নতুন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
11 August 2024, Sunday
[প্রথম পর্ব]
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের এক ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ১৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। পরিষদে আরো কয়েকজন অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বিশেষত বেসামরিক প্রশাসন বা পুলিশ ক্যাডারের পটভূমির কোনো সাবেক কর্মকর্তা উপদেষ্টা পরিষদে নেই। গণমাধ্যমের কোনো ব্যক্তিত্বও স্থান পাননি। অথচ এই তিনটি খাত রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এটি হতে পারে বলেই হয়তো প্রধান উপদেষ্টা ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজের হাতে রেখেছেন যাতে নতুন উপদেষ্টাদের হাতে এসব মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলোর দায়িত্ব দিতে পারেন। অবশ্য প্রকাশ্যে যারা থাকেন তাদের বাইরে ছোট একটি উপদেষ্টা পরিষদ আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে থাকতে পারে যাদের পরামর্শ নিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কর্মকর্তা এজেন্সি প্রধান এমনকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। থাকতে পারেন যারা প্রকাশ্যে না থেকে অন্তরালে থেকেই ভূমিকা রাখতে চান তারাও।
নিরাপত্তাই প্রথম চ্যালেঞ্জ
যেকোনো বিপ্লবের পর অস্থির একটা সময় পার হয়। এবার স্বৈরাচারের বিদায়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত সেটিই হয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আশা করা যায় দ্রুত শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে আসবে। সরকার পরিবর্তনে এবারের বিষয়টি নানা কারণে ব্যতিক্রম। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এমন এক সরকার ক্ষমতায় ছিল যারা তিনটি নির্বাচন করেছে দেশের মানুষের ভোটাধিকার সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ এতে অংশ নিয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়। এ ধরনের অপ্রতিনিধিত্বশীল একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় গিয়ে শাসন টিকিয়ে রাখতে পুলিশি ক্ষমতার ওপর বাড়াবাড়ি ধরনের নির্ভরশীল করে ফেলা হয় প্রশাসনকে।
যারা রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা বিধান করবে তাদেরকে জনগণের ক্ষোভ বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হয় পুরো সময় ধরে। সাধারণভাবে বাংলাদেশের মতো দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানা পুলিশের একটি অবকাঠামো থাকে। এর পাশাপাশি দাঙ্গা দমনের জন্য থাকে আলাদা পুলিশ বাহিনী। থানা পুলিশের সাথে সামজিক শক্তিগুলোর এক ধরনের সংযোগ সম্পর্ক থাকে, দাঙ্গা পুলিশের সাথে যেটি থাকে না।
পতন হওয়া সরকার পুলিশের এই দুই উপ-কাঠামোকে এক করে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। তাদের নির্বাচন কারসাজির কাজে যেমন ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনই মামলাবাজি গ্রেফতার হয়রানি চাঁদা আদায়ে শাসক দলের সাথে নেটওয়ার্কিং অনেক ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে এবার ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণের ক্ষোভ মাত্রা ছাড়িয়ে ক্ষেত্রবিশেষে থানা আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের পর্যায়ে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য আরো ভূমিকা রেখেছে দলীয় ক্যাডারদের নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োগ। এবারের গণবিস্ফোরণে সারা দেশে সব স্থানে জনগণ বা ছাত্রদের ওপর গুলি করার ঘটনা ঘটেনি। যেসব স্থানে দলীয় ক্যাডার দায়িত্ব পেয়েছে সেখানেই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজধানীর ১১টি থানায় ওসি পরিবর্তন করে এ ধরনের ক্যাডারদের দায়িত্ব দানের খবর বেরিয়েছে। আর দেখা যায় যাত্রাবাড়ীসহ যেসব থানা এলাকায় বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটেছে সেখানেই আগুন দেয়ার মতো নির্মম ঘটনাও বেশি ঘটে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর পুলিশ সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা তখনকার সরকার না করায় রাজধানীর অধিকাংশ থানা থেকে সরে যায়।
অরক্ষিত হয়ে পড়ে থানাগুলো। আর এই সুবাদে এক ধরনের অপরাধীচক্র ইচ্ছামতো লুটপাট ও ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। এই পরিস্থিতি একদিকে পুলিশের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে, অন্য দিকে থানার লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র অপরাধীদের হাতে চলে যায়। এর বাইরে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী অস্বীকৃতি জানানোয় শাসক দলের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে একদিন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালায় হাসিনার সরকার। এ সময় শাসক দলের ক্যাডারদের হাতে বিপুল অবৈধ অস্ত্র দেয়ার খবর বের হয়। এই একদিনে সারা দেশে ক্যাডার বাহিনীর আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে শতাধিক নিহত হওয়ার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো কয়েকগুণ বেশি হবে।
উল্লিখিত দুইভাবে অপরাধী চক্রের হাতে অবৈধ অস্ত্র যাওয়ার কারণে সরকারহীন কয়েক দিনে ডাকাতি লুটপাট ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়। সরকার গঠনের পর পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থা এখনো ফেরেনি। ছাত্ররা সারা দেশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা রাখার প্রশংসনীয় কাজ করছে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুততম সময়ে রাজধানীসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বে ফেরাতে হবে। তাদের মধ্যে ভীতি ও অনাস্থা দূর করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত থানা অবকাঠামোর দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে। অবকাঠামোর ধ্বংসযজ্ঞে বসে পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের প্রত্যাশা করা সঙ্গত মনে হয় না। এর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়া অবৈধ অস্ত্র দ্রুততম সময়ে পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপও নিতে হবে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় অনেক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। আর এসব ক্ষেত্রে জনগণই সেনাবাহিনীকে তথ্য দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় হলে আশা করা যায় অবৈধ অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
স্বল্পমেয়াদি জরুরি ব্যবস্থার পাশাপাশি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু পদক্ষেপও নিতে হবে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এ ধারণায় বিশেষভাবে চিড় ধরে গত দেড় দশকে তাদের নিপীড়নের হাতিয়ার বানানোর নানা পদক্ষেপে। এতে পুলিশহীন একটি সমাজে যে অরাজকতা অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে সেই বোধটুকুও মানুষ হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় পুলিশের আসল স্বরূপ ও ইমেজ জনমনে ফেরানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
প্রথমত, গত দেড় দশকে পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে ব্যাপক দলবাজির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি অনাগরিকদের নাগরিক পরিচয়ে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের জল্পনাও রয়েছে। এসব বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে পুলিশ বাহিনীর জন্য অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যারা গণহত্যায় অংশ নিয়েছে এবং নিজেদের রাজনৈতিক নিপীড়নে টুলস হিসেবে ব্যবহার করেছে অথবা পুলিশি ক্ষমতাকে নির্বিচারে গ্রেফতার ও মামলাবাণিজ্যে কাজে লাগিয়েছে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বিদায় করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং দাঙ্গা দমনের মতো কাজে ব্যবহারের জন্য পুলিশের পৃথক কাঠামো নিশ্চিত করা দরকার, যাতে থানা পুলিশকে দাঙ্গা দমনের কাজে নিয়োজিত করতে না হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে কোনোভাবেই থানা পুলিশ যাতে ব্যবহার না হয় তার জন্য কাঠামোগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, গত দেড় দশকে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের নামে লাখ লাখ মামলায় কোটি মানুষকে আসামি করে তাদের দৌড়ের ওপর রাখা হয়েছে। ফলে নিপীড়ক হিসাবে পুলিশের একটি ইমেজ জনমনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ে এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহার করলে সামাজিকভাবে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসবে।
অপরাধের জন্যই মামলা হবে, রাজনৈতিক ভিন্নতার জন্য কোনোভাবেই মামলা নয়, এই ধারণা যেন কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় সেটি দেখতে হবে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিগত দেড় দশকের ধারাবাহিকতা যদি চলতে থাকে তাহলে এই চক্র থেকে বের হওয়া যাবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সরকার যে পদক্ষেপ নিতে পারবে না সেই সংস্কারমূলক পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকার নিতে পারে।
চতুর্থত, শাশ্বত মানবাধিকার হরণের ঘটনা একটি সমাজে নিরাপত্তা বোধের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে। কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো এটিকে সমাজে ভীতি ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে। গত দেড় দশকে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের জন্য ‘আয়না ঘর’ এবং এ ধরনের নিপীড়নের বন্দী ঘর বানিয়ে একটি কালো ইতিহাসের অধ্যায় তৈরি করা হয়েছে। এসব ঘরে যাদের বন্দী করা হয়েছে তাদের মধ্যে ইলিয়াস আলীর মতো অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন। অনেককে ব্যবহার করে জঙ্গি নাটকের মতো কাহিনী তৈরি করে নিরীহ পরিবারগুলোকে এর শিকার বানিয়ে বাইরের কিছু দেশের বাহবা নেয়া হয়েছে। আবার ব্রিগেডিয়ার আজমী অথবা ব্যারিস্টার আরমানের মতো বেঁচে থাকা ‘সৌভাগ্যবান হতভাগা’ অনেকে আট বছর দিনের আলো-বাতাস না দেখে নানা ধরনের ট্রমা নিয়ে মুক্ত আলোতে ফিরে এসেছেন ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব বিপ্লবের সুবাদে।
ব্যারিস্টার আরমানের যে শিশুটি মায়ের কোলে ছিল সে এখন ৯ বছরের কিশোরী। পুলিশ দেখলে এখনো সে ভীত হয়ে পড়ে। একই অবস্থা তার বড় বোনেরও। ব্রিগেডিয়ার আজমী তার আয়না ঘরের স্মৃতিময় গামছাটি নিয়ে এসেছেন। যে গামছায় মোছা চেখের পানি না শুকালে একটি দীঘি হয়ে যেত বলে তার ধারণা। এমন কথা আমরা জানতে পারি গুম হওয়া স্বামীর ফিরে আসার বিষয়ে হতাশ হয়ে স্ত্রীর অভিভাবকরা মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন সাত বছর অপেক্ষা করে।
আজমী বা আরমানের মতো বিখ্যাতদের কাহিনী সাধারণ মানুষ এখন জানতে পারছে, কিন্তু এর বাইরে এমন অনেকে আছেন যাদের কাহিনী অজ্ঞাতই থেকে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে শুধু রাজনৈতিক ভিন্নমতের ব্যক্তিরাই নয়, ‘জঙ্গি ট্যাগ’ দিয়ে দেশের ভেতরের ও বাইরের প্রবাসীদের অনেকে রয়েছেন। বিদেশের পিএইচডিধারী একজন অধ্যাপকের সাথে উত্তরায় জুমার নামাজের পর হঠাৎ আমার পরিচয় ও কথা হয়, যিনি ইউরোপ ও আফ্রিকার একাধিক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। একবার দেশে ফিরে নিজ এলাকার কিছু মসজিদ মাদরাসায় দান করার কারণে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে তাকে অন্তরীণ করা হয়। নজরদারি ও পাসপোর্ট জব্দ করার কারণে তিনি মুক্তি পেয়েও ফিরে যেতে পারছেন না কর্মক্ষেত্রে। পরিবার তাকে পরিত্যাগ করার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়, আক্ষরিক অর্থে না খেয়ে থেকেছেন। সে দিনের মতো খাবারের জন্য সামান্য টাকা দেয়ার পর মধ্যবয়সী এই স্কলারের চোখে অশ্রু ঝরার যে দৃশ্য তা আমি ভুলতে পারব না। আমার নাম্বারটি তাকে দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আর যোগাযোগ করেননি। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে যিনি স্ত্রী-সন্তানদের সে দেশের ব্যয়বহুল সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়িয়েছেন, প্রাচুর্য্যময় সচ্ছল জীবন কাটিয়েছেন, তিনি নিঃস্ব হয়ে দেশে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। মহা-উপন্যাসের কাহিনী হওয়ার মতো এমন অনেক কিছু প্রতিনিয়ত রচিত হয়েছে গত দেড় দশকের শাসনে। এই অমানবিক অধ্যায়ের আশু পরিসমাপ্তি প্রয়োজন।
কচুক্ষেতের আয়না ঘরের কাহিনী প্রকাশ পেয়েছে, এরকম ডিবি র্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজমের অধীনেও গত দেড় দশকে অনেক আয়না ঘর পরিচালিত হওয়ার কথা শোনা যায়।
আমার বাসায় কাজ করা গৃহকর্মীর বাসার কাছে থাকেন এক চাকমা ডোম। তার কাজ সংসদ এলাকায়। এখন প্রায় প্রতিদিন সকালে বিধ্বস্ত হয়ে বাসায় ফেরে। একদিন কাজে না গিয়ে ও বলেছে আর এসব কাজ ভালো লাগছে না। অন্ধকার গড়ালে তার কাজ হলো সংসদ এলাকায় কোনো স্থানে ভাগাড়ে জমা করা লাশ মাটির নিচে পুঁতে ফেলা। শত শত লাশ এভাবে সে মাটি দিয়েছে বলে জানায়। কোনো হতভাগা সন্তানের লাশ সেখানে মাটি দেয়া হচ্ছে এই চাকমা ডোমের তার হিসাব রাখার কাজ নেই। সে মদ খেয়ে কেবলই লাশ চাপা দেয়। সংসদ ভবন এলাকায় গণকবর আবিষ্কারের খবর পড়ার পর তার অভিজ্ঞতার এ কথাটির সাথে মনে মনে হিসাব মেলাচ্ছিলাম।
অন্তর্বর্তী সরকারের গণহত্যার পূর্ণ তদন্ত করে এর রহস্য উদঘাটন করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার পদক্ষেপও নেয়া দরকার।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন