প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ভারতেই থাকছেন। এর আগে জানা গিয়েছিল, তিনি অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নিয়ে সেখানে চলে যাবেন। দেশটিতে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় কিংবা শরণার্থী হিসেবে নয়, ভিসার মাধ্যমে থাকবেন।
আজ শুক্রবার এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সহযোগী সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন। সরকারি সূত্র তাদের জানিয়েছে, ‘আপাতত কোনো দেশে শেখ হাসিনার নিরাপদ প্রস্থান হচ্ছে না। আমাদের ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় ও শরণার্থী আইন নেই। তাই আইন অনুযায়ী কাউকে আমরা শরণার্থী হিসেবে রাখতে পারি না, রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারি না। সরকারি নীতিতে দালাই লামা (তিব্বতের ধর্মীয় গুরু) এখানে আছেন।’
সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় ও শরণার্ণী আইন বিশ্বব্যাপী ঝামেলার সৃষ্টি করেছে। নিউজ এইট্টিনকে এ সূত্র বলেন, ‘আপনি একবার শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে তাদের আদালতে যাওয়ার অধিকার তৈরি হয়। এটি আরও সমস্যার সৃষ্টি করে। আমরা ঘটনা অনুযায়ী থাকার অনুমতি দিই, কিন্তু এ ধরনের কোনো আইন নেই (শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয়ের)।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর সময় তার বোন শেখ রেহানাও সঙ্গে ছিলেন। তারা বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে রয়েছেন। শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। তার ভাগ্নি অর্থাৎ শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির একজন সংসদ সদস্য। তবে সহসাই যুক্তরাজ্যে তার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে যে ভিসা দিয়েছিল তা বাতিল করেছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন