বন্যার পাশাপাশি ব্যাপক ভূমিধসের কবলে পড়েছে নেপালের একাধিক এলাকা। ধস নেমেছে রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি হাইওয়েতেও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, কাঠমান্ডুর দক্ষিণ অংশে একটি হাইওয়েতে ধস নামে। ওই সময় ওই রাস্তায় তিনটি যাত্রিবাহী গাড়ি ছিল। ধসে সেগুলি চাপা পড়ে যায়। ওই তিন গাড়িতে থাকা মোট ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। বন্যার জেরে কাঠমান্ডুর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন এখন বহু এলাকা। সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘‘কাঠমান্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে আমাদের উদ্ধারকারীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। এখনও পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে আমরা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। ধসের পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে হাইওয়ে মেরামত করার কাজও শুরু হয়েছে।’’
নেপালের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় নেপালে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যা নজির গড়েছে ইতিমধ্যেই। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কাছে একটি জায়গায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির হিসাব পেয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২০০২ সালের পর থেকে যা আর কখনও হয়নি। ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জরুরি বৈঠকে বসেন নেপালের কার্যকারী প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ মান সিং। উদ্ধারকাজ আরও দ্রুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয় মন্ত্রিসভাকে। কিন্তু বহু রাস্তা ধসে যাওয়ায় দুর্গত এলাকাগুলোতে পৌঁছতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। তার মধ্যে সমস্যা বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রবিবার রাত পর্যন্ত তাতে নিখোঁজের সংখ্যা ৬৮। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে শতাধিক আহতের। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে ও দুর্গতদের সাহায্যের জন্য নামানো হয়েছে তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মীকে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রীও।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন