গাজ্জা উপত্যকায় গত ৯ মাস ধরে চলা ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে খাদ্যসামগ্রীর প্রবেশ ও সরবরাহ ব্যবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। ফলে ইতোমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে এবং সময় যত গড়াচ্ছে, দুর্ভিক্ষও তত ছড়িয়ে পড়ছে।
গাজ্জায় খাদ্যের অভাবে এবং অপুষ্টিতে ভোগে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর অধিকাংশই গাজ্জার উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকার।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গাজ্জার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের প্যানেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই তথ্যকে সমর্থন করেছে। গত মে মাসে গাজ্জা সফরে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মনোনীত ১১ জন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্যানেলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সফরের সময় তারা গাজ্জার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং মধ্যাঞ্চলীয় উপশহর দেইর আল বালাহতে অপুষ্টিজনিত কারণে বেশ কয়েকজন শিশুকে মৃত ও মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেছেন।
এতে আরও বলা হয়, গাজ্জার মধ্যাঞ্চলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এই শিশুদের মৃত্যু গাজ্জায় ছড়িয়ে পড়তে থাকা দুর্ভিক্ষের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। গাজ্জার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে।
জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত মিখায়েল ফাখরি জাতিসংঘ প্যানেলের এই বিবৃতিকে সমর্থন করে পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজ্জায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
সূত্র : রয়টার্স
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন