চলো চলো ঢাকা চলো
06 December 2022, Tuesday
চলো চলো ঢাকা চলো। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী এখন এই স্লোগান উঠেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, কুমিল্লা, ফরিদপুর, রংপুর ও রাজশাহীতে মোট ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই মহাসমাবেশ। বিএনপির ঢাকা মহাসমাবেশ কর্মসূচি ইতোমধ্যে রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছে। এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে বিরোধী মহলে যেমন সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা, তেমনি সরকারি মহলে শঙ্কা।
সরকারি দল আওয়ামী লীগ বিএনপির এসব সমাবেশ কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে সভা-সমাবেশ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান বক্তা হচ্ছেন। পাশাপাশি আয়োজিত আওয়ামী যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন সম্মেলনেও তিনি বক্তৃতা করছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় সম্মেলনে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের সম্মেলনে চরম বিশৃঙ্খলা হওয়ায় তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না।’ বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে ৪ ডিসেম্বর একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করে সেখানে বক্তৃতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চট্টগ্রাম এলাকার ২৯টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন এবং সমাবেশে নৌকায় ভোট চান। বিএনপির গণসমাবেশ কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি চায় সরকার উৎখাত করে এমন কাউকে ক্ষমতায় আনতে যারা একেবারে নাগরদোলায় করে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।
এ ধরনের পাল্টা সমাবেশ করে শুধু সরকার ও সরকারি দল বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করছে না গণগ্রেফতার, গায়েবি মামলা, বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতার, পুলিশ ব্যারিকেড, ক্যাডারদের দিয়ে ব্যারিকেড ইত্যাদি সৃষ্টি করে বিএনপির মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টাও চালাচ্ছে। বিএনপি থেকে বলা হয়েছে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সমাবেশে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা বিএনপির নেই। তবুও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির সামনে বালির বস্তাসহ পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় হাজার বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হচ্ছে। ঢাকার সব প্রবেশমুখে ও শহরতলিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ সমাবেশের নামে ব্যারিকেড সৃষ্টি করছে যাতে বাইরে থেকে রাজধানীতে বিএনপির লোকজন প্রবেশ করতে না পারে। এক কথায় ১০ ডিসেম্বর ঢাকাকে সরকারই চার দিক থেকে অবরোধ করে ফেলছে।
নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে বিএনপি দু’বার সরকার তথা পুলিশকে চিঠি দেয়। কিন্তু সরকার থেকে বলে দেয়া হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। সেখানেই মহাসমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে না, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে জানিয়ে দিয়েছে। বিএনপির এ ঘোষণার পর পুলিশ ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নয়াপল্টন ৯ ডিসেম্বর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তারা নয়াপল্টন ঘিরে রাখবেন। ইতোমধ্যে বিএনপির নয়াপল্টন অফিসের সামনে পুলিশ কয়েকবার অবস্থানও নিয়েছে। মহাসমাবেশের বিকল্প স্থান হিসেবে মতিঝিল ও আশপাশের এলাকা নিয়েও পুলিশের সাথে কথাবার্তা হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বের।
বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়ে সরকারের এই তৎপরতা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবেই ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ হচ্ছে। কিন্তু সরকার আমাদের ডাকা সমাবেশকে ভয় পাচ্ছে এবং এ কারণে তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজেরাই এখন বলাবলি করছে ওই দিন নাকি তাদের তখতে তাউস উল্টে যাবে। আমরা বলেছি, নয়াপল্টনে সমাবেশ করব। কিন্তু তারা ২৬টি শর্ত দিয়ে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে বলছে। কিছু হলেই তারা বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে। যখন তারা বিএনপিকে ধরবে মনে করে তখন তারা জঙ্গি নাটক সাজায়। নিজেরা বাস পোড়ায়, ককটেল মারে আর বলে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে। কিন্তু অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রলবোমা মারার হোতা তো এই আওয়ামী লীগ।
ঢাকায় সমাবেশের জন্য মহানগর পুলিশ যে ২৬টি শর্ত দিয়েছে তাও হাস্যকর। মিছিল করে নাকি সমাবেশে আসা যাবে না। আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি বিএনপিকে বসাতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে মাইক লাগানো যাবে না। পুলিশ মনে করলে যেকোনো সময় সমাবেশ বাতিল করতে পারে ইত্যাদি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। এ ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, টাকা পাচার, লুটপাটের প্রতিবাদও করছে বিএনপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহাসমাবেশ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সরকার পদত্যাগের এক দফাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য বিএনপি ২৫টির বেশি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বিএনপি মহাসচিব ইতোমধ্যে বলেছেন, সব বিরোধী রাজনৈতিক দলই সরকারের পদত্যাগ চায় এবং সেটা দেশ ও জনগণের স্বার্থে। সরকারের পদত্যাগের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে। তারাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নতুন নির্বাচন গঠনসহ সবকিছু করবেন। নির্বাচনের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও এক দফার আন্দোলন
দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনই একমাত্র উপায়। এ জন্য দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ইনক্লুসিভ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তারা একটি নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। জাপানি রাষ্ট্রদূত সরাসরি বলেছেন, আগের রাতেই ভোট হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরে ফেলা তারা দেখতে চান না।
কাজেই এ ধরনের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কারো পক্ষেই তা করা সম্ভব নয়। কারণ প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে কখনোই সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না। যখন দলীয় সরকারের সময় সবকিছুই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে, পুলিশ থেকে শুরু করে রিটার্নিং অফিসার, সেখানে কিভাবে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়? তাই প্রকৃত নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই। বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ধরনের সংস্কার দলনিরপেক্ষ সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব। তারাই পারে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনসহ সবকিছু ঢেলে সাজাতে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারই করতে পারে।
অতি সম্প্রতি গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের নির্লজ্জ ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আবার দেখিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচনের সময় দলনিরপেক্ষ সরকার কতটা প্রয়োজনীয়। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের ১৪৫টি কেন্দ্রই দখল করে নেয় সরকারি দলের ভোট ডাকাতরা। তারা ইভিএম মেশিন একচেটিয়া জালিয়াতি করে অবৈধভাবে ভোট নিয়ে নেয়। মাঠ প্রশাসন, ডিসি এসপি ওসি এবং পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের অবৈধ ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছিলেন। ভাগ্যিস কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন কমিশন সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল। ইসি ঢাকায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বসে প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিভাবে ভোট ডাকাতি সংঘটিত হচ্ছে। ভোট ডাকাতি, ইভিএম জালিয়াতি এবং অনিয়ম বিশৃঙ্খলা দেখে তারা এক এক করে ৫১টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে তাদের পুরো নির্বাচনই বাতিল করতে হলো নির্লজ্জ ভোট ডাকাতি ও প্রহসনের কারণে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের দু’টি ভুয়া নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন আইন ও সংবিধানে দেয়া ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে কি না তা নির্ভর করে নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তার ওপর। নির্বাচনের সময় এমন একটা সরকার থাকতে হবে, নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে যারা থাকবে সম্পূর্ণ নিস্পৃহ (নিরপেক্ষ)। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া ওই দু’টি নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক কলঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এমন ভুয়া নির্বাচনের নজির নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি বিনাভোটের নির্বাচনী প্রহসন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনটি নিশিরাতের ভোট প্রহসন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। খলনায়ক সিইসি কে এম নুরুল হুদাও স্বীকার করেছেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় না। অবসরের পর জুন ২০২২ এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এক স্পর্শকাতর ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। ২০২৩ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে হবে সেই নির্বাচন। দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন যাতে একতরফা না হয় সেই আওয়াজ উঠেছে সর্বমহল থেকে। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের শাসন চলছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান ক্ষমতাসীনরা নানা কায়দা ও ছলচাতুরী করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে, ভোটে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পদত্যাগ এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা ও সংকট তথা জ্বালানি, বিদ্যুৎ সমস্যাসহ অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিরসনের দাবিতে বর্তমানে আন্দোলন করছে। আন্দোলন বেশ গতি পাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষও সম্পৃক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিএনপির আটজন কর্মী আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। তৃণমূল জেগে ওঠায় দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আন্দোলনের পাশাপাশি বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভা করছে, সরকারের শত বাধা উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশ সম্পন্ন করেছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ। এ সমাবেশ থেকে ঘোষিত হবে সরকার পতনের এক দফা। বলা হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই। এর অধীনে কয়েকটি নির্বাচন হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের আদায় করা সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এরপর থেকে দেশে সত্যিকার অর্থে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। একতরফা নির্বাচন কিংবা নির্বাচনের নামে প্রহসন হতে দেখেছে মানুষ। এ অবস্থার উত্তরণই এখন দাবি।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন