|
ইকতেদার আহমেদ
|
|
রাজনীতির নামে অপরাজনীতি নয়
19 September 2023, Tuesday
রাজনীতি বলতে অতীতে রাজা কর্তৃক অনুসৃত নীতিকে বুঝাত। বিগত শতকের মধ্যভাগ পরবর্তী পৃথিবীর সর্বত্র রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসানের সূচনার সূত্রপাত ঘটতে থাকলে রাজনীতির সংজ্ঞায় পরিবর্তন দেখা দেয়। রাজনীতির সাথে প্রজা বা দেশের সাধারণ জনমানুষের মঙ্গল ও কল্যাণ নিহিত থাকায় দেশ, সমাজ ও সামগ্রিকভাবে জনমানুষের উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতির কলাকৌশল নির্ধারিত হয়। রাষ্ট্র ও সমাজ সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যা সাধারণত রাজনৈতিক কর্মপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধা করা হয়। এ কারণেই রাজনীতিকে বলা হয় এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছুসংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটাধিকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে।
আমাদের এ দেশ ও উপমহাদেশ উপনিবেশিক ব্রিটিশদের শাসনাধীন থাকাবস্থায় দেখা যেত, বিত্তবান পরিবারের সন্তানরা দেশপ্রেমের মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ত্যাগ, জনসেবা, দেশের মঙ্গল ও উন্নয়নের মনোভাব নিয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ করতেন। এরূপ বিত্তবানদের সন্তানদের অনেককেই দেখা গেছে জীবন সায়াহ্নে এসে বিত্তহীন হয়ে জনসাধারণের ভালোবাসার পুঁজিকে সম্বল করে এ ধরাধাম থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় দেখা যায়, বিগত তিন দশক ধরে রাজনীতির মাঠে নেতা হিসেবে এমন অনেক বিত্তহীনের আগমন ঘটেছে যারা রাজনৈতিক ক্ষমতাকে পুঁজি করে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ফুলেফেঁপে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এরা অবৈধভাবে আকস্মিক প্রাপ্ত ক্ষমতা ও অর্থের দম্ভে বেসামাল হয়ে অনৈতিকতার শীর্ষে পৌঁছে মদ, জুয়া ও নারীসম্ভোগসহ এহেন অপকর্ম নেই যার সাথে লিপ্ত নয়। এদের কারণেই আজ রাজনীতি হয়ে উঠেছে অপরাজনীতি। এদের বিচরণ মূল রাজনৈতিক দলসহ দলের প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের মধ্যে পরাক্রমশালী হিসেবে দেদীপ্যমান।
আমাদের দেশে ২০০৮ সাল-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের সাথে নিবন্ধন ব্যতিরেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্য পরিচালনার সুযোগ বারিত করা হয়। বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশনের সাথে নিবন্ধিত হতে হলে অপরাপর শর্ত ছাড়াও তিনটি প্রধান শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করতে হয়। এ প্রধান শর্তগুলো হলো- ক. বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সৃষ্টি হওয়ার পর অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনে দলটি অন্যূন নিজ দলীয় নির্বাচনী প্রতীকে একটি আসনে বিজয়ী হয়েছে অথবা খ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সৃষ্টি হওয়ার পর অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনে দলটি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়ে প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ লাভে সমর্থ হয়েছে অথবা গ. দলটির কার্যকরী কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অন্যূন ১০টি জেলায় প্রশাসনিক জেলা কার্যালয় এবং ৫০টি উপজেলা অথবা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় রয়েছে। রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে পারেন; তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হলে তাকে রিটার্নিং অফিসারের বরাবর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকা দাখিল করতে হয়, যদিও এরূপ প্রার্থী অতীতে কোনো সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে স্বাক্ষরের তালিকা দাখিলের আবশ্যকতা নেই। এরূপ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে সহায়ক ও সহযোগী হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র অথবা শিক্ষক সমন্বয়ে অথবা আর্থিক বা বাণিজ্যিক অথবা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সমন্বয়ে অথবা অন্য কোনো পেশার সদস্য সমন্বয়ে কোনো অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠা বারিত সংক্রান্ত সুস্পষ্ট বিধানের উল্লেখের কথা থাকলেও দেখা যায় ২০০৮ সাল-পরবর্তী যে দলটি রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছে এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে প্রতিভাত যে, এগুলো দলটির অঙ্গসংগঠন নয় এরূপ ধারণার অবকাশ ক্ষীণ।
আমাদের মূল দণ্ড আইন দণ্ডবিধি-১৮৬০-এর ধারা ১৫৩-খ রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণের জন্য ছাত্র প্রভৃতিকে প্ররোচনা দান-বিষয়ক। এ ধারাটিতে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি যদি উচ্চারিত বা লিখিত কোনো কথা দ্বারা কিংবা কোনো দৃশ্যমান প্রতীক দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে কোনো ছাত্রকে বা ছাত্রগোষ্ঠীকে কিংবা ছাত্রদের সাথে সম্পর্কযুক্ত বা ছাত্রদের ব্যাপারে আগ্রহান্বিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোনোরূপ রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে প্ররোচনা দান করে, সে ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
পৃথিবীর উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনের কার্যকলাপ অধ্যয়ন ও শিক্ষাদানের বাইরে ছাত্র ও শিক্ষক কল্যাণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি চর্চা, গবেষণা প্রভৃতির মধ্যে নিহিত। এদের কখনো জাতীয়ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সহযোগী বা সহায়ক অঙ্গসংঠন হিসেবে লেজুড়বৃত্তি করতে দেখা যায় না। এরা আপন পরিমণ্ডলে স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে সদাসর্বদা সচেষ্ট।
আমাদের দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও ছাত্ররা অনেকটা ক্ষমতাসীন বা বিরোধী দলের রাজনৈতিক বলয়ের প্রভাবমুক্ত হওয়ার কারণে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগে যেকোনো ধরনের অন্যায় কাজ এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃশ্যত অনুপস্থিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকসংগঠন ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক মতাদর্শে এমনভাবে প্রভাবিত যে, এদের মধ্যে এক দিকে মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তার যেমন লেশমাত্র নেই অনুরূপ পরমতের প্রতি এদের চরম জিঘাংসা।
আমাদের রাজধানী শহরস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একদা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ছিল। সে সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-শিক্ষকদের মান তুলনামূলক বিচারে পৃথিবীর স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিযোগীর পর্যায়ে হলেও বর্তমানে এ মান এত ক্রম নিম্নমুখী যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনার কোনো ধরনের অবকাশই নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিসহ আমাদের অপরাপর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত দুই দশকের অধিক সময় ধরে শিক্ষার্থী হিসেবে যাদের আগমন ঘটছে শিক্ষার সহায়ক পরিবেশের অনুপস্থিতিতে শিক্ষাজীবনের পরিসমাপ্তিতে এদের অনেকের শিক্ষা সনদে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের পরিধির দৈনতা সুবিদিত। এ সময়কালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য, প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের রাজনৈতিক মতাদর্শ মুখ্য বিবেচিত হওয়ায় মেধা, যোগ্যতা, সততা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা প্রভৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে উৎকৃষ্টদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এরা সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির আবর্তে এমনভাবে আবিষ্ট যে, শিক্ষকদের মূল পেশা শিক্ষাদান ও গবেষণার পরিবর্তে এরা অবৈধ উপায়ে অর্থ রোজগারের উদগ্র নেশায় মত্ত।
বর্তমানে আমাদের দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের একক আধিপত্য ও কর্তৃত্ব বিরাজমান। এ ছাত্র সংগঠনটি দীর্ঘ দিন ধরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ব্যাহত করে চলেছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনটির প্রতি সাধারণ ছাত্রদের সমর্থন না থাকায় এ সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতারা তাদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে সাধারণ ছাত্রদের বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে। কোনো সাধারণ ছাত্র তাদের নির্দেশ অমান্য করে তাদের দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করলে তার ওপর নির্মম ও অমানসিক নির্যাতন নেমে আসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একজন সাধারণ ছাত্র আবাসিক ছাত্র হিসেবে ছাত্রাবাসে আসন (সিট) লাভ করতে চাইলে তাকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের শরণাপন্ন হতে হয়। আসন বা সিট বণ্টন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল কর্তৃপক্ষের যে নিয়ম বা নীতিমালা রয়েছে তা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাদের দোর্দণ্ড প্রতাপের কাছে অকার্যকর। এ কারণেই এদের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া একজন সাধারণ ছাত্রের পক্ষে ছাত্রবাসে আসন লাভ বাস্তব অর্থেই দুরূহ। আর তাই এমন সাধারণ ছাত্র যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ব্যতীত অন্যত্র আবাসনের সুযোগ নেই তারা ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হওয়া সত্ত্বেও দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য হয়। বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা এসব ছাত্রনেতার ক্ষমতার দাপটে কার্যত অসহায়।
আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল অথবা পুলিশ প্রশাসন চাইলে যেকোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটাতে পারে। কিন্তু এ ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের বৈধ রাজনৈতিক পন্থায় নির্বাচিত হওয়া অত্যাবশ্যক। এর অনুপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবহার করে সংবিধান ও আইনের অবমাননায় একতরফা নির্বাচন বা মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দল পুনঃক্ষমতাসীন হলে যাদের সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতাসীন হন তাদের ছাড় দিয়ে চলতে হয়। এরূপ ছাড় দিতে গেলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর আদেশের শৃঙ্খল শিথিল হয়ে পড়ে।
স্পষ্টত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সন্নিবেশিত রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন কমিশনের সাথে নিবন্ধন-বিষয়ক বিধান এরূপ রাজনৈতিক দলের সহায়ক বা সহযোগী হিসেবে কোনো অঙ্গসংগঠনের অস্তিত্ব অনুমোদন করে না। কিন্তু এ কথাটি অনস্বীকার্য, ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন সহায়ক বা সহযোগী হিসেবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
প্রণিধানযোগ্য যে, আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্ষায় এবং প্ররোচনা দানকারী ছাত্রসংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে দণ্ডবিধির উল্লিখিত ধারাটির প্রয়োগে উদ্যোগী হননি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় বিভিন্ন নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের টেন্ডার; বাসটার্মিনাল, লঞ্চঘাট, বাজার প্রভৃতির ইজারা; পরিবহন খাতের চাঁদাবাজি; মদ, জুয়া, মাদক প্রভৃতির নামে ক্যাসিনোর ব্যবসায়; নিয়োগবাণিজ্য, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ এ হেন অপকর্ম নেই যার সাথে জড়িত নয়। এসব কাজে সম্পৃক্ত হয়ে এরা একেকজন দেশ ও বিদেশে অঢেল সম্পদ আহরণ করছে। মূল রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রাজনীতির নামে এরা যা করে চলেছে তা অপরাজনীতি বৈ আর কিছু নয়। এ ধরনের অপরাজনীতি চলতে থাকলে দেশের কোথাও নিয়মশৃঙ্খলা বলে কোনো কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। আর নিয়মশৃঙ্খলা না থাকলে যে বিপর্যয় অনিবার্য তা রোধ করার শক্তি রাজনৈতিক নেতাদের আছে কী?
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন