‘ছাগল নাচে খুঁটির জোরে; কুত্তা নাড়ায় লেজ/বিকেল বেলায় সূর্য হারায় দুপুর বেলার তেজ’। কবির এই কবিতার মতোই পতিত আওয়ামী লীগে কর্মী-সমর্থক ও দিল্লির তাঁবেদার সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাজীবীদের অবস্থা। একদিকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের গুজব মেশিন সক্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ড. মুহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজধানীর শাহবাগ, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় সংখালঘু নির্যাতনের ফানুস উড়িয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার মিটিং-মিছিল চলছে। এমনকি গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এ সবগুলোই হচ্ছে ‘ছাগল নাচে খুঁটির জোরে, কুত্তা নাড়ায় লেজ’ কবিতার মতোই। সবগুলোর নেপথ্যে রয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। দিল্লির শাসকদের প্রত্যক্ষ মদতে দেশের কিছু মুখচেনা ব্যক্তি সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে কয়েকশ’ হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ-শিশুকে নো ম্যানসল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অতঃপর ওই সব গরিব মানুষের হাতে ৫শ’/হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে বলতে শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে। মোটা টাকা খরচ করে শাহবাগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সমাবেশ করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ প্রচার করা হচ্ছে। অথচ এসব মিথ্যা তথ্যের ভিডিও, তথাকথিত মিছিলে দাবি ও অভিযোগ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ধরা পড়ছে। বিবিসি, আল জাজিরাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অনুসন্ধান করে দেখেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র ফেইক। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘুর বাসা-বাড়িতে হামলা হয়নি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে ১৫ বছর ধরে যারা মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন করেছে সেই মুসলিম ও হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের বাসা-বাড়িতে হামলা ভাঙচূরের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানাদাশ গুপ্ত বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের বাসা-বাড়ি, মাদরাসা-স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রহরা দিচ্ছেন দৃশ্যটা দেখে ভালো লাগছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’ বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতারা হামলা চালাচ্ছেন। শেখ হাসিনা যখনই কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েন ওই মুহূর্তে হিন্দুদের ঘাড়ের ওপর চেপে সংকট থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করে। বর্তমান সময়ে এখন দেখতে পাচ্ছিÑ ভারতের কিছু নেতাদের আশ্বাসে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু হিন্দু সীমান্তে গিয়ে জমা হয়েছে। তারা সেখান থেকে ভিডিও করে ছবি তুলে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। এই ২ থেকে ৩ দিন তারা সীমান্তে অবস্থান করেছে, তাদের একটু পানিও দেয়া হয়নি। অথচ ভারতের এক নেতা বলছে, ভারতে এক কোটি লোককে আমরা শরণার্থী হিসেবে নেবো।
এভাবে উস্কানি দিয়ে এই কাজগুলো করছে।’ গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, ‘বর্তমানে কিছু নিরীহ হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। যাদের টাকা-পয়সা আছে, বাসার আশপাশে কিছু জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে তাদের ওপর কিছু দুষ্কৃতকারী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই করছে। এর মধ্যে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের একটা বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম, যশোর এলাকায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল লেখা টি-শার্ট পরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করছে। পরে হামলাকারীদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা টাকা দিয়ে বিএনপির স্লোগান দিয়ে হামলার নির্দেশনা দিয়েছে। ১০ আগস্ট শাহবাগে সংখ্যালঘুদের সমাবেশে একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য ভিডিও করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়া ওইসব ভিডিওতে দেখা যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি তার বাড়ি ও মন্দিরে হামলার দাবি করছেন। বলছেন, আমার ৪০ বছরের সংসারের সবকিছু পুড়িয়ে দিয়েছে। তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা করেন এবং ক্যামেরার সামনে থেকে সটকে পড়েন।
১০ আগস্ট গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে বিক্ষোভকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেনা টহল দলের ওপর হামলা করে। বিক্ষোভকারীরা গোপালগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনীর ২টি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। বিক্ষোভকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেনা টহল দলের ওপর হামলা করলে ৩ জন অফিসার, ১ জন জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও ৫ জন সেনাসদস্য আহত হন। বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জের অন্যান্য দলের নেতারা জানান, মূলত ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ তাণ্ডব চালিয়েছে। গতকালও রংপুরে ‘জয় শ্রীরাম ও জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু কয়েকজন যুবক মিছিল করেছে। তাদের সবার হাতে লাঠি ও হকিস্টিক ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতা আসার আগেই তারা রাস্তা থেকে সরে যায়।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালানোর পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেন। তারা জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাবেন আগে জানলে আমরা আত্মগোপনে যেতাম। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। আবার হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় প্রথমে বলেন, ‘আমার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না’। পরে বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।’ পরে আবার বলেন, ‘আমি রাজনীতি করব।’ পরে বলেন, ‘আমার মা পদত্যাগ করেননি। তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন।’ এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। এ অবস্থায় দিল্লির পরামর্শে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে মিছিল-মিটিং করে দলের নেতাদের মনোবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফের ফিরিয়ে আনতে মূলত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ কল্পকাহিনীর ভিডিও নির্মাণ ও মিটিং করা হচ্ছে।
১০ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম, জাতীয় হিন্দু যুব ফোরাম, জাতীয় হিন্দু ছাত্র ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। এ সময় ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীতের পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার দাবি জানানো হয়। এর আগের দিন ৯ আগস্ট চার দফা দাবিতে শাহবাগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ করে ৪ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখে। বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ সনাতনীদের বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী ও সনাতনীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামন থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে সমাবেশ করে। তাদের ৪ দফা দাবি হলো সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন; সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন; সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দের দাবি। এসব মানববন্ধন ও সমাবেশে অর্থের জোগানদাতা হচ্ছে ইস্কন। নরেন্দ্র মোদির এই ইস্কন অনুসারী। সমাবেশগুলোতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিল।
নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করেছে। প্রশাসনে এখনো পুরোমাত্রায় কর্মযজ্ঞ না ফিরলেও কাজের গতি ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এতগুলো হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের ক্ষোভ এখনো কমেনি। নিরাপত্তা এবং সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় পরিস্থিতি বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও সক্রিয় হয়েছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠায় বেশ কিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় এবং সংখ্যালঘুদের বিষয়াদি দেখভালের লক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। নরেন্দ্র মোদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানালেও ভারত এখনো তাদের পুতুল শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু ভাবতে চায় না। ফলে দিল্লির ইন্ধনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি প্রশাসন ও পুলিশ যেন পুরোদমে সক্রিয় হতে না পারে সেই নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে। ‘সংখ্যালঘু’ ইস্যুটি সামনে আনার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। ঢাকায় একের পর এক বড় জমায়েতের চেষ্টা চলছে। নানা গুজব ছড়িয়ে তারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আপনারা যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্ব-স্ব কর্মস্থলে না আসেন তাহলে আমি ধরে নেবো আপনারা চাকরিতে ইচ্ছুক নন। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের পলাতক ঘোষণা করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ডিউটিতে থাকবেন। অহেতুক কেউ কারও গায়ে হাত তুলবেন না। বিচার বিভাগ বিচার করবে। যারা দোষী হবেনÑ বড় দোষী, ছোট দোষী যেই হোক তাদের পানিশমেন্ট হবে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা হবে না।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সরেজমিন প্রতিবেদন, ফ্যাক্ট-চেকারদের তথ্য হিন্দুদের ওপরে ‘ব্যাপক অত্যাচার’ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার বেশির ভাগই ভারতীয় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয় ফ্যাক্ট-কোররা নিশ্চিতকরণ, সীমান্তে কয়েকশ’ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ভিডিও করে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রচার, শাহবাগে সমাবেশ করে মিথ্যা তথ্য প্রচার ইত্যাদিতে পরিস্কার এসব ফেইক নিউজের নেপথ্যে রয়েছে ভারত এবং তাদের এদেশীয় পোষ্য এজেন্টরা। শেখ হাসিনা পালানোর পর বিক্ষুব্ধ কিছু মানুষ ভাঙচূর জ্বালাও- পোড়াও করেছে ঠিকই। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে কারো বাড়িতে এবং মন্দিরে হামলা হয়নি। মূলত আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণেই দলটির মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। পাশাপাশি এসব হামলার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সামাজিক প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে।
ওই কবিতার পঙক্তি ‘বিকেল বেলায় সূর্য হারায় দুপুর বেলার তেজ’ পতিত শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে তেজ হারিয়ে ফেলেছে। ভারতের টাকার জোরে আওয়ামী লীগের কিছু ব্যক্তি পতিত আওয়ামী লীগের পক্ষে ছাগলের মতো নাচছে এবং কুত্তার মতো লেজ নাড়ালেও শেখ হাসিনার রাজনীতির কবর রচনা হয়ে গেছে। এক সময় আওয়ামী লীগের আস্ফালন দুপুরের সূর্যের তেজের মতোই ছিল প্রখর। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দলের নেতা-কর্মী ও মন্ত্রী-এমপিদের বিপদে ফেলে শেখ হাসিনা পালিয়ে দিল্লি যাওয়ার পর রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সূর্য কার্যত ডুবে গেছে। ভারত যতই ষড়যন্ত্র করুক আওয়ামী লীগ নামের ডুবন্ত সূর্য বাংলাদেশের আকাশে আর উত্তাপ ছড়াতে পারবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন