স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, আমার কাছে ৪০ জনের ওপরে চিকিৎসকের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে আর দেশে ফেরেননি। তাদের একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তারা দেশে আসেননি। একটা দরিদ্র দেশ হিসেবে এত অর্থের অপচয় আমরা কীভাবে মেনে নেব? দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু তারা যাতে দেশে ফিরে আসেন। এটাই আমার চাওয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষ্যে সায়েন্টিফিক সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
নুর জাহান বেগম বলেন, আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসা-কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। রোগ যাতে না হয় সেজন্য আমাদের যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্তই জরুরি। কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের ডাক্তাররা, নার্সরা, টেকনোলজিস্টরা সেবা দিয়েছেন তা দেখার মতো। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে নূরজাহান বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি সেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে আসলে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু সত্য। তিন দিনের জন্য গিয়ে ডাক্তাররা কি প্রশিক্ষণ নেবেন? তিন দিনের প্রোগ্রামে সভা-সিম্পোজিয়াম হতে পারে। তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে-কলমে বিষয়গুলি শিখতে পারি। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। সেটা এক সপ্তাহ হোক দুই সপ্তাহ হোক।
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক ডা. এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন