জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান থেকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে ২ হাজার ৭৫৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছেন বাংলাদেশের রফতানিকারকরা। ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা অর্থপ্রবাহের পরিসংখ্যান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, পণ্য রফতানি বাবদ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে অর্থপ্রাপ্তি হয়েছে ১ হাজার ৮৯৬ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঘোষিত রফতানি ও অর্থপ্রাপ্তির পার্থক্য প্রায় ৮৫৮ কোটি ডলার বা ৩১ শতাংশের কিছু বেশি।
রফতানিকারকরা বলছেন, সরকারি সংস্থাগুলোর তথ্য সংকলন ব্যবস্থার ত্রুটিতে ফোলানো-ফাঁপানো রফতানি পরিসংখ্যান প্রকাশ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসংশ্লিষ্টদের কাছে রফতানিকারকের দেয়া প্রকৃত তথ্য থাকলেও ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) হিসাব করতে গিয়ে তারা বিবেচনায় নিচ্ছেন ইপিবি প্রকাশিত তথ্য। এতে রফতানি ও এর বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির তথ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিচ্ছে। রফতানিকারকদের দাবি, হিসাব সংকলন ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে অর্থ পাচারের সন্দেহ ও অভিযোগের শিকার হচ্ছেন তারা। এছাড়া এ ত্রুটি জাতীয় আর্থিক হিসাবের তথ্য নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বড় অংকের ঘাটতি দেখা গেছে। এ ঘাটতি চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) আরো স্ফীত হয়েছে। এতে বড় ভূমিকা রাখছে ট্রেড ক্রেডিটের নিট ঘাটতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত রফতানির বড় অংকের অর্থ অপ্রত্যাবাসিত থেকে যাওয়ার কারণেই ট্রেড ক্রেডিটের ঘাটতি বাড়ছে, যা প্রকারান্তরে আর্থিক হিসাবের ঘাটতিকেও বাড়িয়ে তুলছে। জুলাই-মার্চ সময়ে নিট ট্রেড ঘাটতির পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
রফতানির অর্থ অপ্রত্যাবাসিত থেকে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ইপিবি বলছে, তারা এনবিআর তথা কাস্টমস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান তৈরি করছে। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম সাত মাস (জুলাই-জানুয়ারি) শেষে দেখা গেল, এ দুই সংস্থার তথ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ইএক্সপির (রফতানির ঘোষণা) তথ্য আছে, সেটাকে বিবেচনায় না নিয়ে ইপিবির তথ্যকে ভিত্তি ধরলে রফতানির তথ্যে বড় পার্থক্য থেকে যাচ্ছে। এতে করে মানুষ ভাবছে আমরা রফতানি করে টাকা ফেরত আনছি না। অনেকে ভাবছে আমরা রফতানিকারকরা অর্থ পাচার করছি। বিওপির হিসাবায়নে যদি ইপিবির পরিসংখ্যান বিবেচনায় নেয়া হয় তাহলে বড় পার্থক্য থাকারই কথা। কারণ ইপিবির পরিসংখ্যান ফোলানো-ফাঁপানো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইএক্সপিতে ঘোষিত পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে প্রকৃত রফতানি তথ্য জানা সম্ভব, সেটাই করা উচিত। ইপিবির রফতানি পরিসংখ্যান প্রকৃত রফতানির তথ্য হতে পারে না। কারণ ইপিবির তথ্য ইনফ্লেটেড। ইপিবি, কাস্টমস ও বাংলাদেশ ব্যাংক পরিসংখ্যান সংগতিপূর্ণ করতে কাজ করছে। আমাদের দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকে ইএক্সপির মাধ্যমে ঘোষিত রফতানি পরিসংখ্যানকেই আমলে নিতে হবে। তা না হলে একটি খাতকে ভিলেন বানানো হবে। এখনই সে রকমটা বলা হচ্ছে।’
পোশাক রফতানিকারকদের ভাষ্য হলো নানা কারণে অর্থ প্রত্যাবাসন না হতে পারে। যেমন কোনো কোনো ক্ষেত্রে শর্তই হলো অর্থ পরিশোধ হবে ছয় মাস পর। কোনো অর্থ যদি নির্ধারিত সময়ে না আসে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময় শেষে রফতানিকারক বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশ বোর্ডে রেড মার্কড হয়ে যাবেন। পরদিন থেকে কোনো ব্যাংকই ওই রফতানিকারকের কার্যক্রমে হাত দেবে না।
এ পরিস্থিতিতে কেউ যদি অর্থ প্রত্যাবাসন না করে থাকে, তাহলে সেই রফতানিকারকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে কীভাবে বলে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
চট্টগ্রামভিত্তিক ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও সৈয়দ নুরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির পর ৩১ শতাংশের বেশি অর্থ আসে না, এটা কী করে সম্ভব? এত বড় পরিমাণের অর্থ অপ্রত্যাবাসিত থাকতে পারে? যখন বলা হলো রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, তখনই বলেছিলাম এ তথ্য ফোলানো-ফাঁপানো। এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বড় রফতানিকারকরা সবাই বলে কাজ নেই, তাহলে রফতানিটা করছে কারা? এটা একটা বড় প্রশ্ন। আমার ধারণা সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রফতানির পরিসংখ্যান রফতানির হিসাব ব্যবস্থায় ডাবল এন্ট্রি হচ্ছে। ২৭ বিলিয়ন ডলারের রফতানির মধ্যে যদি সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অপ্রত্যাবাসিত থেকে যায়, তা অবিশ্বাস্য। এটা সঠিক হলে যারা আমরা রফতানি করছি, তারা সবাই ডাকাত। কিন্তু তাহলে আমি শিল্প সচল রাখছি কীভাবে? শ্রমিকের বেতন, গ্যাসের বিল দিচ্ছি কীভাবে? আমার কাছে মনে হয় যে তথ্য-উপাত্ত দেয়া হচ্ছে সেটা ভুল, আর এর ওপর ভিত্তি করে নীতিনির্ধারকরা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রসিড রিয়েলাইজ বা রফতানির অর্থ প্রত্যাবাসনে জটিলতা থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন বিভাগে আবেদনের মাধ্যমে সময় বাড়ানোর বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই বিভাগে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের অর্থ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যেতে পারে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিসকাউন্ট কমিটি ৯ বিলিয়ন ডলারের রফতানির অর্থ অপ্রত্যাবাসিত রাখার অনুমোদন দিয়েছে কিনা সেটিও জানা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে অপ্রত্যাবাসিত অর্থের হিসাব অবশ্যই থাকবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২-৩ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য থাকতে পারে। বারবার বলা হচ্ছে ইপিজেড থেকে রফতানি কাঁচামাল সরবরাহ করা হলে সেটিকে রফতানি হিসেবেই দেখানো হচ্ছে। আবার ইপিজেডের ওই পণ্য ব্যবহার করে উৎপাদিত চূড়ান্ত পণ্যও রফতানির সময় পুরোটাই রফতানি হিসাবায়িত হচ্ছে। এভাবে রফতানি তথ্যে ইপিজেড থেকে সরবরাহকৃত কাঁচামাল বা পণ্য অন্তত দুইবার এন্ট্রি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রকাশিত রফতানি তথ্যের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এখন আগের মতোই তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। যে কোনো কথা বলতে গেলে সঠিক তথ্য-উপাত্ত নিয়েই কথা বলা উচিত। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। যে তথ্য দেয়া হয় সেটা যে একতরফা তথ্য, সেটা বিভিন্ন সময়ে প্রমাণিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য সংকলন করলে সেটা সঠিক হয়। আগেও আমরা দেখেছি যে আমাদের তথ্যের সঙ্গে প্রকাশিত তথ্যের মিল হয়নি। রফতানির মাধ্যমে নিজ ও দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পর এ রকম গরমিল পরিসংখ্যান প্রকাশ করা রফতানিকারক এবং তার প্রতিষ্ঠানের জন্য অবমাননাকর ও অসম্মানজনক। এভাবে রফতানিকারকদের বিব্রত করা কোনোভাবেই সঠিক না। আমি মনে করে সংশ্লিষ্ট সবার তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর সমন্বিত পরিসংখ্যান সংকলন করে প্রকৃত রফতানি তথ্য প্রকাশ করা উচিত।’
ইপিবির ২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির হিসাব সঠিক নয় বলে মনে করছেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত অর্থবছরের প্রথমার্ধে ২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে বলে আমি মনে করি না। এটা ভুল হিসাব। আমাদের ২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়নি। এনবিআর বা ইপিবি যে হিসাব দেয়, সেটা ভুল। বেশি দেখানো হচ্ছে। ইপিবি ও এনবিআরের হিসাব সংকলন ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। এ ত্রুটি সংশোধন না করলে রফতানি বেশি প্রদর্শিত হবে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল থাকবে না। এ ত্রুটি রয়ে যাওয়ার কারণে সরকার ও জাতির কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে যে রফতানি ও প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। আমাদের রফতানি কমে যাওয়ার দাবি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমরা ইপিবি ও এনবিআরকে পরিসংখ্যান সংকলন ব্যবস্থা ঠিক করতে বলেছি। আর কোন রফতানিকারকের অর্থ পরিশোধ হয়নি সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক জানে। তারা বিকেএমইএ ও বিজেএমইএকে সেই তথ্য দিলে আমরাও চেক করতে পারি।’
রফতানি পরিসংখ্যান নিয়ে এ বিভ্রান্তি নিরসন করে অনতিবিলম্বে সমন্বিতভাবে সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশে উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বৈদেশিক বাণিজ্যের পর্যবেক্ষকরা। তাদের ভাষ্যমতে, অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রফতানির তথ্য নিয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তি নানা ধরনের জটিলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিষয়টি এরই মধ্যে জাতীয় অর্থনীতির লক্ষ্য নির্ধারণ, নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। পরিসংখ্যানের এ বড় ফারাক কোনোভাবেই কাম্য নয়। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তথ্যের উৎস এক বলে দাবি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের গোটা বাণিজ্য পরিসংখ্যান নিয়েই বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পণ্য রফতানি করে অর্থ না আনার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থপ্রবাহ নজরদারির যে পদ্ধতি সেটা ব্যবহার করে রফতানির অর্থ কোন প্রতিষ্ঠানের আসছে না সেটা শনাক্ত করা খুব সহজ। আর অর্থ না এলে রফতানিকারকের রফতানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখাও সম্ভব না। কাজেই রফতানি করে অর্থ না আনার ধারণাটি ভুল। অর্থ পরিশোধের সময়সীমা বিবেচনায় পার্থক্য থাকতে পারে। কারণ ক্রেতাভেদে শর্ত অনুযায়ী অর্থ পরিশোধের সময় বেশি লাগতেই পারে। ক্রেতা দেউলিয়া হলেও অনেক সময় অর্থ পরিশোধ হয় না। এ রকম নানা কারণ আছে রফতানি তথ্যের পার্থক্যের। বাস্তবতা হলো রফতানিকারক টাকা না আনলে তার নিজেরই ক্ষতি। ইপিবির পরিসংখ্যান নিয়ে মন্তব্য করতে পারব না বা সেটা ভুল হলেও বলতে পারছিনা, কারণ আমার কাছে কোনো ব্যবস্থা নেই যেটা ব্যবহার করে প্রকৃত রফতানির তথ্য বলব।’
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরেও ইপিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকেরও রফতানি পরিসংখ্যানের ব্যবধান রেকর্ড ১২ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছিল। সে সময় দুই সংস্থার পরিসংখ্যান সংকলন ও রক্ষণাবেক্ষণের ভিন্নতাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। রফতানি পরিসংখ্যানের এ গরমিল দূর করতে বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের কয়েকটি বিভাগ ও সংস্থা একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সম্প্রতি এ কমিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকেও গত মাসেই এ-সংক্রান্ত একটি কমিটি করা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির কর্মকর্তাদেরও রাখা হয়েছে। গত ৩১ মার্চের মধ্যে এ কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। ঈদের আগে ৮ এপ্রিল এ কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রফতানি তথ্যের পার্থক্যের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যৌক্তিক কারণ রয়েছে। ডিসকাউন্ট, কমিশন, ইপিজেড থেকে রফতানির ডাবল কাউন্টিংসহ একাধিক কারণ রয়েছে পার্থক্যের। কাজেই ৯ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য থাকলেই যদি বলা হয় রফতানিকারক অর্থ পাচার করছেন সেটা ঠিক নয়। এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করে। আর প্রকৃত রফতানি তথ্য নিশ্চিতে বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তারা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত চিত্র তুলে আনলেই পার্থক্যের যথার্থ কারণ বেরিয়ে আসবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন