ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘গাজার ঘটনা বিশ্বের মানুষের কাছে অনেক গোপন সত্য প্রকাশ করেছে। এসব সত্যের একটি হলো জাতিগত বৈষম্যের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের সমর্থন।’গতকাল রবিবার খামেনি দেশটির আশুরা ইউনিভার্সিটি অব অ্যারোস্পেস সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির কমান্ডার ও কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে এমন মন্তব্য করেছেন।
ইসরায়েলকে তিনি জাতিগত বৈষম্যের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘ইহুদিবাদীরা নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ জাতি বলে মনে করে। অন্যান্য মানব জাতিকে তারা নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। এ কারণে ইসরায়েলিরা হাজার হাজার শিশুকে বিনা অনুশোচনায়, বিনা অনুতাপে হত্যা করে যাচ্ছে।’
এদিন খামেনি আরও বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জার্মানির চ্যান্সেলর, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যখন একদিকে নিজেদেরকে মানবাধিকারের রক্ষক বলে দাবি করে, অপরদিকে বর্ণবাদী ইসরায়েলকে সমর্থন ও সহায়তা করে, তখন এর অর্থ দাঁড়ায় ওই ভদ্রলোকেরা জাতিগত বৈষম্যকেই পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। যদিও বর্ণ-বৈষম্য বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত একটি সমস্যা।’
গাজায় ইসরায়েলের ব্যর্থতাকে আমেরিকাসহ পশ্চিমাদেরও ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন খামেনি। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলা করা, আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়াকে বিজয় বলে না। বিজয় হলো প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা। ইসরায়েল এখন পর্যন্ত তা পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার পরও তারা পরাজিত হয়েছে। তাদের মতো অস্ত্রের অধিকারী না হবার পরও হামাসের কাছে পরাজয়ের মানে হলো যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের পরাজয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন