বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ ছিল বিগত সরকারের আমলে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসীন থেকে যারা নির্বাচন কলুষিত করেছে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। অন্তর্বর্তী সরকার তা না করে তাদের শক্ত অবস্থান সম্পর্কে বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে সংস্কার, এরপর নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে আলোচনা চলছে, এটা কোনো বাস্তবসম্মত কথা নয়। সংস্কারের নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য জনগণের ভোটাধিকার লঙ্ঘনও অযৌক্তিক।
গুলশানের নিজ বাসভবন থেকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্ন : বর্তমান সরকারের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
মঈন খান : অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার তথা মৌলিক অধিকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দেবে। এর মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের প্রত্যাশা দেশে অবিলম্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রশ্ন : বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠছে, আপনি এটাকে কীভাবে দেখেন?
মঈন খান : আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের অবদান কতটুকু, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল।
আমাদের এখন প্রশ্ন করতে হবে আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতন্ত্রে আদৌ বিশ্বাস করে কি করে না। বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন বলেছে, আওয়ামী লীগ ২০০৯ থেকে ২০২৪ এই সময় বাকশাল-টু কায়েম করেছিল। এই পর্যায়ে আওয়ামী লীগ মুখে বাকশাল বলেনি কিন্তু বাস্তবে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। এমন ব্যবস্থা করেছিল যে সবাইকে একই সুরে কথা বলতে হবে। এটা মানুষের বাকস্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ।
যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সেখানে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বহাল থাকা কিংবা নির্বাচনে অংশগ্রহণ এসব পারিপার্শ্বিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। তবে বিগত ১০০ দিনেও তারা তাদের ভুলের চোরাবালি থেকে বের হতে পারেনি। তাদের মধ্যে এখনো কোনো অনুশোচনা নেই। আপনি কি একজনও আওয়ামী রাজনীতিক অথবা তাদের সমর্থক তথাকথিত সুশীল সমাজ অথবা বুদ্ধিজীবীকে আত্মোপলব্ধি করে বলতে শুনেছেন, তারা চরম অন্যায় করেছে, এ জন্য তারা জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী?
প্রশ্ন : নির্বাচনি রোডম্যাপ কতটা জরুরি বলে মনে করেন?
মঈন খান : কবে কখন কীভাবে নির্বাচন হবে সেটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সে কারণেই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বারবার বলেছি অতি দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করুন। আমরা জানি, অনেক কিছু সংস্কার করতে হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। নিরবচ্ছিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই মানবসভ্যতার অগ্রগতি হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং আমি আগে সংস্কার করব এরপর নির্বাচন দেব, এটা কোনো বাস্তবসম্মত কথা হতে পারে না। সরকার এখন যেসব সংস্কারের কথা বলছে, এগুলো কখনো শেষ হবে না। আজ যে সংস্কার করা হবে সেটা আগামীকাল পুনরায় সংস্কারের প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই সংস্কার এবং নির্বাচনপ্রক্রিয়া সমানতালে চলতে হবে।
প্রশ্ন : বিএনপি কোন কোন সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে?
মঈন খান : নির্বাচনি সংস্কার। আওয়ামী লীগের আমলে যেসব নির্বাচন হয়েছে সেগুলোকে নির্বাচন বলে না। তাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার অত্যাবশ্যক সেগুলোর ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের প্রথম কাজ ছিল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা, যেটি তারা করেছে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা ওয়েস্ট মিনস্টার পদ্ধতির। এ ব্যবস্থায় সারা দেশে এক দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০ আসনে এক দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠান বিশাল কর্মযজ্ঞের বিষয়। সেদিন নির্বাচন পরিচালনার জন্য লাখ লাখ লোকের প্রয়োজন হয়। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লাখ লাখ কর্মী থাকতে পারে না, এটা যুক্তিসম্মত নয়। সরকার তখন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, পুলিশ, আনসার বাহিনী এমনকি সেনাবাহিনীকে যুক্ত করে কমিশন তৈরি করে নেয়। তাই প্রশাসনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সংস্কার আনাটাও প্রথম পর্যায়েই অত্যাবশ্যকীয়। নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হচ্ছেন চারজন। ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি। মাঠপর্যায়ে এই চারজন নির্বাচনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এই পদগুলোতে যেভাবে দলীয়করণ করে গেছে, তাতে এ প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ ছিল বিগত সরকারের আমলে এসব পদে থেকে যারা নির্বাচন কলুষিত করেছে, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলছি, তারা এ কাজটি সময়মতো করতে পারেনি। আমি আশা করি, এই গাফিলতির খেসারত তাদের যেন দিতে না হয়। এখনো সময় রয়েছে। সরকার ধীরগতিতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার করতে হবে আনসার বাহিনীকেও। আজকের নতুন প্রজন্ম এখনো ভোট দিতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব তাদের অবিলম্বে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। সংস্কারের নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের ভোটাধিকার লঙ্ঘন যুক্তিসংগত হতে পারে না।
প্রশ্ন : প্রশাসনিক বাহিনীর এসব সংস্কারের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
মঈন খান : অন্তর্বর্তী সরকারকে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি বাহিনীতে লাখ লাখ লোক রয়েছে। সবাইকে চাকরিচ্যুত করা সম্ভব নয়। এটি কোনো বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তও নয়। এ রকম হলে দেশ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত না করে যদি দৃষ্টান্ত হিসেবে ২০ জনকে অথবা ২০০ জন অসৎ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়, তবে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এতে বাকিরা সতর্ক হয়ে যাবে। জনগণ বুঝতে পারবে অন্তর্বর্তী সরকার সঠিক পথে এগোচ্ছে। এই অন্তর্বর্তী সরকার বিগত ১০০ দিনে দেশবাসীকে এই বার্তাটি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রশ্ন : সংবিধান পরিবর্তনের ইস্যু নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?
মঈন খান : সংবিধান দশবার পরিবর্তন কিংবা পুনর্লিখন করা যেতে পারে, বিশবার সংস্কার করা যেতে পারে। এটা মুখ্য বিষয় নয়। যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের মনমানসিকতায় পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ আমাদের ভোট দেয় তাদের শাসন করার জন্য নয়, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ পরিচালনার জন্য। এবং এটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, চিরদিনের জন্য নয়। ঠিক এই জায়গাটিতে আওয়ামী লীগ ভুল করেছিল। ভেবেছিল তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় এসেছে। যে ভুলের খেসারত এখন আওয়ামী লীগ দিচ্ছে। আমাদের যে কোটি কোটি জনগণ রয়েছে তাদের মানসিকতায় যদি পরিবর্তন এসে থাকে, তাহলে সংবিধান পরিবর্তন হবে নাকি সংস্কার হবে সেটা আমার কাছে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নয়। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার বিষয়টি ইতোমধ্যে সংবিধানে লিপিবদ্ধ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২ থেকে ’৭৫ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সময়কালে কাগজকলমে স্বৈরশাসন কায়েম করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছে। এই যদি হয় পরিস্থিতি, তাহলে সংবিধান সংস্কার, পরিবর্তন কিংবা পুনর্লিখন কোনো কিছুতেই কোনো ফায়দা হবে না। ক্ষমতা নয়, রাজনীতিকরা সত্যিকার অর্থে দেশ সেবার মনোভাব নিয়ে রাজনীতি করলে এসব তথাকথিত ‘তাত্ত্বিক বিষয়’-এর প্রবক্তারা হালে পানি পাবেন না।
প্রশ্ন : ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে আপনি কীভাবে দেখেন? তবে বিএনপির অবদান কতটুকু?
মঈন খান : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সফলতাকে সবাই একইভাবে দেখছে। ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন। তারা বীরের মতো বুকের রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সমমনা ৪৪টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে এসেছে বছরের পর বছর। বিজয় এসেছে ৫ আগস্ট। কিন্তু এটি শেষ কথা নয়। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এতকাল ধরে প্রতিবাদ করেছে। জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে তাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ফুটবল খেলায় গোল করে একজন কিন্তু তাই বলে বাকি ১০ জনের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। বিগত ১৫ বছরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যে জেলজুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে তাকে ভুলে গেলে চলবে না। আমরা যদি শুধু একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে এই বিজয়ের দাবিদার হিসেবে চিহ্নিত করি, তবে সেটা সঠিক বিশ্লেষণ হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ এই বিজয়ের অংশীদার।
প্রশ্ন : ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দখল-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
মঈন খান : এখানে তিনটি বিষয় রয়েছে। প্রথমত কিছু অসংগতি হয়েছে এবং বিষয়টি বিএনপি স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপির সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে; কিংবা শোকজ করা হয়েছে। কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়, সে জন্য বিএনপি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দ্বিতীয়ত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার কতিপয় নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মী সবাই তো আর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেননি। তারা দেশেই রয়েছেন। তারা এখন বিএনপির মধ্যে মিশে গিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন আর তার দায় বিএনপির ঘাড়ে বর্তাচ্ছে।
তৃতীয়ত ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের পর কিছু ঘটনা ঘটেছে। এগুলো ছিল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। অনিবার্য এই ঘটনাগুলো অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। বরং বলা যায়, এসব ঘটনা যদি না ঘটত তবে সেটিই হতো অস্বাভাবিক। এখানে স্পষ্ট করা প্রয়োজন, বিগত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে জুলম-অত্যাচার ও বিচারব্যবস্থা কুক্ষিগত করার মাধ্যমে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, জায়গাজমি ও ব্যবসাবাণিজ্য দখল করে নিয়েছিল, সেগুলো উদ্ধারের ঘটনা আমাদের তথাকথিত প্রগতিশীল মিডিয়াগুলো চমৎকার করে বিএনপির দখলবাজির ঘটনা হিসেবে সযত্নে প্রথম পৃষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে পরিবেশন করেছে। আমার এ বিষয়ে বোধ হয় আর অধিক না বলাই উত্তম।
প্রশ্ন : সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে বিএনপির ভাবনা কী?
মঈন খান : ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে অতীতে আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছি তেমনি সামনের দিনগুলোতেও গণতন্ত্রকামী দলগুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন : বিএনপি নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলছে। এটা কীভাবে করা হবে?
মঈন খান : গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী দল অত্যাবশ্যকীয়। জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে ভয় থাকে, সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে পারে। এ জন্যই যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, আমরা তাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি। এর মধ্যেও মতবিরোধ থাকতে পারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, পদ্ধতিগত দিক নিয়ে, বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে; কিন্তু সবার আদর্শই এক, তা হলো বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্র কায়েম করা। এ জন্যই আমরা বলছি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবিলম্বে জনগণের মতামত প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্ন : ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠনে প্রক্রিয়াকে কীভাবে দেখছেন?
মঈন খান : এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তাদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হয় তবে তাদের স্বাগত জানাই। তবে তাদের নিয়ে বলা হচ্ছে, তারা সরকারে থেকে কিংস পার্টি গঠন করছে। সেটিও মুখ্য বিষয় নয়। তাদের বিএনপির কাছে পরীক্ষা দিতে হবে, এমনটিও নয়। তাদের পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশের জনগণের কাছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান- তার পরীক্ষক দেশের ১২ কোটি ভোটার।
প্রশ্ন : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন? দেশে ফিরতে তাঁর বাধা কোথায়?
মঈন খান : তারেক রহমান সঠিক সময়ে দেশে আসবেন, এই নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিতে পারি।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মঈন খান : আপনাদেরও ধন্যবাদ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন