বাংলাদেশ-মিয়ানমার বেশির ভাগ সীমান্ত এলাকায় ভেতরে গোলাগুলি কমেছে। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো রয়েছে সতর্ক। সীমান্তে পাতা নড়লেই গুলি ছুটে আসছে। এদিকে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র বাতিল করে অন্য জায়গায় সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
এছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে সোমবারও তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এই অবস্থায় স্থানীয়দের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো না। গুলি-গোলা দুটোই ছুটে আসছে এপারে। প্রাণহানিও ঘটেছে।
মাইকিংয়ে স্থানীয়দের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে সোমবার সকালে তোতার দ্বীপে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফেও জেলেদের নাফ নদীতে মাছ ধরতে না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শামসু নামে টেকনাফের এক জেলে জানায়, নদীতে মাছ ধরা তো দূরের কথা, ঘরে থাকাই দায় হয়ে যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে ধারদেনা করে চলছি।
এদিকে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র অন্য জায়গায় সরানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রটি পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন।
তিনি জানান, উত্তর ঘুমধুমের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। নতুন ঘোষিত পরীক্ষা কেন্দ্র দুটি হল ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমানও সোমবার দুপুরে কেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন