বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারকে তথ্যযুদ্ধ বলে মনে করেন ফ্যাক্ট চেকাররা। আর কূটনীতিকরা বলছেন, বাংলাদেশ ঘিরে নীলনকশা বাস্তবায়নের পথে বাধা আসায় অপপ্রচারে লিপ্ত দিল্লি। বাংলাদেশকে অষ্টম সিস্টার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ষড়যন্ত্রের অংশ এটি। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের।
সংবাদ নাকি গল্প? শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর ও টকশো নিয়ে যেকোনো সচেতন মানুষ এ প্রশ্ন করবেন। তাদের সব শেষ মিথ্যাচারের নজির দেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুজব।
সম্প্রতি সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বানোয়াট খবর দেখলে মনে হবে যেন ধর্মযুদ্ধ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এ ঘটনায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও ভুল তথ্য দিয়ে দেয়া হয়েছে বিবৃতি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের গ্রেফতার, বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণসহ নানান ভুয়া তথ্য ছড়ায় দেশটির গণমাধ্যমগুলো।
ফ্যাক্ট চেকাররা বলছেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহের এ যুগে আর অস্ত্র নয় যুদ্ধ হয় তথ্য দিয়ে। মিথ্যা দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্যযুদ্ধে নেমেছে ভারত।
ডিসমিসল্যাবের লিড রিসার্চার মিনহাজ আমান বলেন,
তথ্যযুদ্ধ বর্তমানে সারা বিশ্বেই আছে। ভারতের গণমাধ্যম বন্ধ হলে তো বাংলাদেশের গণমাধ্যমেই সংবাদটা প্রকাশ হবে! তারা যেটা করছে, সেটা গুজব ছড়াচ্ছে।
স্বার্থে আঘাত আসায় বিশ্বের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে ভারত এমনটি বলছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ।
তিনি বলেন,
বিগত ১৫ বছর হাসিনাকে সামনে রেখে ভারত বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছিল! এখন বাংলাদেশকে আবার কীভাবে তাদের আওতায় নেয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করছে। তারা মনে করে, বাংলাদেশকে অষ্টম সিস্টার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে তাদের সেভেন সিস্টার্স নিরাপদ থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলছেন, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার কোনো চেষ্টা সফল হবে না। তিনি জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের গণমাধ্যমকে বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তা না করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন