সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে চারটি গণহত্যা চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সিরাত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের সময় দেশ সেরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কথিত ফাঁসির রায় দেয়ার দিন সারাদেশে যখন প্রতিবাদ শুরু হয়, তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। সেটা ছিল দ্বিতীয় গণহত্যা। তৃতীয় গণহত্যা ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে রাতের আধারে গণহত্যা চালানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গণহত্যা ছিল জুলাই গণহত্যা। ছাত্ররা অধিকারের কথা বলেছিল, তাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা ছিল শেখ হাসিনার নৃশংস গণহত্যা।’
তিনি আরো বলেন, ‘৫৪ বছরে মানবিক বাংলাদেশ হয়নি, ৫৪ বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার আমল ছিল সবচেয়ে বৈষম্যপূর্ণ শাসন, তাতে ন্যায় বিচার ছিল না।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে ঘোমটা পড়েন, তাছবিহ হাতে নিয়ে নাটক করতেন, আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতারা বলতেন, শেখ হাসিনাকে তারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে দেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামী রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয়া হয় অমুসলিমদেরকে। ৫ আগস্টের পর বিশ্ব দেখেছে, জামায়াতে ইসলামী কিভাবে অমুসলিমদের নিরাপত্তা দিয়েছে। কিছু অঘটন ঘটেছে, তবে তা ছিল ব্যক্তিগত বিরোধ, টাকা-পয়সার পূর্বের লেনদেন ইত্যাদি কারণে। এসব বিষয়কেও জামায়াত সমর্থন করেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না, সকল চক্রান্ত নস্যাত করে দেয়া হবে।’
মাওলানা মুখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে, কাজী মহসিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সিরাত মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন শায়েখ মাহমুদুল হাসান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিক বিন বদরুল হুদা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন