নিয়মের গেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে গেল বাংলাদেশ। তার জেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মাহমুদুল্লাহ, নাজমুল হাসান শান্তদের। নিয়মের গেরোয় যত রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হোল বাংলাদেশ, শেষপর্যন্ত ঠিক সেই রানেই হেরে যাওয়ায় যন্ত্রণাটা আরো বাড়ল। আর যে ওভারে সেই রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হয় বাংলাদেশ, তার ঠিক পরের ওভারেই ‘টাইগার’-দের বিপক্ষে যায় একটা মারাত্মক ‘ক্লোজ’ এলবিডব্লুয়ের সিদ্ধান্ত। ‘আম্পায়ার্স কল’-র কারণে আউট হয়ে যান তোহিদ হৃদয়। যিনি বাংলাদেশের ইনিংসটা টানছিলেন। ওই সিদ্ধান্তটা যদি বাংলাদেশের পক্ষে যেত, তাহলেও ম্যাচটা জিতে যেতে পারতেন ‘টাইগার’-রা।
কিভাবে ৪ রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হলো?
সোমবার সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল্লাহের সামনের প্যাডে আছড়ে পড়ে একটি বল। আউট দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরআস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেন মাহমুদুল্লাহ। রিভিউয়ে দেখা যায় যে বলটা স্টাম্পে লাগছে না। সেই পরিস্থিতিতে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পালটে নেন তৃতীয় আম্পায়ার।
কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দেয়ায় বলটা মাহমুদুল্লাহের প্যাডে লেগে বাউন্ডারিতে চলে গেলেও চার রান পায়নি বাংলাদেশ। যে চারটি রান বাংলাদেশ পেয়ে গেলে ১৯তম ওভারেই সম্ভবত খেলা হয়ে যেত। শেষের দিকে যে এত চাপ তৈরি হয়েছিল, সেটাই হতো না। ওই নিয়মটা ইতিমধ্যে পাল্টনোর দাবি তুলেছেন অনেকেই।
দুর্ভাগ্যজনক এলবিডব্লিউ
তবে বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য সেখানেই শেষ হয়নি। অষ্টাদশ ওভারের প্রথম বলেই তৌহিদকে এলবিডব্লু দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরএস নেন তোহিদ। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছিল যে বলটা লেগস্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিভিউয়ে দেখা যায়, একেবারে এক চুলের জন্য বলটা লেগস্টাম্পে লাগতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর যেহেতু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেন, তাই সেই সিদ্ধান্ত বহায় থাকে। ৩৪ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যেতে হয় তৌহিদ।
ওইসময় জয়ের জন্য বাংলাদেশের ১৮ বলে ২০ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল ছয় উইকেট। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার যদি ওইসময় মাঠে থাকতেন, প্রায় নিশ্চিতভাবে ম্যাচটা জিতিয়ে ফিরতে পারতেন। কিন্তু সেটা হয়নি। তিনি আউট হতে বাংলাদেশের স্নায়ুর চাপ বেড়ে যায়। যে স্নায়ুর চাপে শেষপর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ।
ফুলটস পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ
নাহলে ২০তম ওভারে কেশব মহারাজের শেষ দুটি বল একেবারে মাঠের বাইরে ফেলার মতো বল ছিল (দু'বলে ছয় রান বাকি ছিল)। সেটা করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। একেবারে লং-বাউন্ডারির উপর থেকে তার ক্যাচ ধরেন এডেন মার্করাম। আর তারপর মহারাজের ফুলটসে এক রানের বেশি নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন