বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসনে আইন-বিচারের নামে অন্যায়-অবিচার চলছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই না করলে সবাইকে ঘরে বসে মরতে হবে।’ আজ সোমবার দুপুরে জামালপুর জেলা আদালতে হাজিরা শেষে আদালত ফটকে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
ঘন ঘন আদালতে হাজিরার তারিখ নির্ধারণের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা থেকে এসে ৭ দিন পর পর হজিরা দিচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার মামলায় ফরমায়েশি রায় দেবে জেনেও হাসি মুখে কোর্টে গিয়ে ফরমাশি সাজার রায় শুনে কারাগারে গেছেন। কিন্তু ন্যায় বিচার পান নাই।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার অবনতির বিষয় উল্লেখ করে আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এক এগারো সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এখন তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিয়ে গেছে।
মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিদেশে উন্নত সেন্টারে উপযুক্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে সরকার। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন করে তুলেছে তারা। তার (খালেদা জিয়ার) জীবনের কোনো ক্ষতি হলে আওয়ামী লীগ সরকারকেই সকল দায় নিতে হবে।
সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের যে কর্মসূচি ঘোষণা হচ্ছে, তা সর্বাত্মক সফল করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সুনিশ্চিত করতে হবে।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আইনজীবী অ্যাড. ফজলুল হক, জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদের খান বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রিজভী আল জামালী রঞ্জু, মহিলা দলের সভানেত্রী সেলিনা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক শামিমা বেগম রুবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
এর আগে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ওয়ারেস আলী মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়ে করা মামলায় দ্রুত বিচার আদালতে হাজিরা দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন