২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করেছিলেন সম্প্রতি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রীরা। শুধু ফুলপরী নয়, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিত বিরতিতে দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কলেজের-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুধু সাধারণ বা নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপরও অমানবিক নির্যাতন চালানোর বহু ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ও কলেজগুলোতে আধিপত্য ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় হামলার শিকার হয়েছেন নিজ দলের কর্মীরাও। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জাতীয় পত্রিকা ও গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ১৫ বছরে ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন কমপক্ষর ৫ হাজার ৩২৭ জন। নিজেদের দলীয় কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। এ সময়কালে ধর্ষিত হয়েছেন ১৪ জন নারী আর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ভুক্তভোগী ৬৯ জন।
৩৩৯টি ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী নিপীড়ন ১০৩২ জন
২০০৯ সাল থেকে ছাত্রলীগ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের দমন করতে তারা তৎপরতা শুরু করে। সেই সাথে নতুন কর্মী সংগ্রহ করতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গেস্টরুম কালচারকে তারা বেছে নেয়। দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে র্যাগিং এর নামে সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতন দেশ ব্যাপী আলোচিত হয়। এছাড়া হল ও ছাত্রাবাসগুলোর কক্ষগুলোতে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বল প্রয়োগ করতে থাকে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হল ও আবাসিক হোস্টেলে কারা থাকবে সেটি নির্ধারণ করা শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হল প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়ে। এর বিপরীতে কোন সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দেয় তারা।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত ১৫ বছরে ৩৩৯টি ঘটনায় ১০৩২ জন সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। মোট ৫৮টি। যেখানে মোট ২৫১ জন সাধারণ শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০১৯ সালে ৩২টি ঘটনায় ১৯৭ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হন। এছাড়া ২০০৯ সালে ১৮টি ঘটনায় ৫৪ জন, ২০১০ সালে ২৬টি ঘটনায় ৫৬ জন, ২০১১ সালে ৩৩টি ঘটনায় ৮০ জন, ২০১২ সালে ৯টি ঘটনায় ৪২ জন, ২০১৩ সালে ৩টি ঘটনায় ১০ জন, ২০১৪ সালে ২০টি ঘটনায় ৪৫ জন, ২০১৫ সালে ২৯টি ঘটনায় ৫২ জন, ২০১৬ সালে ১৬টি ঘটনায় ৮২ জন, ২০১৭ সালে ১৪ ঘটনায় ১৯ জন, ২০১৮ সালে ১১টি ঘটনায় ২৩ জন, ২০২০ সালে ৬টি ঘটনায় ৬ জন, ২০২১ সালে ১৭টি ঘটনায় ৮১ জন, ২০২২ সালে ৪৭টি ঘটনায় ৭৪ জন সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়, যা দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। এসব নির্যাতনের ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে ১৫০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার ও নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের করা মামলায় ৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
৯৯টি রাজনৈতিক নিপীড়নের ঘটনায় আহত ৪১১
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব কাজে লাগিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। ফলে বিরোধী দলের ছাত্রসংগঠনগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ক্ষমতার প্রভাব থাকায় পুলিশ প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নীরব ভূমিকা ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ করে। ফলে বিরোধী দলের ছাত্রসংগঠনগুলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হল, ছাত্রাবাস ও হোস্টেল থেকে বিতাড়িত করে তারা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একক আধিপত্য বিস্তার করে। ফলে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর অনেক নেতাকর্মী কর্তৃক নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়।
দেখা যায়, সারাদেশে ৯৯টি ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪১১ জন। এর মধ্যে ২০০৯ সালে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪টি রাজনৈতিক নিপীড়নের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ১২১ জন বিরোধী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হয়। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সারা দেশে আধিপত্য পরিবর্তনের ধারা শুরু হয় সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষাঙ্গনে সব থেকে বেশী রাজনৈতিক নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২০১০ সালে ৯টি ঘটনায় ৪২ জন, ২০১১ সালে ৯টি ঘটনায় ৩০ জন, ২০১২ সালে ২টি ঘটনায় ৫৩ জন, ২০১৫ সালে ২৩ টি ঘটনায় ৮২ জন, ২০১৬ সালে ১১টি ঘটনায় ১৫ জন, ২০১৭ সালে ৮টি ঘটনায় ১৬ জন, ২০১৯ সালে ৩টি ঘটনায় ৫ জন, ২০২০ সালে ১টি ঘটনায় ১ জন, ২০২১ সালে ২টি ঘটনায় ৪ জন, ২০২২ সালে ৩টি ঘটনায় ১২ জন ও ২০২৩ সালে ৪টি ঘটনায় ৩০ জন গুরুতর আহত হন বলে দেশের প্রকাশিত গণমাধ্যমের।
অর্ন্তদলীয় মারধরের ৫১৩টি ঘটনায় ৩৮৮৪ আহত
গ্রুপ আধিপত্য ধরে রাখতে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে প্রায় সময়ই। ফলে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত, আহত ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে হল গ্রুপিং, সভাপতি পক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষ, ক্ষমতাসীন দলের কোন বিশেষ নেতার অনুসারীর সাথে অন্য নেতার অনুসারী, স্থানীয় ও এলাকা কোরাম ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে গ্রুপিং শুরু হয়। ফলে একটি গ্রুপ অন্য গ্রুপের উপর আধিপত্য বজায় রাখতে তৎপরতা শুরু করে। ফলে এসব গ্রুপিং এর মধ্যে সংঘর্ষ অবধারিত হয়ে পড়ে। ১৫ বছরে জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, ছাত্রলীগের মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত মোট ৫১৩টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রাণ হানি ঘটে প্রায় ৪৭০ জন নেতাকর্মীর। আহত হয় ৩ হাজার ৮৮৪ জন।
সাল ভিত্তিক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৯ সালে সর্বাধিক ৭১টি অন্তর্দলীয় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে যেখানে আহত হয়েছে ৬৪৪ জন নেতাকর্মী। এছাড়া ২০১০ সালে ৪৫টি ঘটনায় ৩৩৪ জন, ২০১১ সালে ৪টি ঘটনায় ২৭ জন, ২০১২ সালে ৫৩টি ঘটনায় ৫২৪ জন, ২০১৩ সালে ১২টি ঘটনায় ১৬৪ জন, ২০১৪ সালে ৩৮টি ঘটনায় ২৪৭ জন, ২০১৫ সালে ২৮টি ঘটনায় ২৬১ জন, ২০১৬ সালে ৬৪ ঘটনায় ৩৬২ জন, ২০১৭ সালে ৪২টি ঘটনায় ২০৫ জন, ২০১৮ সালে ৪৫টি ঘটনায় ২৭০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬টি ঘটনায় ৩৫৩ জন, ২০২০ সালে ৪টি ঘটনায় ২৪ জন, ২০২১ সালে ২৫টি ঘটনায় ১৭৯ জন, ২০২২ সালে ৫টি ঘটনায় ৭ জন ও ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৪১টি ঘটনায় ২৮৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সকল দ্বন্দ্বের কারণে নিজ দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীও নিহত হন।
১৫ বছরে ছাত্রলীগের হাতে ধর্ষণের শিকার ১৪ জন ও যৌন নিপীড়িত ৬৯ জন
নব্বইয়ের দশকে জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগ নেতা মানিকের 'ধর্ষণের সেঞ্চুরি' ছিল আলোচিত ঘটনা| ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও বেপরোয়া ছাত্রলীগের আরেকটু রূপ ফিরে আসে। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মত অপকর্মের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। বিশেষ করে ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা এক নারীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই বিবস্ত্র করে ফেলে। এছাড়া নারায়নগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন, সিলেটের মুরালী চাঁদ কলেজে ধর্ষণ, কক্সবাজারে দর্শনার্থী ধর্ষণ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা, ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন, বগুড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, সাতক্ষীরায় নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ ছিল সারা দেশের আলোচিত ঘটনা।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ১৫ বছরে ছাত্রলীগের মোট ১৪টি ধর্ষণের ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকায় ২০০৯ থেকে ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে সর্বাধিক ৬টি, ২০১০ ও ২০২০ সালে ৩টি এবং ২০১১ ও ২০১২ সালে ১টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সারাদেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্তৃক ৬৯টি যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রতিটি ঘটনায় ১ জন করে মোট ৬৯ জন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনার পেছনের কারণগুলো থেকে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইভটিজিং, প্রেমের প্রলোভন দেখানো, অবৈধ সম্পর্কের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতিসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন।
পত্রপত্রিকার তথ্য উপাত্ত থেকে দেখা যায়, ২০১০, ২০১১ ও ২০১৫ সালে ১০ জন করে, ২০২২ এ ৯ জন, ২০০৯ এ ৫ জন, ২০২৩ এ ৪ জন, ২০১৬ ও ২০১৯ এ ২ জন করে ছাত্রী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। ২০১২ ও ২০২১ সালে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের কোনো খবর দেশের পত্রপত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যায়নি|
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী বর্ণনা দেন। সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন বলেন, ছাত্রলীগের নেত্রী আমাকে এতটাই নির্যাতন করে ছিল যে, আমার কাছ থেকে সুইসাইড নোট লিখে নিয়ে বলে, এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখবো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, নিবর্তনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে বিনা অপরাধে এক বছর জেল খেটেছি। কিডনি রোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকার একটি আদালত বারবার আমার জামিন আবেদন নাকচ করে আসছিলেন। বিনা দোষে জেল খাটার পরও আমার পক্ষে বিভাগের থেকে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। কিছু কিছু শিক্ষকের পক্ষ থেকে যে আচরণ পেয়েছি, তাতে সবচেয়ে বেদনাহত হয়েছি। জেল থেকে বের হয়ে ২০ দিনের মাথায় ভাইভা বোর্ডে যেভাবে প্রশ্ন করে হেনস্তা করা হয়েছে, সেটি আমাকে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী কাজি ফারজানা মিম বলেন, আমি প্রথমে যৌন হয়রানির শিকার হই। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আমি উল্টো হেনস্তার শিকার হই। বিচার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক ক্ষমতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় আমাকে ফেল করানো হয় এবং আমি পুনরায় প্রতিবাদ করি ও নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
ইডেন কলেজের ছাত্রী জায়মা মুনমুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ হলগুলোতে দখলদারিত্ব চালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো, না গেলে মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, জোরপূর্বক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত করানো, ক্যান্টিনে চাঁদাবাজি করাসহ নানারকম অপকর্মে যুক্ত ছিল সংগঠনটির একটি বড় অংশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন