রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দোকানে সাজানো রয়েছে থরে থরে সবজি। বেশ কিছুদিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী থাকা সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে এখনো ক্রেতাদের নাগালে আসেনি সবজির দাম। বিগত বছরগুলোতে শীতের সবজিগুলো ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকলেও এবার ৪০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকা ও নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে এখনো টমেটোর দাম বাড়তি। পাকা টমেটো প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণ সবজি দেখা যাচ্ছে। এরপরও ৩০-৪০ টাকার মধ্যে সবজি নেই। অথচ শীতের এই সময়ে সবজি ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। দোকানিরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, দেখে মনে হচ্ছে বাজারে অনেক সবজি, কিন্তু ফুলকপি আর বাঁধাকপি ছাড়া অন্যান্য সবজি কিন্তু তেমন একটা নেই। শীত শুরু হয়ে গেলেও শীতের সবজি পুরোদমে এখনো বাজারে আসেনি। আর কারণেই দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।
বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি, আটা-ময়দা ও ডাল। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, খোলা আটা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা ১৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ময়দার দামও বেড়েছে। প্যাকেটজাত দুই কেজি ময়দা এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। এক মাস আগে দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে চিকন মসুর ডাল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এবং মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমে দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আদা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। দেশী রসুন কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কমে গরুর গোশত প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে গরুর গোশতের কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দুই-আড়াই কেজি ওজনের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আর তিন কেজির বেশি ওজনের হলে দাম হাঁকা হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। মাঝারি ও বড় সাইজের কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন