অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জেমস এলডার গাজায় হাসপাতালের পরিস্থিতি দেখে এসে আল-জাজিরাকে বলেন, ‘শিশুদের হত্যা করে শান্তি আসবে, এমনটা মনে করা খুব বেশি অযৌক্তিক।’
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। হামাসের পক্ষ থেকেও প্রথম এমন আভাস মিলে। ২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়।
এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। গাজায় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ইউনিসেফ মুখপাত্র বলেন, হাসপাতালগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্র হতে দেখেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যেদিকেই তাকাই, দেখি কোনো শিশু কাতরাচ্ছে। কোথাও লাশ। কারও হাত নেই, কারও পা নেই। এই শিশুরাই ছয়-সাত সপ্তাহ আগে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল।’
এলডার গাজায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, তারা অত্যন্ত সাহসী। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিশুদের বাঁচানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
ইউনিসেফ মুখপাত্র বলেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ ভালো খবর। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘এটা তখনই যথেষ্ট হবে যখন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। গাজা ধ্বংস করে, শিশুদের হত্যা করে শান্তি আসতে পারে না। এটা খুবই অযৌক্তিক।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন