দখল নয়, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই গ্রামীণ টেলিকমসহ সাত প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। আজ শনিবার বিকেলে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, ‘যাদের হাতে প্রতিষ্ঠানের আইন সৃষ্টি, তারাই একটি আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জবর-দখলের মতো শব্দ ব্যবহার করে নোবেল বিজয়ী এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে। তারা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রেখে আন্তরিকভাবে বিষয়গুলো সমাধান করা আমাদের লক্ষ্য। আজ যারা গ্রামীণ ব্যাংকের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত, তারাও গ্রামের দরিদ্র-ভূমিহীন সদস্যদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ দরিদ্র-ভূমিহীন ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’
এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি নামে সাতটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় সৃষ্টি হয়েছে। আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়নে গ্রামীণ ব্যাংক আইনগত অধিকার রাখে।’ গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক টাকা লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের আইনবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আক্তার বলেন, ‘ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন