ব্যাপক ভূমিধসে নেপালের ত্রিশূলি নদীতে ভেসে যাওয়া দুই বাসের নিখোঁজ ৬২ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে দুর্ঘটনার তিন দিন পরেও এখনো ৫৭ যাত্রীর সন্ধান পায়নি উদ্ধারকারীরা। তাদের শোকাহত স্বজনরা হতবাক হয়ে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন।
কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে, নারায়ণঘাট-মুগলিন সড়ক সেকশনে সিমলতালের কাছে স্থানীয় সময় শুক্রবার ভূমিধসে দুটি বাস ত্রিশূলী নদীতে ভেসে যায়। রবিবার পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
চিতওয়ানের প্রধান জেলা কর্মকর্তা ইন্দ্রদেব যাদব বলেন, এখন পর্যন্ত চিতওয়ানের ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, সরলাহির ১৯ বছর বয়সী একজন ও ২৮ বছর বয়সী এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ব নবলপরাসীর গাইন্দাকোটে নারায়ণী নদীতে স্থানীয় সময় রবিবার সকালে পাওয়া একটি লাশ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কাঠমাণ্ডু মেট্রোপলিটন সিটি-৪-এর বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পুলিশ শনাক্ত করেছে। নেপালের সশস্ত্র পুলিশ ইউনিটের মুখপাত্র কুমার নিউপানে বলেছেন, ডুবুরিসহ তিন শতাধিক কর্মী নিখোঁজ যাত্রী ও দুটি বাসের জন্য নদীতে তল্লাশি করছেন। পাশাপাশি নৌকায় থাকা অন্যান্য দল সেন্সর সরঞ্জাম দিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
২৩ বছর বয়সী যুবক খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমি এখানে আছি তিন দিন হয়ে গেছে। কিন্তু আমার দাদা-দাদির লাশ পাওয়া যায়নি।’
এর আগে দেশটির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দুই বাসে অন্তত ৬৩ জন যাত্রী থাকার কথা জানিয়েছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন