শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানার পিছনের পুকুর পাড়ের বাগান থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে লুট হওয়া ২০টি মোটরসাইকেল ফিরে পেয়েছে পুলিশ।
অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুটি শর্টগান, চারটি রাইফেল, পাঁচটি ম্যাগজিন ও ৫১ রাউন্ড গুলি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগরের চন্ডিপুর গ্রামের এক কৃষক থানার পিছনে জমি চাষ করতে গিয়ে কিছু অস্ত্র দেখতে পান। অস্ত্রগুলো তিনি স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে ডিজিএফআই ও ডিএসবির সদস্যরা গিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেন।
এছাড়া শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে একটা মোটরসাইকেল, দুটি পোড়া মোটরসাইকেল ও শ্যামনগর থানার একটি ফ্রিজ ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে লুট হওয়া ২০টি মোটরসাইকেল ফিরে পেয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আর বাকি ৪টি মোটরসাইকেল এখনো হাতে আসেনি পুলিশের।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবায়ের আহমেদ বলেন, ৫ আগষ্ট সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে এসআই ও এএসআইদের ব্যবহৃত ২৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরমধ্যে ২০টি মোটরসাইকেল পুলিশ লাইন্সে পৌঁছে দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তবে তিনি তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলটি ফিরে পাননি বলে জানান।
আজ শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরার ৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি সার্জেন্ট আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুদিন ধরে এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে উক্ত অস্ত্র ও গুলিগুলো রেখে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশের দুটি ভ্যানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় থানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যেতে পারলেও তাদের ফেলে যাওয়া বেশ কিছু অস্ত্রসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক গুলি এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় দু্র্বৃত্তরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন