১৮ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার সকাল ১০টা। ঢাকার পলাশী বাজার থেকে কিছুটা দক্ষিণে বুয়েটের গার্লস স্কুলসংলগ্ন ফুটপাথে নারী-পুরুষের বিশাল লাইন। টিসিবির পণ্যের জন্য তারা দাঁড়িয়েছেন। পণ্য বিক্রির ট্রাক তখনো এসে পৌঁছায়নি। কিন্তু কেউই লাইন ছেড়ে যাচ্ছেন না। অতি প্রয়োজনে কেউ লাইনের বাইরে যেতে চাইলে নিজের জায়গায় ‘ইট’ রেখে পাশেরজনকে বলে যাচ্ছেন। দেখতে পেলাম লাইনের মাঝে মাঝে এ ধরনের কয়েকটি ‘ইট’ রাখা আছে। সেখানে দাঁড়ানোদের দেখে যে কেউই অনায়াসে বলবেন এরা গরিব, অতি গরিব কিংবা নিম্নবিত্তের মানুষ। তারা দাঁড়িয়েছেন সেই কাকডাকা ভোর থেকে। কারণ লাইনের সামনে থাকতে না পারলে পণ্য কেনার সুযোগ নাও পেতে পারেন। টিসিবির পণ্য এখানে বিক্রি হচ্ছে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।
দুই.
২২ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার। দৈনিক প্রথম আলোতে হাসান মাহমুদের তোলা লিড ছবির ক্যাপশন : টিসিবির পণ্য দেয়ার কথা ছিল সকাল ৯টা থেকে। তবে ভোর থেকেই অপেক্ষা করেন পাবনা পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড ফ্যামিলি কার্ডধারীরা। পণ্য পাবে কিনা সেই সংশয়ে সৃষ্টি হয় জটলা। ছবিটি তোলা হয় বিকাল ৫টায় দিনাজপুরের ঢাকা রোডে।
কিছুটা সাশ্রয়ীমূল্যে টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য গরিব মানুষের যে কী প্রাণান্তকর চেষ্টা উপরের দৃশ্য তারই প্রমাণ।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি আরো বোঝা যাবে প্রথম আলোর কয়েকটি শিরোনামে। ১২ অক্টোবর, ২০২২ : সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি এখন ৯ শতাংশের বেশি, ১৩ অক্টোবর ২০২২ : লোডশেডিং, মূল্যস্ফীতির মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা, ১৬ অক্টোবর ২০২২ : খাবার কিনতেই হিমশিম অবস্থা ৬৮% মানুষের, ১৮ অক্টোবর ২০২২: নিত্যপণ্যের দামে নাকাল মানুষ, ধার করা টাকা নিয়ে টিসিবির লাইনে, ১৯ অক্টোবর ২০২২ : শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ছে, শিশুদের নাশতা বন্ধ, ২১ অক্টোবর ২০২২: হাঁসফাঁস সংসারে, মধ্য ও নি¤œবিত্ত পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্যের বিদায়, বাজারে কাটছাঁট, পুষ্টিতে আপস, ঢাকার এক পরিবারের খাবারের খরচ মাসে ২২ হাজার ৪২১ টাকা, চিনির কেজি ১০০ টাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২২ : দাম বেড়েছে আরেক দফা, প্যাকেটজাত চিনি উধাও।
একটি জাতীয় দৈনিকে ১২ দিনের ব্যবধানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনামই বলে দিচ্ছে দ্রব্যমূল্যের চাপ দেশের মানুষকে কতটা সইতে হচ্ছে। এর লাগামহীন বৃদ্ধিতে দেশের মানুষ এখন দিশেহারা। শুধু খাদ্যপণ্যই নয়, সব ধরনের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং যাতায়াত, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। জীবন-জীবিকা ও সংসারের খরচ সামাল দিতে গিয়ে মানুষের এখন ত্রাহি অবস্থা। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও গরিব অতি গরিব মানুষেরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের চিন্তায় তারা আতঙ্কগ্রস্ত।
রাজধানীর ফুটপাথগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে আরেক দৃশ্য। অনেক গরিব-নিঃস্ব মানুষ এখন সেখানে ঠাঁই নিয়েছে। কিছু দিন আগেও এ দৃশ্য দেখা যায়নি। ঢাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। শুধু মসজিদের সামনেই নয়, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলোতে এরা ভিড় করছে। তেমনি নতুন নতুন রিকশাওয়ালা দেখা যাচ্ছে ঢাকার সড়কে। রাস্তাঘাট চিনেন না, যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন কোন দিকে। কোথা থেকে আসা হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানাচ্ছেন কোন জেলা থেকে কবে এসেছেন। সবাই রাজধানীতে এসেছেন অভাবের তাড়নায়।
‘১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াব’-এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই মোটা চাল এখন ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ২৩ আগস্ট, ২০২২ ‘মোটা চালের কেজি এখন ৫৫ টাকা’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকার বাজারে এখন মোটা চালের (স্বর্ণা) কেজি ৫৫ টাকায় উঠেছে, যা এক মাস আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। টিসিবি থেকে নেয়া চালের দর সম্পর্কে রিপোর্টে আরো বলা হয়, শুধু মোটা চাল নয়, টিসিবি বলছে, সরু এবং মাঝারি চালের দামও বেড়েছে। তবে বাড়ার হার মোটা চালের চেয়ে কম ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ। টিসিবির হিসাবে বাজারে এখন এক কেজি সরু চাল কেনা যাচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা দরে, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। আর মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫৫, সর্বোচ্চ কেজি ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ১১ অক্টোবর ২০২২ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি করা মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরে জানান, গত আগস্ট ২০২২ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বর ২০২২ মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। অবশ্য দেশের অর্থনীতিবিদদের হিসাবে মূল্যস্ফীতি এখন ১২ শতাংশের উপরে। এটা বাড়তেই থাকবে।
গত ১১ বছরের মধ্যে এই মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালে মে মাসে একবার সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতির আর কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি। এতদিন শুধু খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়েই চিন্তা ছিল। এখন খাদ্যবহির্ভূত পণ্য এবং সেবার মূল্যস্ফীতি নিয়েও চিন্তা বেড়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এক জরিপে (১৬ অক্টোবর, ২০২২) জানিয়েছে, বিগত ৬ মাসের মধ্যে মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। এরপর রয়েছে রোগ ও চিকিৎসার ব্যয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন ব্যয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত সমস্যায় ব্যয়বৃদ্ধি। দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষই এ জরিপে বলেছেন, তারা খাবার কিনতেই এখন হিমশিম খাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় আঘাত কী? এ সম্পর্কে ৮৮ শতাংশ মানুষই বলেছেন, খাদ্যের চড়া দাম। অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, দেশের ২ কোটি পরিবার এখন ভয়াবহ সঙ্কটে রয়েছেন। আর মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে মধ্যবিত্তরাও। মানুষ এখন খাবার কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। খাবার কিনতে কেউ কেউ পরিবারের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন, সঞ্চয় ভেঙে ফেলছেন এবং ঋণ নিচ্ছেন। সিলেট ও বরিশালের মানুষ বেশি সমস্যায় পড়েছেন। কারণ সিলেটের মানুষ গত মে মাসে যে বন্যার কবলে পড়েছিলেন, তার ধকল এখনো সামলে উঠতে পারেননি। সেই বন্যায় সিলেটের তিন-চতুর্থাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় এবং বোরো ফসল ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আর বরিশালে দারিদ্র্য বেশি।
ডব্লিউএফপি-এর জরিপটিতে আরো বলা হয়, দেশের ২২ শতাংশ মানুষ মাঝারি মাত্রায় খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আর নিম্ন আয়ের ৪২ শতাংশ পরিবারের জীবনযাত্রা এবং খাদ্য পরিস্থিতির সবক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। খাদ্য কিনে বাঁচার জন্য ৬৪ শতাংশ মানুষ ঋণ নিয়েছেন এবং ২৯ শতাংশ মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছেন।
টিসিবির তথ্যেই দেখা যায়, ১ জানুয়ারি ২০২০ মোটা চাল ছিল কেজি ৩০ টাকা, ৫৩ শতাংশ বেড়ে অক্টোবর ২০২২-এ তা ৪৬ টাকা কেজি। সরু চাল এ সময়ে ৪৪ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬৫ টাকা, খোলা আটা ১ জানুয়ারি ২০২০ ছিল ২৮ টাকা কেজি, সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ বেড়ে অক্টোবর ২০২২ এ তা ৫৫ টাকা কেজি, খোলা ময়দা ৫৮ শতাংশ বেড়ে এখন কেজি ৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন ৮৮ শতাংশ বেড়ে এখন কেজি ১৬২ টাকা, মসুর ডাল ৭৩ শতাংশ বেড়ে এখন ৯৫ টাকা কেজি, চিনি ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, ডিম ৪১ শতাংশ বেড়ে হালি ৪৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ৬৪ শতাংশ বেড়ে এখন ১৮০ টাকা কেজি। আটটি পণ্য কিনতে গড় পড়তা একটি সাধারণ পরিবারের ব্যয় বেড়েছে মাসে দুই হাজার ১২৬ টাকা। বেশির ভাগ সবজির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এক আঁটি লাল শাক ১৫ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তেমনি বেড়েছে মাছ, গোশত, তেল-নুনসহ প্রতিটি পণ্য। হঠাৎ করে দেশের চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েই খোলা চিনির দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুধু আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নয়, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের খরচ কত বাড়িয়ে দিয়েছে, এর উদাহরণ দিয়ে সিপিডি বলেছে, মাছ গোশত না খেয়েও ঢাকা শহরের চার সদস্যের পরিবারের মাসিক খরচ ২২ হাজার ৪২১ টাকা। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, লবণ, মাছ, গোশতসহ ১৯টি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কেনার খরচ ধরে এ হিসাব জানায় সিপিডি। বাজারে দাম বাড়েনি এমন পণ্যের খোঁজ পাওয়া কঠিন। এই মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্তের স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত করেছে নিম্নবিত্তকে গভীর সঙ্কটে ফেলেছে এবং গরিব, দরিদ্র মানুষের খাবার জোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৪ বছরে তাদের শাসনামলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ে এ দেশের মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা বুঝতে পারছেন যে, এ সরকারের শাসনামলে তাদের সাথে কেমন নিষ্ঠুর ভাঁওতাবাজি করা হয়েছে। তারা কতবার হোঁচট খেয়েছে, তার হিসাব রাখাটাও এক দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৬ সালে বিএনপির শেষ সময়ে মোটা চালের দাম ছিল ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা কেজি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন তদের ভোট দিলে দশ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবেন। ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন। বিনামূল্যে সার দেবেন। এবং পাঁচ টাকা সের কাঁচামরিচ খাওয়াবেন। ‘দশ টাকায় চাল খাব, নৌকায় ভোট দেব’ স্লোগানে তারা বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেন এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তাদের ১৪ বছরের শাসনামলে দ্রব্যমূল্য এখন নিয়ন্ত্রণহীন।
শুধু নিত্যপণ্যই নয়, দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম। গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৯ বার। এই সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। এদিকে জুন ২০২২-এ গড়ে ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম। এরপর চলমান লোডশেডিংয়ের মধ্যেই ৬ আগস্ট ২০২২ ইতিহাসের রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেলের সাড়ে ৪২ শতাংশ পেট্রল-অকটনের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ শতাংশ। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে এক মাসের মাথায় লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা নামকাওয়াস্তে কমানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। জ্বালানি তেলের রেকর্ড দামবৃদ্ধির ফলে সবকিছুর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জনগণকে নতুন করে পড়তে হয় নরকযন্ত্রণায়।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মজুদদারি, কালোবাজারি ব্যবসার মতো বর্তমান ক্ষমতাসীনদের ১৪ বছরেও একই ধরনের সিন্ডিকেট ব্যবসা শুরু হয়ে যায়। এর সাথে জড়িত হন ক্ষমতাসীনদের লোকজন। কখনো চালের সিন্ডিকেট, চিনির সিন্ডিকেট, লবণের সিন্ডিকেট কিংবা পেঁয়াজের সিন্ডিকেট, তেলের সিন্ডিকেট হাতিয়ে নেয় জনগণের শত শত কোটি টাকা। আটা-ময়দা বাজারেও নতুন অস্থিরতা সৃষ্টির খবর বের হয়েছে ২৭ অক্টোবর ২০২২ এর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়।
১৮ জুলাই ২০১৯ ইউএনবির এক রিপোর্টে বলা হয়, সম্প্রতি পেঁয়াজ, লবণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের পকেট কেটেছে লুটেরার দল। কনসাস কনজিউমার্স সোসাইটি (সিসিএস) জানায়, ১২২ দিনে ২৪ বার পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করেছে। এভাবেই বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার দাপটে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন