ডিজিটাল জীবনমানে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের পেছনে অবস্থান বাংলাদেশের। আর বিশ্বের ১১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১০৩তম স্থানে।
সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ‘সার্ফশার্ক’ পরিচালিত ‘ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্স ২০২১‘ শীর্ষক তৃতীয় বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাঁচটি মৌলিক ডিজিটাল সুবিধার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রস্তুত করেছে সার্ফশার্ক। প্রতিষ্ঠানটি তাদের জরিপে ইন্টারনেট সুবিধা, ইন্টারনেটের মান, ই-অবকাঠামো, ই-গভর্নমেন্ট এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার মতো বিষয় গুলো বিবেচনায় নিয়েছে।
বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বে অবস্থান ১১০তম, নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্সে ৯৬তম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি সূচকে ৯৬তম।
যেসব বিষয়ে বাংলাদেশ কিছুটা ভাল অবস্থানে আছে, তারমধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্থায়িত্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম, ব্রডব্যান্ডে ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধিতে ৪৪তম ও মোবাইল ইন্টারনেট স্থিতিশীলতা ৫৩তম।
সার্ফশার্কের ডিজিটাল জীবনমানের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অবস্থান ছিল ৮৫টি দেশের মধ্যে ৭৮তম।
এবারের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত (৫৯), নেপাল(৮৭), শ্রীলঙ্কা(৮৮), পাকিস্তানের(৯৭) মতো দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। আর এশিয়া জুড়ে বাংলাদেশের পেছন রয়েছে শুধু মাত্র দুইটি দেশ- তাজিকিস্তান ও কম্বোডিয়া।
ডিজিটাল জীবনমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশ হচ্ছে ডেনমার্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। আর সবশেষ দেশ ইথিওপিয়া।
সূচকে ইন্টারনেট সামর্থ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ ৮৪তম, ইন্টারনেটের মানে ৮৯তম, ই-অবকাঠামোতে ৮৯তম, ই-নিরাপত্তায় ১০৩তম ও ই- গভর্নমেন্ট ৮৬তম।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন