাসান হাফিজ: কিছুটা পরিবর্তন তো আসবেই। মরমিবাদ হয়তো প্রাধান্য পেতে পারে। জীবন যে অতীব ঠুনকো একটা ব্যাপার, সেটা করোনাকালে বেশ ভালোমতো উপলব্ধি হয়েছে। ওই যে গানে আছে না ‘এক সেকেন্ডের নাই ভরসা...’! সঙ্গত কারণেই জীবন-মৃত্যু, উৎকণ্ঠাজনিত সেসব অনুষঙ্গ আসবে কবিতায়, কথাশিল্পে, সঙ্গীতে, চলচ্চিত্র- সর্বত্র।
যুগান্তর: বর্তমানে বাংলাদেশের সাহিত্যে ভালো লেখকের অভাব নাকি ভালো মানের পাঠকের অভাব?
হাসান হাফিজ: ভালো লেখকের অভাব সব দেশে সব সময়ই থাকে। ভালো মানের পাঠক আমরা তৈরি করতে পেরেছি বলে দাবি করা যায় না। এ ব্যাপারে আন্তরিক, বাস্তবোচিত কার্যকর উদ্যোগ ও ধারাবাহিকতার অনুপস্থিতি পীড়াদায়ক।
যুগান্তর: যাদের লেখা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে জীবিত এমন তিনজন লেখকের নাম।
হাসান হাফিজ: আহমদ রফিক, বদরুদ্দীন উমর, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
যুগান্তর: লেখক হিসেবে বহুল আলোচিত কিন্তু আপনার বিবেচনায় এদের নিয়ে এতটা আলোচনা হওয়ার কিছু নেই এমন তিনজন লেখকের নাম।
হাসান হাফিজ: বড়ই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। উত্তর দিতে ‘বিব্রত’ বোধ করছি। কানাকে কানা বলিতে নাই রে ভাই। এমন তেতো কথা না বললেই কি নয়? বহুল আলোচিত হলেই যে আখেরে ধোপে টিকবেন বা টিকে থাকতে পারবেন, এমন কোনো কথা নেই। লেখালেখি তো এখন কর্পোরেট ব্যাপার-স্যাপার হয়ে গেছে এ করকম। তবে মূল কথা হল, সময় হচ্ছে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে নিষ্ঠুর বিচারক। কবি জীবনানন্দ দাশের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে করতে পারি এ প্রসঙ্গে।
যুগান্তর: এখানে গুরুত্বপূর্ণ লেখকরা কী কম আলোচিত? যদি সেটা হয়, তাহলে কী কী কারণে হচ্ছে? এমন তিনটি সমস্যার কথা উল্লেখ করুন।
হাসান হাফিজ: আমাদের শিল্পসাহিত্যে নানা ধরনের, নিচুমানের, সংকীর্ণ গোষ্ঠীবদ্ধতা বিদ্যমান আছে। আগেকার দিনেও এসব যে ছিল না তা নয়, তবে ছিল সামান্য পরিমাণে। এখন তা অধিকতর জঘন্য, নির্মম এবং বিনাশীরূপ। আরও আছে নির্লজ্জ, নগ্ন দলীয়করণ, রাজনীতিকীকরণ। শিল্পসিদ্ধির চেয়ে মেধাহীন অন্ধ আনুগত্যই প্রধান বিবেচ্য।
এর সবকিছুই বড্ড অনভিপ্রেত। মারাÍক ক্ষতিকর এসব প্রবণতা। পুরস্কার পরিণত হয়েছে তিরস্কারে। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতে, ‘এ দেশে দলবাজি না করলে পুরস্কার পাওয়া যায় না।’ মর্মান্তিক সত্য যে, প্রতিষ্ঠানও এ গড্ডালিকাস্রোতে একীভূত ও বিলীন হয়ে গেছে। হা ঈশ্বর! প্রকৃত গুণীর কদর না হলে সৃষ্টিশীলতার এ কণ্টকিত জটিল পথের অভিসারী হতে আগ্রহ অনেকে হারিয়ে ফেলবেন। সেটাই স্বাভাবিক। ঘটছেও তাই।
যুগান্তর: সাহিত্য থেকে হওয়া আপনার দেখা সেরা সিনেমা।
হাসান হাফিজ: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’। বিখ্যাত উর্দু নভেল ‘উমরাওজান আদা’ অবলম্বনে ‘উমরাওজান’।
যুগান্তর: কার অভিনয় ভালো লাগে?
হাসান হাফিজ: কার, না কার কার? উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, দিলীপ কুমার, উৎপল দত্ত, শাবানা আজমী, আমার দুই বন্ধু হুমায়ুন ফরীদি, আফজাল হোসেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল রিপোর্টার হিসেবে কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা দিলীপ কুমার, শাবানা আজমী ও উৎপল দত্তের সাক্ষাৎকার গ্রহণের। দৈনিক বাংলা ও দৈনিক জনকণ্ঠে সেসব সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল। সেসব আমার এ অকিঞ্চিৎকর জীবনে অত্যুজ্জ্বল আনন্দঘন স্মৃতি। এরা তিনজনই এসেছিলেন বাংলাদেশে।
যুগান্তর: এমন একজন নায়িকার কথা বলুন যার প্রেমে পড়তে চান।
হাসান হাফিজ: সুচিত্রা সেন।
যুগান্তর: জীবিত একজন আদর্শ রাজনীতিবিদের নাম বলুন।
হাসান হাফিজ: হায়দার আকবর খান রনো।
যুগান্তর: দুই বাংলার সাহিত্যে তুলনা করলে বর্তমানে আমরা কোন বিভাগে এগিয়ে কোন বিভাগে পিছিয়ে?
হাসান হাফিজ: কবিতায় আমরা কিছুটা হলেও এগিয়ে আছি, এটা জোর দিয়ে বলতে চাই। আমাদের কবিতা অনেক বেশি প্রাণময়, স্বতঃস্ফূর্ত, বৈচিত্র্যস্বাদু, লাবণ্যমণ্ডিতও বটে। কথাশিল্পে, মননধর্মী গদ্যে আমরা ভালোই পিছিয়ে আছি তুলনায়। তারপরও একথা সত্য যে, অদূর বা নিকট ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যের রাজধানী হবে ঢাকা। এটি অবশ্যই এক অনিবার্যতা। সেই লক্ষণ ক্রমেই পরিস্ফুট হয়ে উঠছে। বাংলা সাহিত্য ভাষা শহীদের রক্তে রঞ্জিত এ দেশেই টিকে থাকবে। উত্তরোত্তর উৎকর্ষ অর্জনে বিকশিত, পল্লবিত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো না কোনো সময় স্বীকৃতও হবে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
যুগান্তর: একজন অগ্রজ এবং একজন অনুজ লেখকের নাম বলুন, যারা বাংলা সাহিত্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হাসান হাফিজ: আল মাহমুদ। মঈনুল আহসান সাবের।
যুগান্তর: এমন দুটো বই, যা অবশ্যই পড়া উচিত বলে পাঠককে পরামর্শ দেবেন।
হাসান হাফিজ: ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’।
যুগান্তর: লেখক না হলে কী হতে চাইতেন।
হাসান হাফিজ: ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। চারুশিল্পী হওয়ারও স্বপ্ন মনে পুষতাম এক সময়। শেষতক হয়েছি সাংবাদিক, যা গ্রামে বেড়ে ওঠা ছেলেটির শৈশবে ভাবনায় কস্মিনকালেও ছিল না। আনন্দেও কথা, আমার একমাত্র সন্তান শিহান তাওসিফ গৌরব ডাক্তার হয়েছে। আল্লাহর অশেষ করুণা, সে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
যুগান্তর: আপনার সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়, সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয়।
হাসান হাফিজ: ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক, ভ্রমণ। অপ্রিয়- মানুষের অকৃতজ্ঞতা, বিশ্বাসঘাতকতা, কার্পণ্য, প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও পরমতসহিষ্ণুতার অভাব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন