ডিজিটাল বাংলাদেশে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে
26 March 2017, Sunday
বাংলাদেশের জন্য এর ডিজিটাল রূপান্তর একটি অতি আবশ্যকীয় অঙ্গীকার ও চ্যালেঞ্জ। এটি দু’দিক থেকে বিস্তৃত। প্রথমত আমরা পুরো দেশটাকে ডিজিটাল করছি। অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক নানা বিষয়েও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। দুটি চ্যালেঞ্জই আমরা গ্রহণ করেছি। ঘটনাচক্রে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশটি কার্যত শিল্পযুগে প্রবেশ না করেই ডিজিটাল যুগে পা দিয়ে ফেলেছে। বলা যেতে পারে, সভ্যতার একটি ধাপকে ডিঙ্গিয়ে যেতে হচ্ছে উপমহাদেশের নবীনতম এই দেশটিকে। একাত্তরে রক্তাক্ত যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পাবার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ উঠে দাঁড়ানোর আগেই ৭৫ সালে এর জনককে হত্যা করে দেশটিকে বরং পেছন দিকে হাঁটানোর চেষ্টা করা হয়। যদিও ৬৪ সালে এই দেশে হানিফউদ্দিন মিয়ার হাত ধরে কম্পিউটার আসে, ৮৭ সালে আনন্দপত্রের হাত ধরে প্রকাশনায় ডিজিটাল বিপ্লবটা সংঘটিত হয়, তবুও বস্তুত ৯৬ সালের আগে দেশটি ডিজিটাল পথে পা ফেলেনি। কৃতজ্ঞতা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যার হাত ধরে আমরা ডিজিটাল যাত্রাটা শুরু করি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম শাসনকালে ৯৬ সালে অনলাইন ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ, ৯৭ সালে মোবাইলের মনোপলি ভাঙ্গা এবং ৯৮ সালে কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করার মাইলফলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যই আজ আমরা নিজেদের ডিজিটাল দেশের পরিচয়ে অভিষিক্ত করতে পারছি। প্রসঙ্গত আমি এটিও স্মরণ করতে চাই যে, এই মহান নেত্রীই বাংলাদেশের প্রথম রাজনীতিক যিনি নিজের হাতে কম্পিউটারে বাংলা ব্যবহার করে রাজনৈতিক নেতাদের ডিজিটাল হওয়ার পথ দেখান। ৯৬-২০০১ সময়কালে তিনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার বদলের পর ডিজিটাল দেশ হওয়ার স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসা সরকারই ৯২ সালে দেশকে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে দেয়নি। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমাদের ডিজিটাল যাত্রা কার্যত স্থবির হয়ে থাকে।
তবে বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রা এক নতুন রূপ পায় ২০০৮ সালে। সেই বছরের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দেশটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা প্রদান করেন। তার ঘোষণাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণাকে নানাভাবে ঠাট্টা-তামাশা করলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একটি চরম বাস্তবতা।
এটি আমাদের গর্বের যে, শিল্পযুগে পিছিয়ে পড়ার পরও ডিজিটাল যুগের বিষয়টিতে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলছি তখন সারা দুনিয়া ডিজিটাল হচ্ছে। এমনকি এতদিনে বিশ্ব নেতারা ডিজিটাল দুনিয়ার কথা বলছেন। ২০১৬ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আলোচনা থেকে আমরা এটি জানছি যে, তারা দুনিয়ার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা ভাবছেন। বাষ্পীয় ইঞ্জিনের যুগের পর বিদ্যুত এবং এরপর ইন্টারনেটের স্তরটি অতিক্রম করে দুনিয়া এখন ডিজিটাল বিপ্লবের স্তরে আছে বলে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ঘোষণা করেছে। এজন্যই আমি অবাক হচ্ছি না যে, ২০১৭ সালে ভোক্তা অধিকার দিবস পালনের প্রতিপাদ্য হিসেবে ডিজিটাল বিশ্বে ভোক্তার আস্থার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশে আমরা সেই দিনটি পালনও করেছি। এবারে ডিজিটাল বাংলাদেশে ভোক্তার আস্থার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
বিষয়টিকে যদি ব্যাখ্যা করতে হয় তবে আগে বুঝতে হবে বিশ্ব ডিজিটাল হলে বা অন্য অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠলে শিল্প-কলকারখানার উৎপাদনের বিষয়টি কেমন হবে বা পণ্যের চরিত্র কতটা বদলাবে। আমরা যারা কেবল পণ্য ভোক্তা বলে নিজেদের চিনি তাদের জন্য সেবাও যে একটি ভোক্তার বিষয় সেটিও বুঝতে হবে। একই সঙ্গে এটিও বুঝতে হবে যে, ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক, বেচাকেনার উপায়, লেনদেন ইত্যাদির রূপান্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব কতটা ব্যাপক হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে মোটা দাগের পরিবর্তনগুলো হচ্ছে ক. সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর, খ. শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও গ. ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা তথা জীবনধারার ডিজিটাল রূপান্তর। এর সুবাদে অর্থনীতি হচ্ছে ডিজিটাল। অর্থনীতির চরিত্র হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক আর সেই সুবাদে সমাজটাও হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক। আমরা এই ছোট নিবন্ধে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের খাতসমূহ ও এর পরবর্তী ধাপ জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বা জ্ঞানভিত্তিক সমাজের বিস্তারিত আলোচনা করতে পারব না। বস্তুত সেটি আমাদের উদ্দেশ্যও নয়। বরং আমরা আলোচনা করতে চাচ্ছি ভোক্তার আস্থার বিষয়টি নিয়ে। দুনিয়াটা ডিজিটাল হলে, বাংলাদেশ ডিজিটাল হলে ভোক্তার আস্থার বিষয়টি যেভাবে রূপান্তর হবে সেগুলোর মূল কারণগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ :
প্রচলিত পদ্ধতির কেনাবেচাকে ডিজিটাল পদ্ধতি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে। এর ফলে ক্রেতা সামনা-সামনি পণ্য দেখে কেনার বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পণ্য কিনবে। একই সঙ্গে হাতে হাতে মূল্য পরিশোধের বদলে ডিজিটাল উপায়ে মূল্য পরিশোধ করবে। প্রচলিত ধারণায় এটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। সভ্যতার ইতিহাসে এর আগে এমন পরিবর্তন আর কখনও হয়নি। আমাদের এই দেশে ডিজিটাল বাণিজ্যের রূপান্তরটি তেমন প্রবলভাবে দৃশ্যমান না হলেও ২০২১ সাল নাগাদ আমাদের বাণিজ্যের ডিজিটাল অংশ মোট ব্যবসার অর্ধেকটাকে দখল করতে পারে বলে ধারণা করা যেতে পারে। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রচলিত ব্যবসা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে সেটিও আমি মনে করি। ২১ সাল নয়, বর্তমানের একটি ডিজিটাল কেনাকাটার সাধারণ বিবরণ এমন হতে পারে। একজন ক্রেতা ইন্টারনেটে, ফেসবুকে, ওয়েবসাইটে একটি পণ্য দেখলেন। পণ্যটির বিবরণ পাঠ করলেন। ছবি দেখলেন। পছন্দ করলেন এবং পণ্যটি কেনার জন্য ক্রয়াদেশ দিলেন। তিনি মোবাইলে, ক্রেডিট কার্ডে বা অন্য কোন ডিজিটাল উপায়ে মূল্য পরিশোধ করলেন। এমতাবস্থায় তিনি পণ্যটি নাও পেতে পারেন। যার পণ্যটি পাঠানোর কথা তিনি হয়ত সেটি পাঠালেন না। এমনও হতে পারে যে, পণ্যটি তিনি পেলেন; কিন্তু যেটি তিনি দেখেছিলেন সেটি নয় বা যে বিবরণ বিক্রেতা দিয়েছিলেন তার সঙ্গে পণ্যের কোন মিলই নেই। আমি এখানে পণ্য বলতে সেবাকেও বুঝিয়েছি।
অন্যদিকে বিক্রেতা ক্রেতার কাছে পণ্যটি পাঠালেন এবং তার কাছে মূল্য চাইলেন। ক্রেতা পণ্যটি নিয়ে মূল্য পরিশোধ করলেন না বা বললেন পরে আসেন। তিনি এমন বাহানাও তুললেন যে, যা চেয়েছিলাম তা আমি পাইনি, মূল্য দেব কেন? এমনকি পণ্যটি তিনি ফেরত দিলেন। এর ফলে পরিবহন খরচ বিক্রেতাকেই গুনতে হলো। এখন যারা ডিজিটাল কমার্সের সঙ্গে যুক্ত তারা আরও শত শত চ্যালেঞ্জের কথা বলতে পারবেন। পণ্য পরিবহনকারী, উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতাসহ সকল স্তরেই নতুন নতুন প্রেক্ষিত তৈরি হচ্ছে, যেখানে আস্থা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে।
তেমন সব অবস্থায় ভোক্তারা যেসব বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মাঝে পড়ছেন সেগুলো হচ্ছে :
১. প্রচলিত বা বিদ্যমান আইন ডিজিটাল দুনিয়ায় ভোক্তার অধিকারকে সংরক্ষণ করছে না। পণ্য বেচাকেনা, সেবাদান ও আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল অবস্থার সঙ্গে আইনগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক হচ্ছে। এমনকি নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো আইনী কাঠামো এখনই বিরাজ করে না। কেউ কেউ মনে করে বসে আছেন যে, ভোক্তা অধিকার আইনটি বোধহয় বদলাতে হবে। সেটি তো হবেই, তবে সিআরপিসিতেও যে পরিবর্তন আনতে হবে সেটি আমাদের বুঝতে হবে। দেশের সাক্ষ্য আইন ছাড়াও মেধাস্বত্ব আইন ইত্যাদির ওপর ডিজিটাল প্রভাব এত বেশি ণ্ডে ভোক্তার জন্য তার অধিকারের আইনগত ভিত খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ছে। আমার নিজের হিসেবে বাংলাদেশের ১৬৭টি আইন আপডেট করতে হবে বা বদলাতে হবে।
২. ক্রেতার বিষয়টির আইনগত প্রেক্ষিতগুলোর মতোই বিক্রেতা বা সেবাদানকারীকেও আইনগত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। সেবাদানকারী বা বিক্রেতার জন্য আইনগত অবকাঠামো তৈরি করার পাশাপাশি নতুন বিশ্বব্যবস্থা ও অভ্যন্তরীণ রূপান্তরের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।
৩. ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল অপরাধ মোকাবেলা করা ছাড়াও ক্রেতা তার নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিক্রেতা তার তথ্য সংগ্রহ করে সেই তথ্য কাকে দিচ্ছে, কোন্ কাজে লাগাচ্ছে সেটির কোন হদিস ক্রেতার পক্ষে খুঁজে পাওয়া কঠিন। আইনে এখনও এমন কোন বিধান নেই যার ফলে ক্রেতা নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।
৪. বর্তমানে বিকাশমান প্রযুক্তি, ইন্টারনেট অব থিংস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমতা ক্রেতাকে আরও বেশি করে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আইনগত বিষয়গুলোর পাশাপাশি ক্রেতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাকে এসব প্রযুক্তির অপব্যবহারকে প্রতিরোধ করতে হবে। ক্রেতার সচেতনতা না থাকার ফলে সে প্রতি পদে পদে প্রযুক্তির ফাঁদে পড়তে পারে।
৫. তথ্য ডিজিটাল হয়ে যাওয়ার ফলে সে তার নিজের দক্ষতায় সেসব তথ্য সংগ্রহ বা ব্যবহার করতে অক্ষম হয়ে পড়ছে। প্রচলিত জ্ঞান, শিক্ষা বা দক্ষতা অতি দ্রুত অচল হয়ে পড়ায় সে তার নিজের অধিকার বুঝে নেয়ার ক্ষমতাও রাখছে না। ফলে বিক্রেতা বা সেবাদানকারী তাকে যথাযথ পণ্য বা প্রকৃত সেবা দিচ্ছে কিনা সেটি উপলব্ধি করার ক্ষমতাও তার কমছে।
৬. ডিজিটাল বা বিশ্বায়নের নামে ক্রেতা তার মাতৃভাষায় যোগাযোগের সুযোগও হারাতে বসেছে। বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানিগুলো যে চুক্তিনামায় সিম বিক্রি করে সেটিতে কোন বাংলা হরফই নেই। অন্য যেসব সেবা ডিজিটাল হচ্ছে সেখানেও বাংলার ব্যবহার থাকছে না। ফলে সে যে জ্ঞান নিয়ে এনালগ যুগে তার অধিকার রক্ষা করতে পারত সেটি এখন আর রক্ষা করতে পারছে না।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের ক্রেতাদের সাধারণ সচেতনতাই নেই। এখনই সে তার নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। প্রচলিত ও বিদ্যমান আইনই ক্রেতার কাজে লাগে না। সে যেমন করে আইনের আশ্রয় নিতে পারে না তেমনি সরকার সেই আইনের প্রয়োগে সর্বোচ্চ কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে না। ক্রেতাকে সচেতন করার ক্ষেত্রেও আমরা যদি কেবল একটি ভোক্তা অধিকার দিবসের দিকে তাকিয়ে থাকি তবে সেই সচেতনতা কখনও আসবে না।
আইনের বিষয়টি এমন যে, এখনও দেশে ই-কমার্স পলিসি প্রণয়ন হয়নি। অন্য আইন বদলানো দূরের কথা ভোক্তা অধিকার আইন কবে বদলাবে সেটিও আমরা জানি না।
আমরা চাই বা না চাই দুনিয়া ডিজিটাল হবে। ডিজিটাল হবে বাংলাদেশও। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশটাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে ক্রেতা তার সকল আস্থা নিয়ে কোন ধরনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছাড়া জীবনকে স্বাভাবিক গতিতে চালাতে পারেন। আমি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কায় নেই। শঙ্কাটা হচ্ছে আমার নিজের প্রজন্মকে নিয়ে; যারা মনে করেন বালির নিচে মুখ লুকিয়ে রাখলেই দুনিয়া তাকে দেখে না। আমি তাদের নাতির কাছে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানাই। অন্যদিকে আগামী দিনের নাগরিকদের ডিজিটাল যুগের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। আমরা সম্ভবত ডিজিটালের ঘুঘু দেখেছি, এখনও ফাঁদ দেখিনি।
ঢাকা, ২৪ মার্চ, ১৭
লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥
উৎসঃ জনকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন