গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বামীর অত্যাচারে যুব মহিলা লীগ নেত্রী তানজিলা খানম লাকী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় পর আত্মহননকারীর স্বামী সফিকুল ইসলাম সুমন পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পরে আউচপাড়া এলাকায় অভিযান ৫ এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিলা খানম লাকী বগুড়া জেলার নন্দীপাড়া থানার দমদমা গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানা যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, আউচপাড়া অভিযান ৫ এর আমির হোসেনের ৭ তলা বাড়ির ৫ তলায় লাকী স্বামীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। তাদের সংসারে একটি মেয়ে ও দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে ঝগড়াবিবাদ লেখে থাকত। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত লাকীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী সুমন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
নিহতের ছোট বোন কামরুন নাহার পুতুল জানান, সুমন আর লাকী প্রেম করে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করে সুমন আমার বোনকে মারধর করত। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বোন লাকী আলাদা থাকার চিন্তা ভাবনা করেন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের দুইজনের মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। পরে আমি ঘুমিয়ে যাই। সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে তাদের রুমের ভিতরে গিয়ে দেখি আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে আর সুমন ফ্লোরে ঘুমাচ্ছে। আমার ডাক-চিৎকার শুনে সে ঘুম থেকে উঠে। পরে আমি ও দুলাভাই বোনকে খাটের উপর নামাই। এরপর সুমন বাসা থেকে চলে যায়। পরে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে আত্মহত্যা করা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন