প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে গিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি এমন একটি সংবাদ প্রচার হয়। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর থেকে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে নানা মন্তব্য করা হয়। শুরু হয় নানা সমালোচনা-আলোচনা। বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০শে আগস্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে চেকটি ইস্যু করা হয়। অনেকেই চেকের সঙ্গে ফখরুল এবং তার স্ত্রীর ছবি যুক্ত করে পোস্ট দেন। কিছু ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টালও এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে।
মানবজমিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, প্রচারিত খবরটি ভুয়া। সংবাদটির সত্যতা যাচাই করতে কাজ করে রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ। তারা ওই চেক ও বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক করে জানতে পারে মির্জা ফখরুলের চিকিৎসা সহায়তা নেয়া ভাইরাল চেকটি ভুয়া।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ব্যাংক একাউন্টের নাম ও নম্বরের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া চেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও নামের মিল নাই।
গত ৮ই জুন রাতে ঢাকার বনানীর বাসা থেকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে সাফা কবিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু সংবাদ মাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে মডেল অভিনেত্রী সাফা কবিরের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রচার করা হয়। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছেন এমন খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যুতে ভক্তরাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অনেকেই তাকে ট্যাগ করে শোক প্রকাশ করেন। আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাফার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পরে জানা যায়, সাফা কবির আত্মহত্যা করেননি তিনি সুস্থ আছেন ভালো আছেন।
ভুয়া এই সংবাদ প্রচার হওয়াতে সাফা কবিরকে কম ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তাকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতি ও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। তিনি তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তিনি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাফা কবির বলেন, একটি ভুল পোস্টে আমাকে অনেকেই ট্যাগ করছেন। নামের সঙ্গে মিল থাকায় অনেকেই আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। না জেনে এভাবে আতঙ্ক ছড়ানোটা ঠিক না। এতে আমাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, বিব্রত হতে হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া নিউজ, তথ্য ও গুজব ছড়ানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। একটি মহল বিভিন্ন ইস্যুকে ঘিরে গুজব প্রচার করে। এসব ভুয়া সংবাদ বা গুজবের শিকার যারা হচ্ছেন তারা সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, পেশাগতভাবেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। টার্গেট করে একটি মহল এসব কাজ করছে। আবার এসব ভুয়া সংবাদ প্রচার করে কেউ কেউ ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে ভিউ পাচ্ছেন। তাদের ব্যবসা জমজমাট হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড়, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীরাও ভুয়া সংবাদে ঘায়েল হচ্ছেন। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রোপাগান্ডা, গুজব, ভুয়া সংবাদ প্রচার হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেকেই অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে। ভুক্তভোগীদের লম্বা একটি সময় নিয়ে এই ধাক্কা সামাল দিতে হয়। কিন্তু বরাবরই প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে থেকে যায়। যারা এসব সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করে কাউকে হেয় বা মানহানি করা হচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তাদেরকে সামনে নিয়ে এলে হয়তো কী উদ্দেশ্যে তারা এসব করছে সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যেতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রীয় ইস্যু না হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
সূত্রমতে, ফেক নিউজ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মিস ইনফরমেশন, ম্যাল ইনফরমেশন ও ডিস ইনফরমেশন এই তিন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। মিস ইনফরমেশন হলো- এমন সব ভুল খবর যেগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে ব্যবহারকারী প্রচার করে দেন। আবার ডিস ইনফরমেশনের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি খবরটি সত্যি জেনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করেন। আর ম্যাল ইনফরমেশন অর্থ- যে সব খবর সত্যি হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বা সংগঠনের ওপর আঘাত হানতে পারে বা রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে পারে তা জেনেও প্রচার করা।
তথ্যের অপব্যববহার করে বানানো খবর, মিথ্যা খবর, জাল খবর, মিথ্যা ভিডিও এসব ফেইক নিউজের মধ্যে পড়ে। গুজব শনাক্ত করতে কাজ করে, রিউমার স্ক্যানার নামের এমন একটি সংগঠনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত এক বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যম মিলে প্রায় দেড় হাজার গুজব ছড়ানো হয়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক। সামান্য অসতর্কতায় অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়ছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ সামাজিক অশান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৯শে আগস্ট প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চলচ্চিত্র নায়িকা পরিচয় দেয়া জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এই তথ্য দিয়ে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতের ছবি ব্যবহারের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করে বেশকিছু সংবাদমাধ্যম। শুটিং সেটে এমন সংবাদ প্রচার হয়েছে সেটি শুনার পর তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। পরিচিত মহল, আত্মীয়স্বজন ও সমাজে তার ব্যাপক মানহানি হয়। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অন্য নারীর জায়গায় আমার ছবি ব্যবহার করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আমি চরম বিব্রত হয়েছি। ওই নিউজে আমার ছবি দেখে আমি তো আকাশ থেকে পড়েছি। সেটা দেখে আমার পরিচিতজনরা সবাই আমাকে ছবি পাঠাচ্ছে। আমাকে অনেকেই নিউজটি ইনবক্সে দিচ্ছে। কেন আমার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা আমি জানি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, ভুয়া নিউজগুলো যারা করে থাকেন বা গুজব যারা ছড়িয়ে থাকেন তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো করেন। এখানে কিছু উদ্দেশ্য থাকে ব্যক্তিগত। এটির মাধ্যমে কাউকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে, অথনৈতিক, হেয় করা অথবা সামাজিক মার্যাদা ক্ষুণ্ন্ন করতে চায়। অথবা তাকে সামাজিকভাবে একঘরে করে দিতে চায়। সমাজে তাকে একটা প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় অবতীর্ণ করতে চায়।
কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ধরনের অবস্থা তৈরি করতে গেলে তার নামে কিছু ভুয়া নিউজ, ভিডিও, ছবি এডিট করে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এটি হলো আমাদের দেশের ভুয়া তথ্যের একটা ধরন। আরেকটি আমরা দেখছি রাজনৈতিক অঙ্গনে ভুয়া খবর, ভুয়া তথ্য এই ধরনের ইভেন্টগুলোর একটি কদর বেড়েছে। এটি বাড়ার কারণ আমাদের সামনে একটি জাতীয় নির্বাচন আছে। সেই নির্বাচন নিয়ে আমাদের বড় দু’টি দলের মধ্যে নির্বাচনী যে প্রতিযোগিতা, সেই প্রতিযোগিতার পরিবর্তে এখন প্রতিহিংসার পরিস্থিতি আমরা লক্ষ্য করছি।
যখন গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে প্রতিহিংসা বা ন্যায়পরায়ণতার পরিবর্তে প্রতিশোধমূলক স্পৃহা যখন তৈরি হয় তখন রাজনৈতিক মাঠে সবাই সবার বিরুদ্ধে চলে যায়। তখন কে কাকে কতটা ভোটারদের কাছে ছোট করতে পারে, কীভাবে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে তার নিজের দল বা অন্য দলের মধ্যে নিজের অবস্থানকে হীন করতে পারে এটিই থাকে মূল উদ্দেশ্য। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া যারা ব্যবহারকারী তারা সবাই কিন্তু দেখে-শুনে বিচার-বিশ্লেষণ করে বিশ্বাস করা বা সেটিকে ধারণ করা এই জায়গাটিতে কিন্তু আমাদের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের অনেকই একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ বা সরল মানুষ যারা একেবারে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের মানুষ তারা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখে তা কিন্তু অনেকেই সেটিকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে। এই মানুষগুলো আছে বলেই এই ভুয়া খবর বা গুজব রটনা থেকে শুরু করে, কাউকে হেয় করা, ছোট করা, বিভ্রান্ত, ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ করা, ক্ষুণ্ন্ন করার কাজগুলো চলছে।
তিনি বলেন, এখন আমাদের করণীয় কি বা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কি করবে? বা রাষ্ট্র বা সরকার কি করতে পারে। প্রতিপক্ষকে কতটা ঘায়েল করতে পারলো, ছোট করতে পারলো জনগণের সামনে এর একটা সংস্কৃতি বা প্রতিযোগিতা চলছে। সোশ্যাল প্লাটফর্মকে যদি আমি অন্যকে ছোট করা, হেয় করার কাজে ব্যবহার করি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হলো এই ধরনের নিউজগুলো যারা ছড়িয়ে দেয়, যারা প্রমোট করে তাদেরকে খুঁজে আইনের মুখোমুখি করা এবং এদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করা। কিন্তু এটা বলার পাশাপাশি আরও একটি কথা বলছি কিছুই হবে না। যারা এই ফেক নিউজ ছড়ান তারা জেনেশুনেই করেন- এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মানুষের কাছে যখন জনপ্রিয়তা আছে তখন এই ধরনের ব্যক্তিদেরকে একটি অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে ফেলতে চায় একটি গোষ্ঠী। তারা কয়েকটি কৌশল বেছে নেয়। এখানে কিছু ভুঁইফোঁড় অনলাইন আছে তাদের বাজারদর, ভিউ বাড়ানোর জন্য এই ধরনের খবরগুলো প্রচার করে থাকে বেশি। আবার কিছু পাঠক আছে, তাদের এই ধরনের খবরের প্রতি আগ্রহ থাকে। তখন ওই ব্যক্তি অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়, তাকে ফোন করে বা অনেকে জানার চেষ্টা করে ঘটনাটির বিষয়ে। এক্ষেত্রে উচিত মূলধারার গণমাধ্যমকে খোঁজখবর নিয়ে এটির সত্যতা যাচাই করে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা বা সত্য জানানো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার মানবজমিনকে বলেন, ভুয়া সংবাদ ও তথ্য প্রচার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারায় অপরাধের শামিল। কোনো ভুক্তভোগী যদি জিডি করেন তাহলে আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনে। এছাড়া ভুয়া তথ্য প্রচার করলে ফেসবুকের থার্ডপার্টি ফ্যাক্টচেক করে রিপোর্ট করলে এসব তথ্য সরানো হয়।
অনেক সময় যেসব আইডি থেকে এসব তথ্য প্রচার করে ভুক্তভোগী বা অন্যরা আইডিতে রিপোর্ট করতে পারে। তিনি বলেন, অনেক স্বীকৃত গণমাধ্যমও ভুল তথ্য প্রচার করে। যখন তারা বুঝতে পারে এটি ভুল হয়েছে তখন কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলে। দেশ বা রাষ্ট্রবিরোধী অথবা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হবে- এমন কোনো তথ্য যদি কেউ প্রচার করে আর সেটি ডিবি সাইবার টিমের নজরে আসে তবে আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে এসব আইডি বন্ধের সুপারিশ করি। কোনো ওয়েবসাইট থেকে যদি করে তবে আমরা বিটিআরসি’র কাছে বন্ধের সুপারিশ করি। কারও ছবি বা নাম ব্যবহার করে কেউ ফেক আইডি তৈরি করে ভুয়া তথ্য প্রচার করলে আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা যাচাই- বাছাই করে বন্ধ করে দেয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ মানবজমিনকে বলেন, বিভিন্ন পোর্টাল থেকে ভুয়া সংবাদ প্রচার থেকে শুরু ফেসবুকে ভুয়া তথ্য ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচারণা প্রায়ই হচ্ছে। আমরা এসব ভুয়া আইডি, ভুয়া পোস্ট রিমুভ করার জন্য বিটিআরসি’র মাধ্যমে আইনি ফরমেটে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে আবেদন করি। ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক কর্তৃপক্ষের কাছে এসব আবেদন করা হয়। আর আন রেজিস্টার্ড বা ভুঁইফোঁড় অনলাইন যদি ভুয়া তথ্য প্রচার করে তাহলে সেগুলো বিটিআরসি বন্ধ করে দিতে পারে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিকেশন উইংয়ের উপ- পরিচালক জাকির হোসেন খান মানবজমিনকে বলেন, একটা সংবাদ যে গুজব সেটি আমাদেরকে আগে শনাক্ত করতে হয়। যখন গুজবটি রাষ্ট্রবিরোধী হয় তখন এটি একটি সাইবার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তখন পুলিশের সাইবার ইউনিটগুলো এসব নিয়ে কাজ করে। তাদের মাধ্যমে বিষয়গুলো আমাদের কাছে আসে।
রাষ্ট্রীয় বিষয় হওয়াতে আমরাও ক্রস চেক করে কারিগরী পদক্ষেপ নেই। গুজব ছড়ালেই আমরা একটা কিছু বন্ধ করে দিতে পারি না। ক্রস চেক করে করতে হবে। এজন্য আমাদের সাইবার সিকিউরিটি সেল আছে তারা কাজ করে। তিনি বলেন, নিউজ পোর্টালের বিষয়গুলো প্রথমত: তথ্য মন্ত্রণালয় দেখে। কারণ পোর্টাল অনুমোদনের সময় তারা কিছু শর্তাবলী দেয়। সেগুলোর ব্যত্যয় হলে তারা একটা পদক্ষেপ নেয়। যে সময় তাদের ক্যাপাসিটি থাকে না তখন তারা আমাদের সহযোগিতা চায়। আমরা তখন তাদেরকে সাপোর্ট দেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন