আরও একটা টেস্ট ম্যাচ লজ্জাজনকভাবে হারলো বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর স্বপ্ন দেখাও কঠিন, কিন্তু যেই ম্যাচের প্রায় তিনদিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলো। সেই ম্যাচও দেড় সেশন বাকি থাকতে হেরে যাওয়া চরম লজ্জার।
চতুর্থ দিন বিকেলে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে টি-টোয়েন্টির মতো ব্যাট করলো স্বাগতিক ব্যাটাররা। আর পঞ্চম দিনে ঝরাপাতার মতো উইকেট পড়লো তথাকথিত টাইগারদের। বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসে বহু লজ্জাজনক হারের মুখোমুখি হয়েছে, টেস্টে বাজে সব রেকর্ড করেছে, কিন্তু এই ম্যাচে যেভাবে হারলো তা বাংলাদেশের মানের সাথে তুলনা করলেও দৃষ্টিকটু।
খুনি আওয়ামী সরকারের পাতানো নির্বাচনের এমপি সাকিব আল হাসান সম্ভবত জীবনের শেষ টেস্টটা খেলে ফেললেন। আর শেষ ইনিংসে তিনি আউট হলেন কোনো রান না করেই। তাও খুব বাজে রকম শট খেলতে গিয়ে।
যখন দলের সামনে একমাত্র লক্ষ্য ছিল দিনভর কোনোমতে ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করা, সেই সময় সাকিবের মতো দেড় দশক ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়ের এই ধরনের আউট যে কারও মনে সন্দেহ জাগাতে পারে যে, তিনি ইচ্ছা করেই এমন করলেন নাতো? ক্রিকেট জুয়ার মিলিয়ন ডলারের ব্যবসায় তিনি যুক্ত নন তো? সাকিব কি ম্যাচ গড়াপেটা করেন?
নামটা যেহেতু সাকিব, এই সন্দেহ হতেই পারে। খেলোয়াড়ি দক্ষতা যেমনই হোক, টাকার জন্য তিনি কতটা উদগ্রীব তা বহুবার প্রমাণিত। নানারকম সমালোচনার পরেও তিনি নিজেকে কখনো দমাতে পারেননি টাকার নেশা থেকে। এইতো গত সপ্তাহেই শেয়ার বাজারে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য তিনি বড় অঙ্কের জরিমানা দিয়েছেন। তিনি কাঁকড়া ব্যবসায় যুক্ত হয়ে পাওনাদারদের ঠকিয়েছেন, লোকে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু আওয়ামী সরকার তাঁকে সুরক্ষা দিয়েছে।
আর সবচেয়ে বড় কথা সাকিবের সাথে ভারতীয় জুয়ারি আগরওয়ালের রহস্যময় সম্পর্ক। একবার নয়, দুইবার নয় তিন তিনবার তাঁর সাথে আলাপ হয়েছে বলে জানা গেছে। আগারওয়াল সাকিবের ডলারের অ্যাকাউন্ট অ্যাড্রেস জানতে চায়, বিট কয়েন নিয়েও আলাপ হয়। সাকিব ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে দেখাও করতে চায়। এতকিছুর পর তদন্ত হতে পারে জেনে মেসেজ ডিলিট করে দেয়। সাকিব দীর্ঘদিন ধরে আইসিসির শয়ে শয়ে ট্রেনিং ক্লাস করেছে কীভাবে জুয়ারিদের থেকে দূরে থাকতে হয়, অ্যাপ্রোচ করা মাত্র রিপোর্ট করতে হয়, অথচ সেই সাকিব কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানায়নি।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ক্রিকেট রাজনীতিতে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান, ভারতের তাঁবেদারির কারণে সাকিব বড় সাজা থেকে বেঁচে গিয়ে মাত্র এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেছিল। ফিরে এসেও দলের সংহতি নষ্ট করেছে, ভারতে হওয়া বিশ্বকাপটা ছিল বাংলাদেশের জন্য জঘন্য।
আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষমতা আর অর্থের লোভে বোর্ডের কর্তারা পাতানো খেলা দিয়ে ঘরোয়া লীগগুলো তামাশায় পরিণত করেছে। সে আলাপ আরেকদিন বিশদে করা যাবে। কিন্তু, এখন জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী এমপি সাকিব আর তাঁর দোসররা কি ম্যাচ পাতিয়ে দেশের সাথে বেঈমানি করেছে? দেশের মানুষের ভালোবাসা আর কোটি কোটি টাকা পেয়েও কি দেশকে ছুরি মেরেছে? এর তদন্ত করা খুবই জরুরি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন