গেল সপ্তাহে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত হলো। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল বাস্তবেই একটি ঐতিহাসিক দলিল। কারণ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছাড়া আর সব নির্দেশনাই ছিল। সে দিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তাকে দেশের ‘শত্রু ও বিচ্ছিন্নতাবাদী’র দায় নিতে হতো। তবে ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাস্তবেই একটি দলিল। আরো অনেক ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে; যেমন জর্জ ওয়াশিংটন ও মার্টিন লুথার কিংয়ের ভাষণ। তবে সেসব ভাষণে একটি জাতি গঠিত হয়নি। তার পরও বলব, ৭ মার্চের ভাষণ ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে নিজ কানে শুনে রোমাঞ্চিত হয়েছি। কার্যত মার্চের ৭ তারিখের পর দেশ প্রকৃত অর্থে চলেছিল বঙ্গবন্ধুর আদেশ নির্দেশে। ইয়াহিয়া খান সময়ক্ষেপণ করে শেষ পর্যন্ত ২৫ মার্চের কালরাতের সুযোগে বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তখন জাতি দিশেহারা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানিদের কারাগারে বন্দী। এমন অবস্থায় ‘অখ্যাত এক মেজর’ জিয়াউর রহমান হঠাৎ করে চট্টগ্রামের কালুর ঘাট থেকে প্রথমে নিজের নামে, পরে বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষণা দিলেন। ভারত সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ছিল। বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্দীপ্ত ছিল, হঠাৎ সংবিতহারা জাতি জিয়ার ঘোষণায় সংবিত ফিরে পেল। তার পরের ইতিহাস সবার জানা।
এ দিকে এত কিছু করার পরও অর্থপাচার থামছে না। এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কঠোর আইন চায়। কারণ এভাবে অর্থ পাচার হতে থাকলে দেশের অর্থনীতি একসময় ফোকলা হয়ে যাবে। এমনিতেই বিনিয়োগ নেই। মানুষ টাকা রেখে দিচ্ছে নিজের জিম্মায়। আবার পণ্যমূল্যের ওপরও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এমতাবস্থায় দেশে বৈষম্য আরো বেড়ে যাবে। এমনিতেই পণ্যমূল্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। কখন যে কোন পণ্যের দাম বেড়ে যায়, কখন যে কোন পণ্যের দাম ‘সিন্ডিকেট’ করে বাজারে ছাড়া হয়, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ আমদানিকারকরা বেশির ভাগই সরকারি দলের লোকজন, তাদের ওপর ছড়ি ঘুরাবে, সেই সাধ্যাকার!
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভীতির কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ সাংবাদিক পেশা ছাড়তে চান। নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকতাকে সাংবাদিকতা বলা যায় না। এ সাংবাদিক নামধারীরা মোসাহেব প্রকৃতির। ‘কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন’ গাওয়া ছাড়া তখন আর কোনো কিছুই করার থাকে না। আমরা যারা দু-চার কলম লিখি, তাতে সবসময় একটা ভীতির মধ্যেই থাকি। কারণ মন খুলে যেমন বলা যায় না, তেমনি লেখাও যায় না। সরকার ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। এটাকেই বলা হয় ‘সেলফ সেন্সরশিপ’। এ দিকে সুশীলসমাজ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিল চাওয়ার পর, এবার বিশিষ্ট আইনজীবীরাও এই কালো আইনটি বাতিল চাইছেন। ‘সরকারপন্থী’ সাংবাদিকরা ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলেন। তারা ভুলে যান যে, সরকার পরিবর্তন হলে তখন তাদেরও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। বিশেষ ক্ষমতা আইন যারা পাস করেছিলেন তারও এর ফল ভোগ করছেন। র্যাব গঠন করেছিল বিএনপি। তাদেরই আবার এর বিষ হজম করতে হয়েছে, হচ্ছে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আল্লাহ তায়ালাও কর্মফল অনুযায়ী ফয়সালা দেবেন।
ভারতের কাছে এবার গুরুত্ব পাচ্ছে ‘কানেক্টিভিটি’। ইতোমধ্যে ভারতের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় একটি সংযোগসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সারা পৃথিবীতেই ‘কানেক্টিভিটি’ ইতিবাচকভাবে দেখা হয়। তবে বাংলাদেশে এর সুফল ও কুফল দু’টিই হতে পারে। সুফল হলো- দু’দেশের সাথে যোগাযোগ বেড়ে যাবে। পণ্য আদান প্রদানে দূরত্ব কমে যাবে। একই পথ দিয়ে নেপালেরও সুযোগ বাড়বে। তবে সবটুকু নির্ভর করবে দু’টি সরকারের সদিচ্ছার ওপর। ভারতের ‘সাত বোন’ হিসেবে খ্যাত এলাকাটা এখন অবারিত হয়ে যাবে। বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, বাংলা ও ত্রিপুরার ভেতর বাণিজ্য যেমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি সন্ত্রাসীদের যাতায়াতও সহজ হবে। ভারত এখন পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। এবার সামাল দেয়ার প্রস্তুতির একটা সুযোগ অবারিত হলো। অন্য দিকে, ‘সেভেন সিস্টার’ সমস্যাটা বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যৎই বলে দেবে, এর পরিণতি বাস্তবে কী হচ্ছে। সীমান্তের ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মৈত্রী সেতু’। তবে এটিই শেষ নয়। তাই এর নামকরণে বাংলাদেশ-ভারত ‘মৈত্রী-সেতু ১’ বলা হয়েছে। সেতুর স্থলে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ঢাকা ও দিল্লি থেকে দু’দেশের দু’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন।
আরো একজন এমপির বিচারিক আদালতে ১০ বছরের সাজা হলো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল দুদক; অবৈধ সম্পদ অর্জনের। আমরা জানি না, শেষটায় এই হাজী সেলিমের ভাগ্য কী হয়। অন্য এমপিরাইবা কী সমস্যার সম্মুখীন হন। শত শত বণিক শ্রেণীর অবৈধ রাজনীতিবিদ রয়েছেন যারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
করোনা মহামারী শীতে কমে এসেছিল। গরমের ভেতর আবার বাড়ছে। এর শেষটা কী দাঁড়াবে তা দেখার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে। তবে গ্রীষ্মে ফের বৃদ্ধির শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী নতুন করে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যা মানা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন উচিত হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটি সুখবর দিয়েছে। তারা বলছেন, টিকা দেয়া হলে তারা মাস্ক না পরেও বিচরণ করতে পারবেন।
এ দিকে মিয়ানমার পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা রাতভর অবরুদ্ধ থাকছেন; সকালে মুক্ত। অন্য দিকে, ভারতে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের পুলিশ সদস্যদের ভারত ফেরত দেবে না। আরো খবর হচ্ছে, এবার ইইউ মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে। মিয়ানমারের ওপর বাস্তবে চাপ বাড়ছে। বিশ্ব সম্প্রদায় মনে করে, একসময় না একসময় মিয়ানমার জোড়াতালির গণতন্ত্রের দিকে যাবেই। তবে রোহিঙ্গাদের ভাগ্য নিয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সংঘত হতে বলেছিল। আপত্তি জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া। তারা এই আপত্তি কেন জানাল, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। চীন মিয়ানমারের নিকটতম পড়শি। তারা অনেক বিনিয়োগ করেছেন। তা ছাড়া দু’দেশের স্বার্থের বুঝাপড়াটার অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই বোধকরি তারা আপত্তি জানিয়েছেন। তবে রাশিয়া কেন আপত্তি জানাল, সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এর বাইরে, আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতির সম্পর্ক নিয়ে মার্কিননীতির অবস্থানকে চীন ও রাশিয়া হয়তো পছন্দ করে না। এর পেছনে ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলাটা জমে উঠবে বলেই মনে হয়। তাই মিয়ানমার সমস্যার আশু সমাধান আশা করা যায় না। সেই সাথে রোহিঙ্গাদের ভাগ্যও জড়িয়ে যাবে।
এবার হজ সম্পর্কে আসা যাক। ২০২১ সালের হজে বাধা থাকবে না। এ জন্য মক্কা-মদিনায় যেসব স্থানে হজ ও ওমরাহ যাত্রীরা চলাচল করবেন, সেসব স্থানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। তবে কাবার প্রধান ইমাম বলেছেন, মক্কা-মদিনায় করোনা ঢুকতে পারেনি। এটা তিনি বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। তা ছাড়া এবার যেসব ট্যাক্স সাধারণভাবে করা হয় তাতেও রেওয়াত দেয়া হবে। যেসব গাড়ি চলাচল করবে তারাও এবার কোনো ভাড়া আদায় করতে পারবে না। যেসব ড্রাইভার গাড়ি চালাবেন, তাদেরও করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। তবে যারা হজ ও ওমরায় যাবেন, তাদের বয়স এবং অন্যান্য শর্ত জানিয়ে দেয়া হবে। এটা নিশ্চিত যে, যারা যাবেন তাদের টিকা দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তা ছাড়া ইমিগ্রেশন করার যেসব শর্ত তাও জানিয়ে দেয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার ছিল শবে মিরাজ। এই পবিত্র রাতটিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মহানবী সা:কে অর্থাৎ শেষনবীকে পবিত্র মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে নিয়ে গিয়ে ছিলেন। তারপর সাত আসমান ভ্রমণ করিয়েছেন। সেখানে তিনি আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন। বেহেশত-দোজখ তাকে দেখানো হয়েছে। একপর্যায়ে জিবরাইল আ:- আর যেতে পারেননি। সেখানে আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী ও রাসূলকে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ এবং সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত উপহার দেন। সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে কারো কোনো আপত্তি ছিল না। তবে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে বিভিন্ন নবী ও রাসূল বিভিন্ন আসমানে আপত্তি জানিয়ে প্রিয় রাসূলকে বারবার আল্লাহর আরশে পাঠালে শেষ পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। অন্য নবীদের মধ্যে সম্ভবত হজরত মুসা আ: তারপরও আবার তাকে আরশের মহান প্রভুর কাছে পাঠিয়ে নামাজের আরো ওয়াক্ত কমানোর কথা বলেন এবং যুক্তি দেন, ‘আপনার উম্মতরা হায়াত পাবেন কম, তা ছাড়া হবেন দুর্বল প্রকৃতিরও।’ তাই ওয়াক্ত আরো কমানোর কথা বলা হয়েছে। আখেরি নবী ও রাসূল বারবার আল্লাহর দরবারে যেতে লজ্জা পাচ্ছিলেন। তাই নবী ও রাসূল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই মেনে নিয়েছেন। এ সম্পর্কে এটাও বলা হয়ে থাকে যে, শবে কদর দিয়ে এ উম্মতরা সেটি পুষিয়ে নেবেন। নবী ও রাসূলের মধ্যেও ফারাক আছে। সবাই নবী ছিলেন; কিন্তু সব নবী রাসূল ছিলেন না। এ ব্যাপারে আলেমদের কাছ থেকে জেনে নেয়াই ভালো। আমার জানামতে আলেমদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পারেন। তা ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি ইউটিউবের মাধ্যমে এসব ব্যাখ্যা জেনে নেয়া সহজ। তার পরও বলব, রাসূলের মেরাজ স্বপ্নে হয়েছিল না সশরীরে হয়েছিল- এ ব্যাপারে আমার বিশ্বাস- সশরীরেই হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে বলে থাকেন, স্বপ্নেই হয়েছিল। আমি মনে করি, এ বিষয়ে আল্লাহর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই উত্তম। এর কারণ আল্লাহ যখন ‘হও বললেই হয়ে যায়’ তখন বিষয়টি নিয়ে কোনো দ্বিধা থাকা সমীচীন নয়। আল্লাহ যদি মানুষকে আবার জীবিত করতে পারেন, হাশর-নশর করতে পারেন, তাহলে বিষয়টি নিয়ে এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা কোনোভাবেই সঙ্গত নয়।
ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় কিংবদন্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। প্রথমে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক পরে। এবার তিনি একটা ফাঁড়া কেটে উঠেছেন, তার ওপর অনাস্থা এনে সর্বোচ্চ পরিষদে ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত টিকে যান। তার এই টিকে যাওয়া ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
ইমরান খান প্রথমে বিয়ে করেছিলেন এক বিদেশী ললনাকে। তিনি তার দেশের ধনকুবের হিসেবে বেশ পরিচিত। যে যাই বলুক, পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে। ইমরান খান বিদেশী স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান লাভ করেন, ‘ছোটে ইমরান খান’ হিসেবে তার পরিচিতি। বালক কিন্তু চৌকস বক্তা। ইউটিউবে তার কয়েকটি বক্তব্য শোনার সুযোগ আমার হয়েছে। জেনিফার গ্রুথ নামে এক পশ্চিমা মেয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এই পপতারকা একসময় দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে শো করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। সম্ভবত লেবাননি একজনের সাথে বিয়ে হয়েছে। জেনিফার গ্রুথ কেন নাম পরিবর্তন করে না সে ব্যাপারে ছোটে ইমরান খান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। জেনিফার বেশ সুন্দর কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন। নিজেও তার তিলাওয়াত শুনেছি। তা ছাড়া ছোটে ইমরান খান কাশ্মির ও নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন, যা স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো। একসময় সম্ভবত পাকিস্তানেও নওয়াজ পরিবার ও ভুট্টো পরিবারের মতো ইমরান খানেরও পরিবারতন্ত্র চালু হবে। ছোটে ইমরান খানের ভবিষ্যৎ অন্তত তাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গ আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে। নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে মমতা আক্রান্ত হন, তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। উল্লেখ্য, মমতা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানও। বিজেপি বলছে, সহানুভূতির জন্যই মমতা নাটক করছেন। পৃথিবীর সব দেশে না হলেও বাংলাদেশে সরকারি ও বিরোধী দলের ‘ব্লেম গেইম’ অনেক পুরনো খেলা। একই চিত্র ভারতেও দেখা যায়। তার পরও এটা মানতে হবে, ভারতে নির্বাচনব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে, যা আমাদের বেলায় একেবারেই শূন্যের কোঠায়।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন