‘আমার ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমাকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রমাণ দিতে হলো, আমি বেঁচে আছি। আমার মৃত্যু নিয়ে এ ধরনের স্ট্যাটাস কখনো দিতে হবে ভাবিনি।’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে কথাগুলো লিখেছেন উপস্থাপক হানিফ সংকেত। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ করেই তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় মানসিকভাবে নিদারুণ কষ্টে রয়েছেন হানিফ সংকেত।
ক্ষুব্ধ হয়ে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী একশ্রেণির বিকৃত মানসিকতার মানুষ। তাদের ভিউ ব্যবসা ও ফলোয়ার বাড়ানোর প্রত্যাশায় মানুষের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অসামাজিক কাজ করছে। ছড়িয়েছে আমার মৃত্যু সংবাদ। একজন সুস্থ মানুষকে মেরে ফেলার পেছনে এদের কী ধরনের মানসিকতা কাজ করে, আমার বোধগম্য নয়। তারা কি একবারও চিন্তা করে না, আমাদেরও পরিবার আছে, আত্মীয়স্বজন আছে, শুভাকাঙ্ক্ষী আছে? এ ধরনের সংবাদে তাদের মানসিক অবস্থা কী হতে পারে? আমি আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসায় সুস্থ আছি। ভালো আছি। আমার কোনোরকম কোনো দুর্ঘটনাও ঘটেনি।’
গত রাত থেকে হানিফ সংকেতের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লেও এই উপস্থাপকের স্ট্যাটাসে জানা যায়, দুই দিন ধরে তাঁরা মৃত্যুর গুজব শুনছেন। এমন ঘটনায় হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘নিদারুণ মানসিক কষ্টে আছি। শত শত মানুষ যোগাযোগ করেছেন, এখনো করছেন। সুস্থতা কামনা করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু ভিউ, লাইক, শেয়ার পাওয়ার জন্য একজন মানুষকে এরা মেরে ফেলবে? এ কী ধরনের মানসিকতা? নাকি এদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? এর আগেও বেশ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর আগেই মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে একটি মহল। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। যেসব মাধ্যম এবং পেজ থেকে এ ধরনের সংবাদ আপলোড হচ্ছে, শেয়ার হচ্ছে, তাদের আপনারা বুঝিয়ে দিন, না জেনে না শুনে, নিশ্চিত না হয়ে কোনো কিছু শেয়ার করা শুধু অন্যায় নয়, অপরাধও। দেশ–বিদেশ থেকে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয়স্বজন ও ভালোবাসার মানুষেরা আমাকে সমবেদনা জানিয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’
তাঁর ভুয়া মৃত্যু খবরে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন। মানসিকভাবেও কেউ কেউ ভেঙে পড়েছেন। আজ সকাল থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। তাঁদের উদ্দেশে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘আমার আকস্মিক মৃত্যুর গুজবে যাঁরা কষ্ট পেয়েছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন, সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আর যারা এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে, তাদের প্রতি অন্তর থেকে ঘৃণা প্রকাশ করছি। ইতিমধ্যে আমি সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছে। আর একটি অনুরোধ, গুজবে কখনো কান দেবেন না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার পাথেয়।’
‘ইত্যাদি’র পরিকল্পক ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত।
হানিফ সংকেত ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন তিনি। ‘ইত্যাদি’তে সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে নাটিকা, কৌতুক, আশাবাদের গান ও তৃণমূল মানুষের সাফল্য তুলে ধরা হয়। নাটক নির্মাণেও হানিফ সংকেতের সাফল্য রয়েছে।
তাঁর ভুয়া মৃত্যু খবরে অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন। মানসিকভাবেও কেউ কেউ ভেঙে পড়েছেন। আজ সকাল থেকে একের পর এক ফোন আসতে থাকে। তাঁদের উদ্দেশে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘আমার আকস্মিক মৃত্যুর গুজবে যাঁরা কষ্ট পেয়েছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন, সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আর যারা এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে, তাদের প্রতি অন্তর থেকে ঘৃণা প্রকাশ করছি। ইতিমধ্যে আমি সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছে। আর একটি অনুরোধ, গুজবে কখনো কান দেবেন না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার পাথেয়।’
হানিফ সংকেত ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা করেন তিনি। ‘ইত্যাদি’তে সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে নাটিকা, কৌতুক, আশাবাদের গান ও তৃণমূল মানুষের সাফল্য তুলে ধরা হয়। নাটক নির্মাণেও হানিফ সংকেতের সাফল্য রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন