অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সমন্বয়কদের দিয়ে বক্তব্য পাঠ করানো হয়েছে বলে বৈষম্য নিরসন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে তারা নাহিদ ইসলামসহ সাত সমন্বয়কের আন্দোলন প্রত্যাহার করার বিবৃতি প্রত্যাখান করে জানিয়েছেন আন্দোলন চলবে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত। দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার রাতে ডিবি কার্যালয়ে বসে ছয় সম্বয়ক আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করে বিবৃতি পাঠ করেন। এর আগে সাত সমন্বয়কদের গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থ অভিযোগ করেছেন, ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এই লিখিত বক্তব্য পাঠ করানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবৃতি আদায় ছাত্রসমাজ মেনে নিবে না।
আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, "সমন্বয়কদের জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে যে বিবৃতি দেওয়ানো হইছে, সেটা কখনোই জাতির নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আটককৃত সমন্বয়করা ভয়ভীতির মুখে গোয়েন্দা সংস্থার লিখে দেওয়া যে বক্তব্য কেবল রিডিং পড়ে গেছে, আমরা সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং একইসাথে জোরপূর্বক বক্তব্য আদায় করার মতো সরকারের এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
তিনি বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, পূর্বে উত্থাপিত ছাত্র হত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। দেশবাসীর প্রতি আহবান, আপনারা কোনোপ্রকার বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোটার জন্য সরকার এতোগুলা মানুষকে হত্যা করেছিল, সেই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন