মা-বাবার বিচ্ছেদের ফলে সন্তানরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়। তারা বেশি মানসিক ও সামাজিক সমস্যায় পড়ে। এসব সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে এবং শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। কয়েকটি সমস্যা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: মা-বাবার বিচ্ছেদের পর সন্তানরা আবেগিকভাবে আহত হতে পারে। বিশেষ করে যদি তারা মনে করে যে, তারা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের জন্য দায়ী। এটি তাদের উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে।
সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা: বিচ্ছেদের পর সন্তানদের মাঝে সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হতে পারে। তারা বন্ধুদের কাছে নিজেদের ব্যাখ্যা দিতে বা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়তে পারে।
পড়াশোনায় সমস্যা: মা-বাবার বিচ্ছেদের কারণে সন্তানরা মানসিকভাবে অস্থির হতে পারে। যার ফলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা তাদের একাডেমিক পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনৈতিক সমস্যা: মা-বাবার বিচ্ছেদের ফলে এক অভিভাবকের ওপর পরিবারের খরচের দায়িত্ব চলে আসতে পারে, যা সন্তানদের জীবনযাত্রায় আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
হতাশা ও বিরক্তি: মা-বাবার বিচ্ছেদের ফলে সন্তানদের মধ্যে হতাশা এবং মেজাজের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা তাদের মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কের সমস্যা: মা-বাবার বিচ্ছেদের পর সন্তানরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তি এবং ভয় অনুভব করতে পারে।
ভালোবাসার প্রতি অবিশ্বাস: বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ দেখে বাচ্চারা ভালোবাসাকে বিশ্বাস করতে পারে না। তারা সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে পারে।
অস্থির আচরণ: মা-বাবার বিচ্ছেদের পর সন্তানদের আচরণে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। যেমন: অতিরিক্ত রেগে যাওয়া বা ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলা।
সম্মান হারানো: সন্তানরা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদকে নেতিবাচকভাবে দেখে এবং সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে কম সম্মান পেতে পারে।
অবহেলা অনুভূতি: বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারণে সন্তানরা পিতামাতার কাছ থেকে যথেষ্ট সময় ও মনোযোগ পাচ্ছে না বলে মনে করতে পারে। এতে তাদের মধ্যে মানসিক প্রভাব পড়তে পারে।
শিক্ষক ও স্কুলে সমস্যা: বাবা-মায়ের ডিভোর্সের পর সন্তানদের স্কুলে মনোযোগ কমে যেতে পারে এবং তাদের আচরণগত সমস্যাগুলি শিক্ষকদের কাছে দৃশ্যমান হতে পারে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন