কয়েক বছর ধরে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। বিশেষ করে পদ্মাবেষ্টিত জেলাগুলোয় এখন রাসেলস ভাইপারের দংশন মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। পদ্মা ও মেঘনা হয়ে এই সাপ এখন চাঁদপুর, চট্টগ্রামেও পাওয়া যাচ্ছে। দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়।
রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বাড়ায় এর দংশনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে এর অ্যান্টিভেনম না পাওয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হলেও এখনও বিষধর সাপের অ্যান্টিভেনম তৈরি করেনি দেশীয় কোনো ওষুধ প্রতিষ্ঠান। ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ভারত থেকে অ্যান্টিভেনম আমদানি করে দেশে সরবরাহ করে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না।
সাপের দংশনের শিকার চার লক্ষাধিক মানুষ
২০২৩ সালে প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (এনসিডিসি) করা গবেষণায় জানা যায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ তিন হাজার মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি পদ্মার তীরঘেঁষা পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর ডিক্রির চরে রাসেলস ভাইপারের দংশনে মারা যান কৃষক হাফিজুর রহমান সোহেল। ৪২ বছর বয়সি এ ব্যক্তির আত্মীয় হাসান আদিব জাগো নিউজকে জানান, পদ্মার চরের মাঠে সাপে কাটার পর সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কোথাও রাসেলস ভাইপার সাপের অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান।
হাসান আদিব বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, উত্তরাঞ্চলে শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) অ্যান্টিভেনম রয়েছে। কিন্তু কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোরের ফসলের মাঠে রাসেলস ভাইপার সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব জেলা থেকে এ সাপে কামড়ানো রোগী রাজশাহীতে নিতেই আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। চিকিৎসকরা জানান, সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিট অর্থাৎ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যেই ভেনম দিতে হবে। কুষ্টিয়া ও পাবনার হাসপাতালগুলোতে সেই ব্যবস্থাও নেই। অথচ পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ ও মেহেরপুরে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি।’
এ ঘটনার কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিনুর রহমান সাব্বির রাসেলস ভাইপারের দংশনে মারা যান। তার সহপাঠী ও বন্ধুরা জানান, কয়েকজন বন্ধু মিলে পদ্মা পাড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাব্বির। এসময় জিলাপি খেয়ে ফেলে দেওয়া কাগজের প্যাকেট আবার হাত মোছার জন্য নিতে গিয়েই রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।
চলতি বছর এ পর্যন্ত পদ্মার তীরবর্তী রাজশাহী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপারের দংশনে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মাঝে চলতি বছরের মার্চ থেকে মে, গত তিন মাসে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলেই বিষধর রাসেলস ভাইপারের দংশনে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন।
অ্যান্টিভেনম আসে ভারত থেকে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য বলছে, সাপের দংশনে রোগীর চিকিৎসার জন্য স্থানীয় সাপ থেকে অ্যান্টিভেনম তৈরি হলে তা সবচেয়ে কার্যকর হয়। কারণ, একেক দেশের সাপের প্রকৃতি, ধরন একেক রকম। ভারতে যেসব সাপ থেকে ভেনম সংগ্রহ করা হয়, সেগুলোর মাত্র ২০ শতাংশ বাংলাদেশের সাপের সঙ্গে মেলে। অথচ বছরের পর বছর ভারতে তৈরি অ্যান্টিভেনম দিয়েই বাংলাদেশে সাপের দংশনের শিকার রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সাপের ভেনম তৈরির গবেষণা চলছে
সাপের দংশনে মৃত্যু কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দেশে বিচরণ করা সাপের ভেনম তৈরির গবেষণা চলছে।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাপের কামড়ের ওপর আমরা জাতীয়ভাবে জরিপ করেছি। এতে দেখেছি দেশে প্রতিবছর প্রায় সাত হাজার ৫০০ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। আর চার লাখের বেশি আমাদের দেশে সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটে।’
ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ‘আমাদের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য ছিল, বিষধর সাপ সংগ্রহ করা। তারপর তাদের লালন-পালন করা ও বিষ সংগ্রহ করা। বর্তমানে সাপের বিষ সংগ্রহের কাজ চলছে। আমাদের দেশের ১১ জাতের বিষধর সাপের অ্যান্টিভেনম সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে দ্রুত অ্যান্টিভেনম তৈরি সম্ভব নয়। এর প্রক্রিয়া অনেক লম্বা। এখন এ ভেনমের অনেক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলমান। আবার এ ধাপের অনেক পরীক্ষা আমাদের দেশে হয় না। সম্প্রতি ডব্লিউএইচওর সহযোগিতায় কিছু ভেনম স্পেনের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আমাদের ভেনমের স্বভাব চিহ্নিত করতে হবে।’
বাংলাদেশে বিষধর সাপের ধরন
বাংলাদেশে অনেক সাপ দংশন করলেও বিষধর নয় এমন সাপের সংখ্যাই বেশি। দেশে সাধারণ বিষধর সাপ এলাপিড গ্রুপ (এলাপিড হচ্ছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে প্রাপ্ত বিষধর সাপগুলোর একটি পরিবার। এর মূল বিস্তৃতি ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে)। এখন পর্যন্ত এ পরিবারভুক্ত ৬১টি এবং ৩২৫টি প্রজাতির কথা জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে গোখরা। ভাইপারিডি যা ভাইপার বা ভাইপারিডস নামেও পরিচিত। এটি পৃথিবীতে প্রাপ্ত বিষধর সাপগুলোর চারটি পরিবারের একটি। অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, মাদাগাস্কার, হাওয়াই, এবং আর্কটিক মেরুবৃত্তীয় অঞ্চল ব্যতীত বিশ্বজুড়েই এটির বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়। ভাইপারিডি গ্রুপে আছে সবুজ সাপ বা গ্রিন ভাইপার ও আরেকটি রাসেলস ভাইপার। এগুলো আমাদের দেশের বিষধর সাপ।
দ্রুত হচ্ছে রাসেলস ভাইপারের বংশ বৃদ্ধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান জাগো নিউজকে বলেন, দেশে প্রায় ১০৪ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির সাপ বিষধর। সবচেয়ে বিষধর হলো রাসেলস ভাইপার। রাসেলস ভাইপার শুকনো বা ভাটি অঞ্চলে থাকে। তবে এরা পানিতেও সমান ভাবে থাকতে পারে। এরা ডিম না পেড়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়ায় এদের প্রজনন বেশি। অনেক ক্ষেত্রে চরাঞ্চলে কচুরিপানার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকতে পারে।
অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, রাসেলস ভাইপার একসঙ্গে অনেক বাচ্চা জন্ম দেয়। অনেক বছর দেশে রাসেলস ভাইপারের খবর ছিল না। ২০১১-১২ সালের দিকে রাজশাহীর তানোরে রাসেলস ভাইপার দেখা যায়। এরপর রাজশাহীতে সীমাবদ্ধ না থেকে পদ্মা, যমুনা দিয়ে মেঘনা হয়ে চাঁদপুরে যায়। এখন মানিকগঞ্জে অনেক পাওয়া যাচ্ছে। পানির অববাহিকা দিয়ে রাসেলস ভাইপার চলাচল করে। রাসেলস ভাইপার দ্রুত বংশবৃদ্ধি করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েও পড়ছে।
অন্যদিকে, রাসেলস ভাইপারের রং অনেকটা জমির রঙের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় কৃষকরা ঠিকমতো খেয়াল করেন না। কাজ করতে গিয়ে দংশনের শিকার হন।
সাপ দংশনে কী করণীয়?
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের পরামর্শ বলছে, যে কোনো ধরনের সাপ দংশন করলে শান্ত থাকতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। শরীরের যে স্থানে দংশন করেছে সেটি যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করতে হবে। ঘড়ি বা অলংকার পরে থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। কাপড় দিয়ে দংশনের জায়গাটা বাঁধলে ঢিলে করতে হবে, তবে খোলা যাবে না।
যা করা যাবে না
সাপের দংশনের স্থান থেকে চুষে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করা যাবে না। দংশনের স্থান আরও কেটে বা সেখান থেকে রক্তক্ষরণ করে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করা যাবে না। বরফ, তাপ বা কোনো ধরনের রাসায়নিক কামড়ের স্থানে প্রয়োগ করা যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একা রাখা যাবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যা করা প্রয়োজন
গবেষক ফরিদ আহসান জানিয়েছেন, বৃষ্টির সময় বা বর্ষাকালে নিচু এলাকা ডুবে গেলে সেখান থেকে সাপ শুকনো জায়গায় আশ্রয় নেয়। এ সময় সচেতনতা অনেক বেশি প্রয়োজন। কৃষিজমিতে নামার আগে কৃষকদের জিন্সের প্যান্ট পরে নামা উচিত, যাতে সাপের কামড় না লাগে। এছাড়া মাঠে নামার আগে বাঁশ দিয়ে নাড়িয়ে নেওয়া উচিত। তাহলে সাপ থাকলে তারা চলে যাবে। সাপে দংশন করলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে।
দেশে কি পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়?
দেশে যে অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায় তা চার ধরনের সাপের দংশনের পর ব্যবহার হয়। রাসেলস ভাইপারের দংশনে এটি তেমন কাজ করে না। রাসেলস ভাইপারের ভেনম তৈরিতে গবেষণা চললেও এখনো সফলতা আসেনি। দেশের বেসরকারি কোনো ওষুধ কোম্পানিও অ্যান্টিভেনম বানায়নি।
রাসেলস ভাইপারের আক্রমণ ও সাপের দংশনে মৃত্যুর ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় জানতে চাইলে অসংক্রামক ব্যাধি নির্মূল কর্মসূচির (এনসিডিসি) ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুশায়ের চৌধুরী বলেন, ‘সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা এসেন্সিয়াল ড্রাগ লিমিটেডের মাধ্যমে ইনসেপ্টা থেকে ১০ হাজার অ্যান্টিভেনম কিনেছি। এছাড়া ডব্লিউএইচওর সহযোগিতায় ১০ হাজার অ্যান্টিভেনম আমাদের ছিল। ডব্লিউএইচওর ১০ হাজার অ্যান্টিভেনম দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছি। কেনা ১০ হাজারের মধ্যে তিন হাজার দেওয়া হয়েছে। বাকি সাত হাজার চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হবে। বর্ষা শুরু হলে চাহিদা বাড়বে, তখন পাঠিয়ে দেবো।’
অ্যান্টিভেনমের কমতি নেই জানিয়ে নুশায়ের চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলো চাহিদা দিতে দেরি করে। এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিভেনম শেষ হওয়ার আগে কিংবা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করতে হয়। কিন্তু তাদের খামখেয়ালিতে অনেক সময় বিপদ হয়ে যায়।’
নুশায়ের চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে একমাত্র ইনসেপ্টা ভারত থেকে অ্যান্টিভেনম আমদানি করে। আমাদের বাধ্য হয়ে তাদের থেকেই কিনতে হয়।’
এ ব্যাপারে ইনসেপ্টা ফার্মার সিনিয়র ম্যানেজার ফারহানা লাইজু বলেন, ‘সরকার আমাদের থেকে অর্ডার দিয়ে অ্যান্টিভেনম কিনে নেয়। এছাড়া আমরা বেসরকারিভাবেও বিক্রি করি।’
ফারহানা লাইজু বলেন, ‘রাসেলস ভাইপারের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়া দুর্গম এলাকা থেকে রোগীরা আসে। হাসপাতাল ফ্যাসিলিটিতে আসতে তাদের সময় লাগে। এক্ষেত্রে কাছাকাছি যেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থাকে সেখানকার ফার্মাসিতে যদি অ্যান্টিভেনম রাখা হয়, হাসপাতালগুলো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে।’
কবে পাবো রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম?
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, এখনো অ্যান্টিভেনমের সফলতার মুখ না দেখা গেলেও রাসেলস ভাইপারের ভেনম থেকে আমরা অ্যান্টিবডি তৈরি করছি। আমরা প্রথমে রাসেলস ভাইপারের ভেনম নির্দিষ্ট পরিমাণ মুরগিকে দেই। মুরগির ডিমে অ্যান্টিবডিগুলো থাকে। এরপর ডিমের অ্যালবুমিন থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করি। এছাড়া ছাগলের শরীরে ভেনম প্রয়োগ করেও রক্ত সংগ্রহ করে তাদের থেকে অ্যান্টিবডি আলাদা করা হয়েছে। এখন অ্যান্টিবডি পিউরিফিকেশনের কাজ চলছে। এরপর আমরা ইঁদুরের শরীরে সেটা প্রয়োগ করে যাচাই করবো আমাদের দেশে তৈরি অ্যান্টিবডি কতটুকু কার্যকর। আমরা যে ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরির চেষ্টা করছি তা দিয়ে রাসেলস ভাইপারের কামড়ের চিকিৎসা শতভাগ সম্ভব হবে, যেখানে ভারতের অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের পরও রাসেলস ভাইপারে কামড়ানো রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।
এই অ্যান্টিবডি আলাদাকরণ ও পিউরিফিকেশনের ফলাফল দেওয়া এবছরের মধ্যে সম্ভব জানিয়ে ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ‘অ্যান্টিবডি আলাদাকরণের তথ্য নিয়ে আমাদের প্রজেক্ট এ বছর শেষ হবে। এছাড়া সামনে ভালো পরিমাণ ভেনম যদি থাকে, ম্যাপিং করা থাকে এবং ক্যারেক্টার আলাদা করার কাজ হয়ে যায় তাহলে আমরা অ্যান্টিভেনম বানানোর প্রক্রিয়ায় অনেক দূর এগিয়ে যাবো।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন