ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ভারতের কাছে আমার প্রশ্ন- ইসকনের সদস্যরা কি বাংলাদেশের নাগরিক? তারা বাংলাদেশের নাগরিক হলে তাদের ভালো মন্দ, অধিকার ও বিচার বাংলাদেশ করবে। এই ইসকনের বিষয়ে ভারত সরকার ও ভারতের মিডিয়া এতো উৎসাহী কেন?
সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফের বার্ষিক অগ্রহায়নের শততম মাহফিলে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবার বয়ানে ভারতের উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ভারত নিজেদেরকে বাঘ ভাবে, কিন্তু আমি তাদেরকে কিছুই মনে করি না। অতীতে দীর্ঘ সময় মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে। ভারত মুসলমানের দেশ। এই ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, ষড়যন্ত্র করে মুসলমানদের হাত থেকে বৃটিশ দখল করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে আমরা মারামারি করতে চাই না। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। তবে আমরা ভারতের গোলামী করতে চাই না। মুসলমান প্রয়োজনে ঘাস খেয়ে থাকবে কিন্তু ভারতের গোলামী করবে না। মুসলমান বাজপাখি। সাড়া দুনিয়া মুসলমানদের নির্দিষ্ট কোনো সীমানা নেই। ভারত যদি বাংলাদেশে রক্তপাত করা বা ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে তবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র ও দেশের মাটির জন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ইসকনের সদস্যরা নিজেদেরকে এদেশের নাগরিক মনে করে কিনা এটা সন্দেহ। এদেশের ভারতের দালালরা সতর্ক হয়ে যান। আমরা মুসলমান সন্ত্রাস ও বৃটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা পিছু হবো না।
শায়েখে চরমোনাই বলেন, অনেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দালালি ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ওদের দালালি ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলমানের গুলি পিঠে নয় বুকে লাগে। এই মাটি ও মানুষের কল্যাণের জন্য কথা বলতে হবে। যে কোনো ষড়যন্ত্র জীবন দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ দেশে ইসকনের কোন অফিস থাকবে না। একযুগ আগে ইসকনের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছিলাম, তখন তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন তারা বুঝতে শুরু করেছে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন