আব্দুর রউফ তালুকদার ছবি: ফাইল/নিজস্ব আলোকচিত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁকবদলের দিনগুলোর একটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। রক্তাক্ত এক সামরিক অভ্যুত্থানে সেদিন সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর বিলুপ্তি ঘটে ক্ষমতাসীন ‘বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের’, সংক্ষেপে যা ‘বাকশাল’ নামে পরিচিত। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন এ কে এন আহমেদ। বঙ্গবন্ধু সরকারের নিয়োগ দেয়া সে গভর্নর ১৯৭৬ সালের ১৩ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারের পতন বা বাকশালের বিলুপ্তির পরও এ কে এন আহমেদ প্রায় এক বছর গভর্নর পদে ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার উৎখাতের ৪৯ বছর পর ৫ আগস্ট পতন ঘটেছে তারই কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে এদিন ভারত পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন থেকেই পলাতক ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগ দেয়া গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ৬ আগস্ট থেকে তিনদিন ব্যাংক খোলা থাকলেও অফিসে যাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত স্থান থেকেই গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান প্রবল প্রতাপ দেখানো এ গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর হিসেবে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আব্দুর রউফ তালুকদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। গভর্নর নিযুক্তির আগে অর্থ সচিব ছিলেন তিনি। চাকরি জীবনের প্রায় পুরো সময়েই কাটিয়েছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত আমলা হিসেবে পরিচিতি ছিল তার।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তথা বিজয় দিবসকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দিন ধরা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১২ জন গভর্নর দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে আটজন ছিলেন সরকারের আমলা। বাকি চারজন গভর্নর শিক্ষাবিদ কিংবা ব্যাংকার ছিলেন। গত ৫৩ বছর গভর্নর পদে দায়িত্ব পালনকারীদের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদারই একমাত্র গভর্নর, যিনি সরকার পতনের পর লাপাত্তা হয়েছেন। তার আগে গভর্নর পদে দায়িত্ব পালনকারী ১১ জনের কাউকেই সরকার পতনের পর পালিয়ে যেতে হয়নি। নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তাদের কাউকে পদত্যাগ করতেও দেখা যায়নি।
সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, গভর্নর হওয়ার পর আব্দুর রউফ তালুকদার দলীয় কর্মীর ভূমিকায় ছিলেন। তার গৃহীত অনেক সিদ্ধান্তই ছিল রাজনীতি প্রভাবিত। তিনি চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের ব্যাংকের অর্থ লুটপাটে সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসতে আর সাহস পাননি। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নয়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর এভাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়েছেন কিনা, সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ‘শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারেনি। এ কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের আমানতের অর্থ ব্যাংক থেকে লুণ্ঠিত হয়েছে। এতে সরকারের ওপর মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে চলতে দিলে সরকারেরই উপকার হতো।’
আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আগে অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হতেন। কিন্তু এ পদটিকেও রাজনীতিকায়ন করা হয়েছে। সরকার পতনের পর গভর্নরের পালিয়ে যাওয়াটি যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য লজ্জার।’
দেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যের হাতে নিহত হন। এর ১০ মাস পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দেশে জারি করা হয় সামরিক শাসন। জিয়াউর রহমানের হত্যা কিংবা এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণের পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ১৯৭৬ সালের ১৩ জুলাই তৃতীয় গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন এম নুরুল ইসলাম। ১৯৮৭ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১১ বছর গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। দেশের ব্যাংক খাতের বিকাশ, নীতি প্রণয়ন, নতুন উদ্ভাবন, শিল্পের প্রসারসহ নানা কারণে এম নুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তার হাত ধরেই তৈরি পোশাক খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যাক টু ব্যাক এলসির (ঋণপত্র) উদ্ভাবন হয়েছিল।
১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০০১ সালের জুলাই পর্যন্ত শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। ১৯৯৮ সালের ২৪ নভেম্বর গভর্নর পদে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ ও সাবেক আমলা ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলেও ফরাসউদ্দিন গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে ২০০১ সালের ২৮ অক্টোবর। আর ফরাসউদ্দিন একই বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করে বিদায় নিয়েছিলেন।
২০০৫ সালের ১ মে নবম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি গভর্নর পদে দায়িত্ব পালন করেন। যদিও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ওই বছরের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। অর্থাৎ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গভর্নর পদে তার মেয়াদ পূর্ণ করে বিদায় নিতে পেরেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এক গভর্নর নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো জনগণের বিশ্বাসের শেষ ঠিকানা। গভর্নর পদটিও মানুষের কাছে অত্যন্ত সম্মানীয়। রাজনৈতিক সরকার দ্বারা আমিও নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব পালনের সময় এমন কোনো কাজ করিনি, যার কারণে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পালিয়ে যেতে হবে। লজ্জার বিষয় হলো আমাদেরকে এখন গভর্নর পালানোর সংবাদও শুনতে হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা। গভর্নর পদটিকে সাংবিধানিক পদেও রূপান্তর করা দরকার।’
২০২২ সালের ১২ জুলাই গভর্নর পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংক খাত সংস্কার, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ ও ডলার সংকট উত্তরণসহ বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত দুই বছরে তার কোনো প্রতিশ্রুতি কিংবা উদ্যোগই আলোর মুখ দেখেনি। বরং এ সময়ে দেশের ব্যাংক খাতের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতা আরো তীব্র হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুণ্ঠনও বেড়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে। দেশের রিজার্ভও বাড়তে শুরু করবে। বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রিত হবে। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এসব সূচকের কোনোটিরই উন্নতি হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের ৩১ জুলাই এ রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) দেশের রিজার্ভ রয়েছে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ব্যবহারযোগ্য বা নিট রিজার্ভ রয়েছে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে দায়িত্ব গ্রহণের সময় তথা ২০২২ সালের জুলাইয়ে দেশে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। বর্তমানে প্রতি ডলার ১১৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। যদিও কার্ব মার্কেটে (খুচরা বাজার) ডলারের দর ১২৫ টাকারও বেশি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২২ সালের ৪ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করেছে। এসব ব্যাংকের উন্নতি না ঘটলে একীভূত করা হবে।’
এরপর কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই চলতি বছরের শুরুতে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নেন আব্দুর রউফ তালুকদার। হঠাৎ করেই এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে লুণ্ঠিত পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর বলা হয়, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে লুণ্ঠিত সরকারি বেসিক ব্যাংক একীভূত করা হবে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা আসে ন্যাশনাল ব্যাংকের। কিন্তু এসব ঘোষণার কোনোটিই কার্যকর বলে গণ্য হয়নি। বরং জোর করে একীভূতকরণ আতঙ্কে ব্যাংক খাত থেকে গ্রাহকরা টাকা তুলে নিতে শুরু করে। এতে ব্যাংক খাতে বিরাজমান তারল্য সংকট আরো তীব্র হয়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে গত অর্থবছরের শুরুতে ঋণের ৯ শতাংশের সর্বোচ্চ সুদসীমা তুলে নেয়া হয়। এতে ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, যদিও মূল্যস্ফীতি কমেনি। গত মাসেও (জুন) দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত দুই বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃতফসিলের নীতিমালা ব্যাপক উদার করে দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। আগে পুনঃতফসিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হলেও তিনি এ ক্ষমতা ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেন। এতে ব্যাংকগুলো বাছবিচার ছাড়াই হাজার হাজার কোটি টাকা পুনঃতফসিল করে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের ঋণ খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমেনি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষেও দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চে এসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। আর পুনঃতফসিল, অবলোপন, বেনামি ঋণসহ ঝুঁকিতে রয়েছে এমন ঋণের পরিমাণ এখন ৬-৭ লাখ কোটি টাকা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আব্দুর রউফ তালুকদারের ছিল সীমাহীন অহমিকা। তিনি সব সময় দম্ভ করে কথা বলতেন। কথায় কথায় ব্যাংক নির্বাহীসহ অন্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। কিন্তু তার সব দম্ভ-অহমিকাই ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে। গভর্নর পালিয়েছেন, এমন কথা শুনতেও খারাপ লাগছে।’
আব্দুর রউফ তালুকদারের দুর্বল পারফরম্যান্স নিয়ে ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সংবাদ প্রকাশ করে বণিক বার্তা। ‘ভারতের গভর্নর এ প্লাস, শ্রীলংকার গভর্নর এ মাইনাস; গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার “ডি” গ্রেড পেয়েছেন’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে ‘D’ (ডি) গ্রেড পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সবক’টি সূচকে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিবেশী ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ পেয়েছেন A+ (এ প্লাস) গ্রেড। A- (এ মাইনাস) গ্রেড পেয়েছেন শ্রীলংকাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে। মূল্যস্ফীতিসহ ভয়াবহ সংকটে থাকা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদও ‘সি মাইনাস’ পেয়েছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন। সাময়িকীটির বার্ষিক প্রকাশনা হিসেবে নিয়মিতভাবে প্রকাশ হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’। ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
সামগ্রিক বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত সেলফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
গভর্নরের পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়ে গতকাল সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গভর্নরের পদ সংবেদনশীল। তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, এ বিষয়ে আগামীকালের (রোববার) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন বা দেশের যেকোনো আইন যথেষ্ট আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু তা মানা হয় না। যাদের মানানোর কথা তারা সেটা করেননি। যাদের মানার কথা, তারাও মানেননি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন