জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) যাত্রা করে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই। এর উদ্দেশ্য ছিল দেশে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা, পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা করা। যদিও সংস্থাটি এতদিন ব্যবহার হয়েছে শুধু সরকারের হয়ে নাগরিকদের ফোনকল ও ইন্টারনেটে বিভিন্ন যোগাযোগ অ্যাপে আড়িপাতা এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও ইন্টারনেট অপারেটর নিয়ন্ত্রণের কাজে। সংস্থাটির কার্যক্রমও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার অধীনে। দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটিকে নতুন বিধিমালার অধীনে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশে গত ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। টানা পাঁচদিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ১০ দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবা বন্ধ ছিল ১৩ দিন। ১৭ জুলাইয়ের আগে দেশে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা আসত প্রধানত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে। কিন্তু মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুলাই থেকে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনাগুলো মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা এনটিএমসি থেকেই আসতে থাকে।
মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭ জুলাই রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে এনটিএমসি থেকে মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়, ফেসবুক ও ইউটিউব এনটিএমসির কনটেন্ট ব্লকিং ও ফিল্টারিং ডিভাইসের আওতার বাইরে। এ কারণে অ্যাপ দুটিকে দিবাগত রাত ১২টা থেকে বন্ধ করে দিতে হবে। এর ২ ঘণ্টার মাথায় আবারো এনটিএমসি থেকে সব মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা আসে। পরে এনটিএমসির নির্দেশনায়ই দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সচল হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছি, দীর্ঘ ১০ দিনের বেশি সময় সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের সঙ্গে এনটিএমসির সংশ্লিষ্টতা ছিল। সংস্থাটির নির্দেশনায় সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। এর সঙ্গে সদ্য সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা এবং বিটিআরসির সংশ্লিষ্টতাও খুঁজে পেয়েছি। এনটিএমসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্ত হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এনটিএমসি পরিচালিত হয় সরকারের বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার অধীনে। মোবাইল ফোনের ভয়েস ও এসএমএস, ল্যান্ডফোন ভয়েস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আড়ি পাততে পারে এনটিএমসি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো, স্কাইপি ইত্যাদি অ্যাপে আড়ি পাততে পারে এনটিএমসি। অনলাইন যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে ওয়েবসাইট ব্লগ, ই-মেইলে ইত্যাদি মাধ্যমেও শতভাগ আড়িপাতার সক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির।
ভিক্যাল মাউন্টেড ডাটা ইন্টারসেপ্টর, ভিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টরের মতো নজরদারি যন্ত্র ব্যবহার করে এনটিএমসি। সংস্থাটির জন্য ইসরায়েলি সাইবার গোয়েন্দা কোম্পানি এনএসও গ্রুপের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যারও ক্রয় করা হয়েছিল। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়। অ্যাপটি একবার কারো মোবাইল ফোনে ইনস্টল করা হলে তা দিয়ে নজরদারি প্রতিষ্ঠান সেই ফোনের মেসেজ, ফটো বা ই-মেইল হস্তগত করতে পারে। একই সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা রেকর্ডের পাশাপাশি গোপনে মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা চালু করতে পারে। সম্প্রতি এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাদের এ পেগাসাস সফটওয়্যার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একনায়কতান্ত্রিক সরকারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে এবং তারা এটির অপব্যবহার করেছে।
মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে ২৩৬ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ অনুমোদন দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। এনটিএমসিতে ব্যবহৃত নজরদারি সরঞ্জাম পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন নজরদারি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০২১ সালে ভিক্যাল মাউন্টেড মোবাইল ইন্টারসেপ্টর ক্রয়ের জন্য ৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এনটিএমসি ব্যবহৃত আরেকটি আড়িপাতার যন্ত্র স্পিয়ারহেড সিস্টেম। ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে এটি কেনে বাংলাদেশ। প্রায় ১ হাজার কেজি ওজনের এ স্পিয়ারহেড এনটিএমসির কাছে বিক্রি করে সুইস কোম্পানি পেসিটোরা। একই বছর এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নজরদারি করে সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে সরকার। এছাড়া ওয়েব ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম ও সেলুলার ট্রেকিং সিস্টেম নামে আরো দুটি নজরদারি যন্ত্র ব্যবহার করে এনটিএমসি।
এনটিএমসির এসব হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করা হতো নাগরিকদের গতিবিধি। এমনকি তারা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কী ধরনের যোগাযোগ করছেন তা-ও পর্যবেক্ষণ করা হতো। এনটিএমসিতে সংরক্ষিত যন্ত্রের মাধ্যমে একটি ফোন নাম্বার দিয়ে ওই নাম্বারে আসা-যাওয়া সব ফোনকলের রেকর্ড করা হতো। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হতো।
সম্প্রতি সরকারের ‘অতি সংবেদনশীল সার্ভার’ থেকে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে অপরাধী চক্রের কাছে বিক্রি করে দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এনটিএমসির সার্ভারে প্রবেশ করে সংবেদনশীল তথ্য যোগাযোগের অনলাইন প্লাটফর্ম টেলিগ্রাম চ্যানেলভিত্তিক একটি গ্যাংয়ের কাছে বিক্রি করেন তারা। এনটিএমসি সূত্রে জানা গেছে, নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও এনটিএমসির কাছে সংরক্ষিত থাকে। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রয়োজনে এসব তথ্য ব্যবহার করা হতো।
শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ফাঁস হওয়া কিছু গোপনীয় প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ডিআইজি হারুন-অর-রশিদ, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের দোকানদার অরুণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দৈনিক কল মনিটরিং প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যেকোনো সভ্য দেশে ফোনে আড়িপাতাকে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এ মানবাধিকারকে আইনের মাধ্যমে লঙ্ঘন করা হয়েছে। ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩-এর মাধ্যমে আড়িপাতাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটে আড়িপাতা ব্যবস্থা কিছু অগণতান্ত্রিক দেশে রয়েছে। এনটিএমসি তা করে আইনগত বৈধতা নিয়ে। ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন জাতিসংঘের ইউএন হিউম্যান চার্টার্ডের সরাসরি লঙ্ঘন। আমি নিজেও এর বিপক্ষে। ইন্টারনেটে আড়িপাতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয় থাকলে সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু এখানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার চেয়ে গড়পড়তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যার তার মোবাইলে আড়িপাতা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোয় কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তখন কোর্টের ডকুমেন্ট নিয়ে, অনুমোদন নিয়ে আড়ি পাততে হয়। আমরা চাইলেই র্যান্ডমলি তা করত পারব না। কিন্তু আমাদের এখানে তার ব্যতিক্রম। এখানে আড়িপাতার সুযোগ থাকলেও তা হওয়া উচিত ছিল আইনগত ও বৈধভাবে। কিন্তু তা না হয়ে অবৈধভাবে আড়িপাতাকে আইনি বৈধতা দেয়া হয়।
এনটিএমসি হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন একটি অধিদপ্তর। ২০০৮ সালে সরকারি উদ্যোগ ও বেসরকারি অর্থায়নে একটি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে ছোট পরিসরে ‘জাতীয় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ বা ‘ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার’ (এনএমসি) নামে সংস্থাটি যাত্রা করে। ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি এর নাম পরিবর্তন করে ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)’ বা জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রাখা হয়। স্বতন্ত্র হিসেবে কার্যক্রম শুরুর পর ২০১৪ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংস্থাটির জন্য পদ সৃষ্টি করলে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ৪৪ জন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। ওই বছর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান এনটিএমসির প্রথম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ৬ মার্চ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান এনটিএমসির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৬ আগস্ট এনটিএমসি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় জিয়াউল আহসানকে। পরের দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন তিনি। ৬ আগস্ট সংস্থাটির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এতদিন পর্যন্ত এনটিএমসি কর্তৃত্ববাদী সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এর মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের মতো কাজ করত তারা। সেনাবাহিনীর সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এটার দায়িত্বে ছিলেন। আমি যতটুকু জানি এখনো এটা দিয়ে কিছু লোক আড়ি পাতছেন। আমি একটা ডকুমেন্ট দেখলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিদিন আড়িপাতার প্রতিবেদন জমা দেয়া হতো। এটা মানবাধিকারের পূর্ণ লঙ্ঘন। এখন সময় এসেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ হাতিয়ার বন্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগে খতিয়ে দেখতে হবে, আড়িপাতা ছাড়া সংস্থাটির আর কোনো কাজ রয়েছে কিনা। যদি থাকে তাহলে এটাকে এখন সিভিলিয়ান কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে খতিয়ে দেখতে হবে, আড়িপাতা ছাড়া এনটিএমসি রাষ্ট্রীয় কোনো প্রয়োজনে ব্যবহার হয় কিনা। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ব্যবহার হলে তা অবশ্যই বেসামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়ে আসতে হবে। এটিকে কোনোভাবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রাখা যাবে না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন